মৌলিক অধিকার গুলো আজো আমাদের কাছে গনিকালয়ের অন্ধকার ঘরের তেল চিটচিটে বালিশে শুয়ে থাকা ষোড়শী নারী। ইচ্ছে হলেই গনতন্ত্রের দোহাই দিয়ে এদেশের সরকার ব্যবস্থা যখন খুশি তখন সেগুলোর সাথে পারস্পরিক সর্ম্পকে জড়িয়ে পরে। রাতের সাথে অনুভুতি ফেরী করা আমার পুরোনো অভ্যাস। মনের ভাল মন্দের ধার না ধেরে দুমদাম রাতে বেড়িয়ে পরাই আমার স্বভাব। রাতের অন্ধকারে নিজেকে আবিস্কারের অন্যরকম একটা মজা আছে।
আর এই আবিস্কারের নেশায় প্রায় বেড়িয়ে যাই ইট সিমেন্টের চার দেয়াল ছেড়ে পথে।
কাহাতুক আর যেতে পারি?আমারো যে একটা সীমাবদ্ধতা আছে। অনুভূতি ফেরীর রাত গুলো কাটে সারোয়ারর্দীর মাঠে খোলা আকাশের নিচে শুয়ে অথবা টি.এস.সির মোড়ে যৌবনের জোয়ার আনা গরম চায়ের কাপে।
এমনি একটি রাতে পায়ে হেঁটে চলেছি নিশাচর ঘুমকাতুরে ঢ়ুলুঢ়ুলু চোখ দুটিকে নতুন যৌবনের স্বাদ দিতে। টি.এস.সির গরম চায়ে চুমুক বসালেই বুড়িয়ে যাওয়া চোখ দুটোই আবার কেন জানি আঠারো বছরের টগবগে যৌবন ফিরে পায়।
এই চোখেই তখন থাকে মুল্যবোধ আর বিদ্রোহ।
এই বিদ্রোহী মনেই ঝড় উঠে যখন দেখি দেহপসারিনী পেটের ক্ষুদা নিবারনের জন্য খদ্দের খুজঁছে ল্যামপোষ্টের ছায়ায় দাঁড়িয়ে। লালসার কাছে মানবতা বির্পযস্ত হতে দেখে তখন সুশীল সমাজের সুশীল নাগরিকরা মুখ লুকোয় আঁতুড় ঘরে। অথচ সুশীল সমাজ তাদের মেয়ে বউদের নিয়ে নিশ্চিন্তে রাত্রি যাপন করছেন এই সব দেহপসারিনীর জন্যেই। কেননা এরা না থাকলে সুশীল সমাজের মেয়ে বউরা ঘর থেকে বের হতো ঠিকই কিন্তু সম্মান নিয়ে ঘরে ফিরে যেতে পারতো না।
অথচ সূর্য্য ওঠার সাথে সাথেই এই সুশীল সমাজের এদের দেখলেই গায়ে ঘিনঘিন ধরে।
এই বিদ্রোহী মনেই ঝড় উঠে যখন দেখি লাশের মত সারি সারি ভাবে পথের ধারে শুয়ে আছে ছিন্নমুলেরা। পথচারী আর পুলিশের লাথ্থি আর গুতো খেয়েও মাটি কামড়ে পরে আছে একটু প্রশান্তির আশায়। কেননা খুব ভোরে এই সমাজের ভার তাদেরই নিতে হবে। স্বচ্ছ করে দিতে হবে পথঘাট।
বাবু বিবিদের চকচকে দামি গাড়ির চাকায় যেন ধুলো বালি না লাগে সে দায়িত্ব যে তাদের। অভিজাত এলাকায় এয়ারকন্ডিশন রুমের বাতাসটা যেন র্দুগন্ধময় না হয় সে জন্য ডাষ্টবিনের ময়লা আর্বজনা ভাগারে ফেলার দায়ভার যে তাদের। অথচ মাঝরাতে সুশীল সমাজের উঙ্খৃল ছেলেরা যখন মাতাল হয়ে মেয়ে মানুষ নিয়ে ফষ্টি নষ্টি করতে করতে গাড়ি চাপা দেয় এসব ছিন্নমুলদের তখন টাকার জোড়ে তা হয়ে যায় অপমৃত্যু।
এসব দেহপসারিনী ও ছিন্নমুলদের কাছে স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার মেকী ছাড়া কিছুই না। স্বাধীনতার ৪০ বছর পরেও এসব দেহপসারিনী ধর্ষিত হচ্ছে।
ছিন্নমুলেরা শোষিত হচ্ছে। পার্থক্য শুধু এতটুকুই,আগে পরাধীন ভুখন্ডে হতো আর এখন স্বাধীন বাংলার ভূখন্ডে হচ্ছে।
আমরা সুশীল সমাজ ভালই আছি হয়তো যান্ত্রিক এ নগরে রক্ত মাংস ছেড়ে রোবটের জীবন ধারন করে। তবে ওরাও বেঁচে আছে এই সুশীল সমাজ কে স্বচ্ছ ও পবিত্র রাখতে ধর্ষিত আর শোষিত মানুষ হয়ে।
ছবি:ইন্টারনেট ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।