এ শহর ছেড়ে আমি পালাব কোথায়
নয়া দিল্লি, ১৪ মার্চ: উদারনীতির ভারত-অর্ধেকের বেশি ভারতীয়ের বাড়িতে একটি শৌচাগার না থাকলেও, আছে মোবাইল ফোন।
এমনই তথ্য বেরিয়ে এসেছে ২০১১ সালের আদমশুমারির রিপোর্ট থেকে। মঙ্গলবারই তা প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রসচিব আর কে সিং। রিপোর্ট জানিয়েছে, দেশের জনসংখ্যার মাত্র ৪৬.৯ শতাংশ, ২৪ কোটি ৬৬ লক্ষ পরিবারের বাড়িতে রয়েছে শৌচাগারের সুযোগ। যেখানে ৪৯.৮ শতাংশ মলত্যাগ করতে বাধ্য হন প্রকাশ্যে, খোলা আকাশের নিচে।
৩.২ শতাংশ ব্যবহার করেন পাবলিক টয়লেট।
বাড়িতে একটিও শৌচাগার নেই, এমন পরিবারের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ঝাড়খণ্ডে। ৭৭ শতাংশেরই নেই স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার। এরপর উড়িশ্যা (৭৬.৬শতাংশ), বিহার (৭৫.৮শতাংশ)।
অন্যদিকে, ৬৩.২ শতাংশ পরিবারেরই রয়েছে টেলিফোনের সুযোগ।
তাদের মধ্যে ৫৩.২ শতাংশের হাতে মোবাইল।
টেলি ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি লাক্ষাদ্বীপে। ৯৩.৬ শতাংশ পরিবারই টেলিফোনের সেটের মালিক। এরপর দিল্লি (৯০.৮শতাংশ) এবং চণ্ডীগড় (৮৯.২শতাংশ)।
‘প্রকাশ্যে, খোলা আকাশের নিচে মলত্যাগ এখন দেশের জন্য সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয়, কারণ প্রায় অর্ধেক ভারতীয়ই (৪৯.৮শতাংশ) এভাবেই সারেন।
এর পিছনে রয়েছে সাংস্কৃতিক, ট্র্যাডিশানাল কারণ, অস্বাস্থ্যকর এই অভ্যাসের কারণ প্রাথমিক শিক্ষার অভাব। এক্ষেত্রে আমাদের অনেক কিছু করতে হবে। ’ বলেছেন রেজিস্ট্রার জেনারেল ও সেনসাস কমিশনার সি চন্দ্রমৌলি। যদিও তিনি সচেতনভাবে এড়িয়ে গিয়েছেন দারিদ্র্যের কথা। বলেননি দেশের ৭৭ শতাংশ মানুষেরই দৈনিক খরচ করার ক্ষমতা ২০ টাকারও কম।
পাশাপাশি, গ্রাম ভারতের ৬২.৫ শতাংশ মানুষ রান্নার জন্য ব্যবহার করতে বাধ্য হন জ্বালানি কাঠ।
৪৪.৮শতাশের পরিবহনের অবলম্বন সাইকেল।
কম্পিউটারের সঙ্গে ইন্টারনেটের সুবিধা রয়েছে এমন মানুষের হার ৩.১ শতাংশ মাত্র।
বিনোদনের সবচেয়ে বড় মাধ্যম এখনও টেলিভিশন। ৪৭.২ শতাংশ পরিবার টেলিভিশন সেটের মালিক।
মাত্র ১৯.৯ শতাংশের কাছে রয়েছে রেডিও অথবা ট্রানজিস্টার। সূত্র: ওয়েবসাইট। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।