অত্যান্ত দুঃখের সংবাদ হলেও এটা একটা বাস্তব কাহিনী। সুদীর্ঘ ৩০ বছর শিক্ষকতা করে যার বয়স এখন ৮৪ বছর, ঠিক সেই মুহুর্তে জীবন জীবিকার উদ্দেশ্যে তার হাতে তুলে নিতে হল ভিক্ষার ঝুলি। তিনি আর কেউ নয়, তিনি আমাদের (বগুড়ার সারিয়াকান্দির কাজলা হাই স্কুল) এর শিক্ষক কেরামত স্যার। যার হাত দিয়ে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী মানুষ হয়ে বের হয়ে আজ তারা সুন্দর জীবন যাপন করছে, আর আমাদের সেই শিক্ষক দুবেলা দুমুঠো খাবার জন্য ভিক্ষা বৃত্তি গ্রহণ করেছে। যারা মানুষ গড়ার কারিগর তাদের পরিনাম যদি হয় এরুপ তাহলে কোথায় থাকল শিক্ষকের মর্যাদা।
কি বিচিত্র এই দেশ! কি অদ্ভুত আমাদের রাষ্ট্রের দ্বায়দ্বায়িত্ব! ইতি পূর্বে কেয়ামত স্যার নিয়ে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিতও হয়েছে। আমরা তাকে দুই এক টাকা দিয়ে করুনা করতে চাই ন্। আমরা চাই সরকারের ইউনিয়ন পর্যায়ে যে বয়স্ক ভাতার ব্যবস্থা আছে তার ব্যবস্থা করত্। সে যেন ভালভাবে তার বাকী জীবনটা কাটাতে পারে। আর সে জন্য কতৃপক্ষ যেন যথাযথ ব্যবস্থা নেয়।
আমরা আর কোন কেরামত স্যারকে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে রাস্তায় ঘুরতে দেখতে চাই না। ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং দিন বদলের প্রত্যয় নিয়ে যে সরকার গঠিত হয়েছে আশা করি সেই সরকার বিষয়টি গভীরভাবে বিবেচনা করে অবিলম্বে একটা ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।