তারুণ্যের শক্তিতে জাগুন এই দেশ। ছিনিয়ে আনুক নতুন সকাল মায়ানমারে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কারণে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা আশ্রয় নিতে চাইছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশ তাদের ঢুকতে বাধা দিচ্ছে। জাতিসংঘ বলেছে বাংলাদেশ যেন মানবিক কারণে তাদের প্রবেশ করতে দেয়। এখন বাংলাদেশ কি করবে?
বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের প্রবেশ ২৫ বছরেরও বেশি সময় আগে।
জাতিগত সংঘাতের কারণে তারা নিজদেশ ছাড়তে বাধ্য হয়। কিন্তু আজ অবধি এ সমস্যার সমাধান হয় নি। এখন আবার নতুন করে সংঘাত শুরু হয়েছে। প্রতিপক্ষের আক্রমণের কারণে সংখ্যালঘুদের দেশত্যাগ আসলেই কষ্টকর ও অমানবিক। কে চায় নিজের দেশ ছাড়তে?
অতএব মানবিক কারণেই তাদের শরনার্থী হিসেবে গ্রহণ করা উচিত-- এটা সবাই বলবে।
তবে এটাও ঠিক যে বাংলাদেশ অনেক আগে থেকেই এই ধরনের সমস্যা মোকাবেলা করছে এবং বিশ্ব মোড়ল জাতিসংঘ এই সমস্যার সমাধান করতে পারে নাই। শরনার্থী শিবিরে রোহিঙ্গারা বসবাস করছে মানবেতর অবস্থায়।
কিন্তু বাংলাদেশ কতদিন এর ভার বইবে তারও একটা পরিকল্পনা থাকা দরকার।
ককসবাজারে রোহিঙ্গা সম্প্রদায় যুক্ত হয়ে পড়েছে মাদক ব্যবসায়ের সাথে। চোরাপথে অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ে রোহিঙ্গাদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ আছে।
তাছাড়া দেশে জঙ্গী শক্তি বিকাশে রোহিঙ্গারা সম্পৃক্ত তারও প্রমাণ আছে। অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যার জের বাংলাদেশকে বহন করতে হবে কেন?
অনেকে ধর্মের দোহাই দিয়ে মুসলিম রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে বলছেন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটা ট্রানজিটের ভূমিকা নিতে পারে। বিশ্বের বড় বগ ধনবান মুসলিম দেশগুলো চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি ফ্লাইটে রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাক। গরীব বাংলাদেশ প্রয়োজনে তাদের টেকনাফ থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত পরিবহণের ব্যবস্থা করবে।
কিন্তু তাতে কি বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় সাড়া দেবেন?
যত ঝামেলা সবই গরীবকে পোহাতে হবে। তার মধ্যে বাংলাদেশ আবার মুসলিম প্রধান দেশ। অতএব পার্শ্ববর্র্তী দেশের মুসলিমদের অভয়াশ্রম হবে বাংলাদেশ???
এটা কোনো সমাধান নয়। বিশ্ব সম্প্রদায়ের উচিত রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন বন্ধ করে তাদেরকে নিজ দেশে থাকার পরিবেশ নিশ্চিত করা। বাংলাদেশ নিজের সমস্যা সমাধানে যেখানে হাবুডুবু খাচ্ছে সেখানে অন্যের সমস্যা সমাধানে নিজেদের ঝামেলা বাড়াতে হবে কেন?
অতএব রোহিঙ্গারা যাতে দেশে প্রবেশ না করে তার জন্য জনমত গঠনের দাবি করছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।