আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জায়গায় জায়গায় গোপন ক্যামেরা ও গোপন সাইকো!!!! আমাদের করনীয় কি?

অভিলাসী মন চন্দ্রে না পাক, জোছনায় পাক সামান্য ঠাই ভয়াবহ অবক্ষর চারদিকে। ক্রমশই যেন যৌনউন্মাদ হয়ে উঠছে আমাদের সমাজ। এয়ারপোর্টের বড় ডিসপ্লে স্ক্রীনে পর্যন্ত পর্ণো ছবি ফুটে উঠেছিল, যা ছিল গোপন রোগটির বিস্ফোরন। বিবাহপূর্ব যৌনতা প্রায় প্রতিষ্ঠিত। আরো ভয়াবহ ব্যাপার হলো, বিবাহপরবর্তী যৌনতা নির্ভর পরকীয়া প্রেম!!! যা আজ আর ঘৃণা নয় বরং এক্সাইটমেন্টের বিষয় হয়ে গেছে।

মানুষের যৌন আগ্রহও বদলে গেছে। আগের মত আর প্রফেশনাল পর্ণও দেখছি না। আগ্রহের মুলে এসে গেছে গোপন ক্যামেরা। যেইসব নারীদের নগ্নরূপে দেখা সম্ভব নয় এখন তাদের অজান্তেই তাদের নগ্ন দেখাটাই হয়ে গেছে মূল আকর্ষন! বিষয়টা প্রাকৃতিক আকর্ষনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং কেউ একজন গোপনে সুযোগ ও টেকনোলজী ব্যাবহার করে অপরের নগ্নতাকে ধারন করে সেটা প্রচারও করছে ।

আজকে পারসোনার ঘটনাটা তারই প্রমান। গোপন ভিডিওর বাণিজ্যিকরন প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। সাইকো দ্বারা পরিপূর্ণ আমাদের চারপাশ। আর মাঝে আটকে পড়া আমরা বড়ই অসহায়!!! যেটা অবশ্যই অপরাধ। এটা ভয়াবহ অপরাধ ও তার চেয়ে বড় সামাজিক সমস্যা।

অনেকটা জঙ্গীবাদের মত। অপরাধ করার আগ পর্যন্ত অপরাধী ট্রেস করা যায় না!! আমরা ও আমাদের পরিবারের সন্মানের উপর আঘাত করা এসব মানুষদের শুধু লুল বা লুচ্চা বললেই যথেষ্ট হয় না। এরা তার চেয়ে বড় কিছু। অনেক বড় কোন ভাইরাস। যার উৎস খুজে বের না করা পর্যন্ত এর কোন সমাধান সম্ভব নয়।

মানুষের আচরনে লজ্জিত এক বাঁনর!!! আমরা কি এ নিয়ে সচেতন হবো না? আমরা কি এর প্রতিকার চাই না? যদি উত্তর হয়, হ্যা! তবে আমাদের এখনই আলোচনার টেবিলে বিষয়টিকে নিয়ে আসতে হবে। এর ব্যাখ্যা,বিশ্লেষন করতে হবে। পরিবারপরিকল্পনা ও এইডস এর বিরুদ্ধে যেমন সচেতনতা তৈরী করা হয়েছিল তেমন সচেতনতা তৈরী করতে হবে। কারন , সমাজের এই অসুস্থ মানসিক ব্যাধী ও রোগী থেকে বাঁচতে হলে পরিবারের সদস্যদের বাঁচাতে হলে জানতেই হবে!!! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.