আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কয়েকটি জায়গায় ধনী-গরীবকে সমামভাবে সুবিধা ভোগ করতে দেখা যায়।

জানার আগ্রহ মানুষের চিরন্তন, বই হলো তার বাহন, আইনের মৃত্যু আছে কিন্তু বইয়ের মৃত্যু নেই। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। এই সৃষ্টির সেরা জীব জগতে বিভিন্ন্ শ্রেণীতে বিভক্ত। কেউ বা ধনী আবার কেউবা গরীব। ধনীরা উচু উচু দালান-কোটায় বসবাস করে ভাল খাবার খায়, ভাল পোষাক পরে, টাকার জোরে দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়ায়, দামী গাড়ীতে চলাফেরা করে।

সমাজের সর্বত্র মাথা উচু থাকতে পারে। আর গরীবরা নিম্মমানের বাসস্থানে বসবাস করে, তিন বেলা খাবার জোগাড় করতেও পারে না, তারা ভাল পোষাক পরতে পারে না, দেশ-বিদেশ ঘুরতে পারে না, দামী গাড়ীতে চড়তে পারে না। সমাজের বেশীর ভাগ জায়গায় তাদেরকে নিচু হয়ে থাকতে হয়। ধনীদের নিকট মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হয়। কয়েকটি জায়গায় ধনী-গরীবকে সমামভাবে সুবিধা ভোগ করতে দেখা যায়।

এই যেমনঃ মসজিদে অবস্থানঃ মসজিদ আল্লাহর ঘর। ধনী ও গরীবদের জন্য আলাদা কোন মসজিদ নাই। এই আল্লাহর ঘর ধনী ও গরীব সবার জন্য সমান। মসজিদে ধনী ও গরীব সবাই একজনের পাশে আরেকজন সুন্দরভাবে বসে থাকে। সালাত আদায় কওে।

কোরআন শরীফ তেলোয়াত করে। জামাতে নামায আদায়ঃ জামােেত নামায আদায় করার জন্য সবাই কাতারবন্দী হয়ে দাড়ায়। ধনীরা এক কাতারে আর গরীবরা অন্য কাতারে নামায আাদায় করে না। ধনী-গরীব সবাই একি কাতারবন্দী হয়ে নামায আদায় করে। মুসলিম পরিবারের কোন সদস্য মারা গেলে ধনী-গবীব সবাই জানাযায় অংশগ্রহন করে।

কাঁধে কাধ মিলিয়ে জানাযার নামায আদায় করে। ঈদের নামাযেও ধনী-গরীব মিলেমিলে নামায আদায় করে। কবরস্থানঃ পৃথিবীতে ধনী ও গরীবদের জন্য কোন আলাদা কবরস্থান আছে বলে আমার জানা নেই। মৃত্যুর পর সবাইকে কবরস্থ করা হয়। ধনীর কবরের পাশে গরীবকে দাফন করা হয়।

অথবা গরীবের কবরের পাশে ধনীকে দাফন করা হয়। কবরস্থানে ধনী-গরীবের কোন ভেদাভেদ নাই। সবাইকে একজনের পাশে আরেকজনকে কবর দেয়া হয়। মসজিদে সহ অবস্থান, নামাযে অংশ গ্রহন ও মৃত্যুর পর কবরে কবরস্থ করা ছাড়া অন্য কোন জায়গায় ধনী-গরীবের মিল দেখা যায় না। যুগে যুগে ধনীরা গরীবদের উপর জুলুম-অত্যাচার করে থাকে।

তাদের সম্পদ অন্যায় ভাবে গ্রাস করে থাকে। তাদের উপর অবিচার করে থাকে। কোন কোন দাওয়াতে গরীবদের জন্য আলাদা খাবারের ব্যবস্থা থাকে। বিভিন্ন প্রতিষ্টানের কর্মক্ষেত্রে গরীব ঘরের মেধাবী সন্তানকে চাকরী না দিয়ে ধনী পরিবারের সন্তানকে চাকরীতে নিয়োগ দিয়ে থাকে। রাষ্ট থেকে গরীবের জন্য বরাদ্দ অর্থ সরকারী কর্মকর্তা ও সমাজের উচু শ্রেনী মানুষগুলো ভোগ করে থাকে।

অথ্যাৎ সমাজের সর্বত্র গরীবদেরকে ঠকানো হয়। তাদেরকে ঘৃনা করা হয়। ধনীদের কাছে আমার প্রশ্ন? মসজিদে গরীবের সাথে সালাত আদায় করেন, মৃত্যুর পর কবরে থাকতে কোন অসুবিধ বোধ করবেন না তাহলে অন্যসব ক্ষেত্রে তাদের প্রতি অবিচার, অবহেলা করেন কেন? এক সাথে সালাত আদায় করতে লজ্জাবোধ করেন না তাহলে বিভিন্ন দাওয়াতে একসাথে এক টেবিলে খাবার খেতে লজ্জাবোধ করেন কেন? কেন আপনার কর্মচারী, ড্রাইভার বা কাজের ছেলের সাথে খাবার খেতে অসুবিধা কোথায়? নিজেরা ভাল ভাল খাবার খেয়ে খাবারের বাকী অংশটুকু কেন তাদেরকে দিবেন? কেন তাদেওকে সমান ভাবে খাবার খেতে দিবেন না? জানি এই সব প্রশ্নের উত্তর আপানারা দিতে পারবেন না কারন আপনারা গরীবদেরকে ঘৃনা করেন, তাদের সাথে খেতে মান সম্মানের ক্ষতি হবে মনে করেন। অথবা মনে মনে বলতে থাকেন, “নীচু জাত বা গরীবদেরকে বেশী প্রশ্রয় দিতে নাই। ” আপনি না হয় গরীরদেরকে অবহলো করলেন কিন্তু যিনি আপনাকে ও গরীবকে সৃষ্টি করেছেন সেই মহান আল্লাহ তায়ালা গরীবের জন্য বিশেষ পুরস্কার ঘোষনা করেছেন।

যা আপনি পাবেন না। আর আপানকে বিশাল অর্থ সম্পদের হিসাব দিতে গিয়ে আল্লাহর আদালতে কাড় গড়ায় দাড়াতে হবে----------- জাহান্নামে প্রবেশ করবে প্রতাপশালীরা আর জান্নাতে যাবে দুর্বল অসহায় মানুষগুলোঃ আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: জান্নাত ও জাহান্নাম পরস্পর বিতর্ক করবে। জাহান্নাম বলবে, আমাকে প্রতাপশালী, শক্তিধর, স্বৈরাচারদের দেয়া হয়েছে। আর জান্নাত বলবে, আমার যে কী হলো? শুধু আমার এখানে দুর্বল আর সমাজের পতিত মানুষগুলো আসছে। তখন আল্লাহ জান্নাতকে বলবেন: তুমি হলে আমার রহমত ও করুনা।

আমার বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা আমার রহমত দ্বারা অনুগ্রহ করি। আর তিনি জাহান্নাম-কে বলবেন: আর তুমি হলে আমার আযাব। বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা আমি আমার আযাব দিয়ে শাস্তি দিয়ে থাকি। (বর্ণনায় : বুখারী ও মুসলিম)  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.