রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন-কুরআন যেখান থেকে এসেছে সেখানে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত কেয়ামত অনুষ্ঠিত হবে না। তারপর আকাশের চর্তুদিকে মৌমাছির গুণ গুণ শব্দের মত কুরআনের গুণ গুণ শব্দ হতে থাকবে। তখন মহান ও প্রতাপশালী রব বলবেন, “তোমার কি হয়েছে?” কুরআন বলবে, “আমি তোমার কাছ থেকে বেরিয়েছিলাম এবং তোমার কাছে ফিরে আসব। আমাকে পাঠ করা হয়, কিন্তু আমার কথামত আমল করা হয় না। ” তখন কুরআনকে উঠিয়ে নেয়া হবে।
” আমরা কেউ কখনও এ কখনও এ কথা বলতে পারি না যে কেয়ামত অনেক দুরে কারন তা কুরআন বিরোধী। কেয়ামত সম্পর্কিত জ্ঞান আল্লাহর ছাড়া আর কারো নেই। কেয়ামত অনেক দুরে এই কথা বলা উচিত না কারন আল্লাহই কুরআনে উল্লেখ করেছেন যে, “কেয়ামত সন্নিকটে” (সূরা ক্বামার) । কেয়ামতের আগে দজ্জাল আসবেন, তারপর আসবেন জিশু বা ঈসা (আ) , তারপর ইমাম মাহদি, তারপর দজ্জালের সাথে যুদ্ধ হবে হযরত ঈসার ( আ) এর। এরপর ইমাম মাহদি (আ) এর অধিনে মানব জাতী বসবাস করবে ৪০ বছর, সবাই মুসলিম হবে।
আবার খারাপ হয়ে যাবে মুসলমান সম্প্রদায়। এরপর কেয়ামত আসবে।
২০১২ একটি ছবির নাম। ছবির নাম বা কথা শুনলে রোমান্টিক রোমান্টিক ভাব আসে কিন্তু ২০১২ ছবিটি দেখলে পবিএ কোরআনের বর্ননা মত কেয়ামত এর কথা মনে পরে যায়। পৃথিবীতে বরফ যুগের ম্যামোথ থেকে শুরু করে ডাইনোসোর এরা প্রত্যেকেই ধ্বংস হয়েছে . পৃথিবীতে কোনো কিছুই স্থায়ী নয় এমনকি --- আমরাও না।
পবিত্র কুরআন এর ম্যাথম্যাটিকাল কোডের কথা বলতে হলে আগে আমাদের প্রাইম নাম্বার সম্পর্কে জানতে হবে। সবাই জানেন প্রাইম নাম্বার কি। যে সকল নাম্বার 1 এবং ঐ নাম্বার ছারা আর কোনো নাম্বার দিয়ে ভাগ যায় না তাদেরকে প্রাইম নাম্বার বলে। পবিত্র কুরআনের অসংখ্য স্থানে অ্যাডিটিভ প্রাইম নাম্বার এর কথা বলা হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সূরা আর রহমানের শব্দ সংখ্যা ৩৫৫।
হিজরী লিপ ইয়ার হয় ৩৫৫ দিনে। কেয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট মর্যাদার দিক থেকে নিকৃষ্টতম হবে ঐ ব্যক্তি যে তার স্ত্রীর সাথে শয্যা গ্রহণ করে এবং তার স্ত্রীও তার সাথে শয্যা গ্রহণ করে, তারপর তাদের পরস্পরের মিলন ও সহবাসের গোপন কথা লোকদের নিকট প্রকাশ করে। সবাই মিলে আল্লাহ্র কাছে ফরিয়াদ করুন, তিনি যেন কেয়ামত অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেন। " কোন সভ্যতাকে ধ্বংস করে ফেলা সেটা ওই সভ্যতার জন্য আরবি ভাষায় কেয়ামত। পৃথিবীও ধ্বংস হবে কেয়ামত দিয়েই।
কেয়ামত এর লক্ষন : মানুষ ব্যাপকহারে ধর্মবিমুখ হবে, বিভিন্ন রকমের পার্থিব আনন্দ এবং রং তামাশায় মেতে থাকবে, নাচ-গানে মানুষ মগ্ন থাকবে, মসজিদে বসে দুনিয়াদারীর আলাপ-আলোচনায় লিপ্ত হবে, সমাজে ও রাষ্ট্রে অযোগ্য লোক এবং মহিলা নেতৃত্ব শুরু হবে, ঘন ঘন ভূমিকম্প হতে থাকবে, মানুষের রূপ পরিবর্তিত হয়ে পুরুষ স্ত্রীলোকের ন্যায় এবং স্ত্রীলোক পুরুষের রূপ ধারন করবে। (সম্ভবত পোশাক-আশাকের কথা বলা হয়েছে) ইত্যাদি । ( এগুলোর কোনটা এই জমানায় দেখা যায়না > হা হা হা ) আমাদের নবী মুহাম্মদ ভবিষ্যত জানতেন না এবং কেয়ামত কবে হবে তা একমাত্র আল্লাহই জানেন। যদিও একটি আয়াতই যথেষ্ট ছিল , তবুও মানুষ তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে নবীকে বারে বারে একি প্রশ্ন করতে থাকে। নবী ও যথারীতি উত্তর না দিয়ে ওহীর অপেক্ষা করেন ।
ফলে প্রতিবারেই ওহীর মাধ্যমে একি উত্তর আসে এই বলে যে , রসূল ভবিষ্যত জানেন না এবং কেয়ামতের দিনক্ষন শুধু আল্লাহই জানেন। “সকল মানুষকে কিয়ামতের দিন সাদা ময়দার রূটির মত পরিস্কার একটি ভূমিতে উপস্থিত করা হবে। তাতে কারও কোন নিশানা থাকবে না। “জালেমদেরকে এবং তাদের সঙ্গীদেরকে একত্রিত কর। (সূরা আস্-সাফ্ফাতঃ ২২) তাদের হাত, পা এবং ঘাড় শিকল দিয়ে বাঁধা অবস্থায় দেখা যাবে।
