সমাজকর্মী গতকাল শিক্ষামন্ত্রালয় চুড়ান্ত করেছে ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধে নীতিমালা-২০১২’। কোচিং বাণিজ্য বন্ধে শিক্ষামন্ত্রালয়ের এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাই। তবে এটাও বলতে চাই, বড্ড হযবরল লেগেছে এই নীতিমালা। যদিও পুরো নীতিমালাটি পড়ে দেখা হয়নি এখনো। তারপরেও পত্রিকায় যতটুকু পড়েছি তাতে তেমনটিই মনে হয়েছে আমার কাছে।
বলা হচ্ছে “নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কোচিং বা প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না। তবে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট অংকের টাকা নিয়ে তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভেতরই ‘অতিরিক্ত ক্লাস’ নিতে পারবেন”। এই যে নির্দিষ্ট অংকের টাকা নিয়ে অতিরিক্ত ক্লাসের কথা বলা হয়েছে নীতিমালায়, তাতে কি দাঁড়ালো বিষয়টা? কোচিং বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাবে? নাকি অতিরিক্ত ক্লাসের নামে কোচিং’কে আইনগতভাবে জায়েজ করে দেয়া হলো? আরেকটা কথা বলা হয়েছে, “নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কোচিং করাতে না পারলেও শিক্ষকরা দিনে অন্য প্রতিষ্ঠানের ১০ জন শিক্ষার্থীকে বাড়িতে পড়াতে পারবেন। তবে এ বিষয়ে শিক্ষককে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছে প্রতিবেদন দিতে হবে। ” এরপর বলতেই হচ্ছে, শিক্ষামন্ত্রালয়ের এহেন নীতির মূল উদ্দেশ্য কি? কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নাকি কোচিং বানিজ্য চলবে তবে সেটা যেন নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে না হয় সেটা বন্ধ? আমার বোধগম্য হয়নি বিষয়টা! পরিশেষে একটা কথাই বলবো, কোচিং বানিজ্য যদি বন্ধ করতেই হয় তাহলে পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হবে।
আর শিক্ষকদের যদি পুরোপুরি শ্রেনীকক্ষমূখী করতেই হয় তাহলে বৃদ্ধি করতে হবে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা এবং অন্যান্য সুবিধাদি। কোচিং বাণিজ্য বন্ধের আসল উদ্দেশ্য যদি শিক্ষকদের পুরোপুরি শ্রেনীকক্ষ মূখী করা হয় তাহলে এর উত্তম কোন বিকল্প নেই বলেই জানি। অন্যথায় এইসব গোজামিল কোনই কাজে আসবে না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।