তাদেরকে আলকাতরার পোষাক পরিয়ে দেয়া হবে। আগুন তাদের চেহারা ঢেকে ফেলবে।
আমাদের দেশ বর্তমানে সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও সকল প্রকার অপরাধের দিক দিয়ে বিশ্বে চ্যাম্পিয়নের মর্যদায় অধিষ্ঠিত। শুধু পুলিশ বিভাগ নয়, শিক্ষা বিভাগসহ সরকরী সকল বিভাগে ব্যাপক ঘুষ ও দুর্নীতিতে যারা লিপ্ত তারা কি অশিক্ষিত? কেন আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা তাদেরকে নৈতিক শিক্ষা দিতে ব্যর্থ হলো? কারন একটাই। আধুনিক বিশ্ব-সভ্যতার অন্ধ্যানুকরনেই আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালিত।
জড়বাদই এ সভ্যতার ভিত্তি এবং ধর্ম-নিরেপেক্ষবাদ তাদের আদর্শ। আল্লাহ কেয়ামতের দিন সম্পর্কে বলেনঃ– যখন বিচার ফয়সালা হয়ে যাবে তখন শয়তান জাহান্নামীদের বলবে, আল্লাহ তোমাদের সাথে যে ওয়াদা করেছেন তা ছিল সত্য ওয়াদা, আমিও তোমাদের সাথে একটি ওয়াদা করেছিলাম, কিন্তু আমি তোমাদের সাথে ওয়াদার বরখেলাপ করেছি; আসলে তোমাদের ওপর আমার তো কোন আধিপত্য ছিল না, আমি তো শুধু এটুকুই করেছি, তোমাদের আমার দিকে ডেকেছি, অতঃপর আমার ডাকে তোমরা সাড়া দিয়েছ, তাই আজ আমার প্রতি তোমরা কোন রকম দোষারোপ করোনা, বরং তোমরা তোমাদের নিজেদের ওপরই দোষারোপ করো; আজ আমি যেমন তোমাদের উদ্ধারে কোনরকম সাহায্য করতে পারব না, তেমনি তোমরাও আমার উদ্ধারে কোন সাহায্য করতে পারবে না; তোমরা যে আগে আমাকে আল্লাহ্র শরীক বানিয়েছ, আমি তাও আজ অস্বীকার করছি। এমন সময় আল্লাহ্র ঘোষণা আসবে; অবশ্যই জালিমদের জন্য রয়েছে কঠিন আযাব। [সুরা ইব্রাহীমঃ২২] প্রিয় ভাই ও বনেরা ভেবে দেখুন, কিয়ামতের দিন নিজের এরকম প্রতারিত ও পথভ্রষ্ট হওয়ার পর বিবেক যন্ত্রণায় বিদ্ধ অবস্থা।
অনেকেই আশ্চার্য হয়ে যান, বৈজ্ঞানিক ও যুক্তিসম্মত প্রকৃতির কোনো মানুষ কিভাবে পরকাল বা মৃত্যু পরে আর একটি জীবনের ওপরে আস্থা রাখতে পারে? তারা ধারণা করে যে, যারা পরকালে আস্থাশীল তাদের যে আস্থা, তা একটি অন্ধ বিশ্বাসের ওপর প্রতিষ্ঠিত।
এই পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে ২৪৩৬ সালের ১ অক্টোবর…এই হিসেবে পৃথিবীর আয়ু আছে আর মাত্র ৪২৬ বছর,ঠিক এমনি বক্তব্য প্রদান করেছেন ভবিষ্যত বক্তা হিসেবে বিশ্ব সর্বাধিক আলোচিত ব্যক্তি ফ্রান্সের নস্ট্রাডামস…তিনি মৃত্যুবরণ করেন ১৫৬৬ সালে…বহু ঘটনার ভবিষ্যতবাণী করে নস্ট্রাডামস স্মরণীয় হয়ে আছেন বিশ্বজুড়ে । পৃথিবী ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ক্রমশ। সতর্ক হও। নামায পড়। প্রার্থনার জন্য মসজিদ,মন্দিরে গিয়ে আশ্রয় নাও।
পরম সত্তাকে বেশি বেশি স্মরণ কর। তিনি রাগলে ভূমিকম্প-জলোচ্ছাস,সিডর-সাইক্লোন-নারগিস ভয়ংকর ঝড় দিয়ে আমাদের মেরে ফেলবেন। পাপাচারে নুয়ে পড়েছে পৃথিবী। যার ফলে পৃথিবী ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে। কমে আসছে প্রাণীদের গড় আয়ু।
বাঁচবো আর ক’বছর! সময় ফুরিয়ে আসছে। কেয়ামত ধেয়ে আসছে।
পৃথিবী যে ধ্বংসের অতি সন্নিকটে তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু কখন,কবে,কোন সময়ে পৃথিবী ধ্বংস হবে? কুরআন-হাদিসের আলোকে বলতে পারি পৃথিবী তখনই ধ্বংস হবে যখন পৃথিবীতে মানুষ ভুলে যাবে সব ধর্ম। বিশ্বাস উঠে যাবে।
মানুষ ভুলে যাবে সব নৈতিকতা। উঠে যাবে ঐশী বাণী। মুছে যাবে কুরআনের অক্ষর। সেদিনটি হবে শুক্রবার। সেদিনটি হবে খুবই ভয়াবহ।
বর্তমান সভ্যতা ক্রমশ ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যা এটাই শেষ সভ্যতা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।