অমূলক বৃথাই সব প্রচেষ্টা,ভ্রান্ত বিকল মস্তিষ্কে! * সারপিকো (১৯৭৩)
IMDb Rating: 7.8/10
নিউ ইয়র্ক শহরের আন্ডারকভার পুলিশ অফিসার ফ্রাঙ্ক সারপিকোর বাস্তব জীবনের ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত এই ছবিতে অভিনয় করে আল পাচিনো প্রথমবারের মতো গোল্ডেন গ্লোবে সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতে নেন। ছবির শু্টিং শুরু হবার পূর্বে সারপিকো চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তুতি হিসেবে পাচিনো তার নিজের এপার্টমেন্ট এ আসল ফ্রাঙ্ক সারপিকোর সাথে এক মাস থাকেন। ছবিটি পরিচালনা করেছেন সিডনি লুমেট।
* দি গডফাদার পার্ট টু (১৯৭৪)
IMDb Rating: 9/10
ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা পরিচালিত অস্কারজয়ী এই ছবিতে মাইকেল করলিওনি চরিত্রে পাচিনো দুর্দান্ত অভিনয় করেন। পাচিনো ছাড়াও রবার্ট ডি নিরো, লি স্ট্রেসবার্গ ও রবার্ট ডুভ্যালের মতো কিংবদন্তি অভিনেতারাও এই ছবিতে অভিনয় করেছেন।
এই ছবিতে পাচিনোর অভিনয় সম্পর্কে Newsweek Magazine এর মন্তব্য, “Arguably cinema’s greatest portrayal of the hardening of a heart” ।
* ডগ ডে আফটারনুন (১৯৭৫)
IMDb Rating: 8.1/10
এই ছবিতে পাচিনো ব্যাংক ডাকাত সনি ওর্টজিকের চরিত্রে অভিনয় করেন। ব্যাংক ডাকাতির বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত এই ছবিটিও পরিচালনা করেছেন সিডনি লুমেট। এই ছবিতে অভিনয় করে পাচিনো প্রিমিয়ার ম্যাগাজিনের “সর্বকালের সেরা ১০০ মুভি পারফরম্যান্স” তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছেন। বিখ্যাত চলচ্চিত্র সমালোচক রজার ইবার্ট বলেছেন, “সনি ওর্টজিক আধুনিক চলচ্চিত্রের অন্যতম আকর্ষণীয় চরিত্র“।
* স্কারফেস (১৯৮৩)
IMDb Rating: 8.2/10
স্কারফেস ছবিতে পাচিনো কিউবান ড্রাগ লর্ড টনি মন্টানা চরিত্রে অভিনয় করেন। পাচিনো নিজে টনি মন্টানা চরিত্রে অভিনয়কে তার ক্যারিয়ারের সেরা কাজ বলে মনে করেন। অধিকাংশ চলচ্চিত্র-প্রেমিকদের মতে টনি মন্টানা চরিত্রটিকে পাচিনো যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন সেটা আর কারও পক্ষে সম্ভব নয়। এই ছবিতে পাচিনোকে দেখে বলিউড তারকা অমিতাভ বচ্চনও দারুনভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। ব্রায়ান ডি পালমা পরিচালিত এই ছবিটি ১৯৩২ সালের Scarface – The Shame of a Nation ছবিটির রিমেক।
* সেন্ট অফ এ উইম্যাণ (১৯৯২)
IMDb Rating: 7.8/10
অবসরপ্রাপ্ত লেফটেনেন্ট কর্ণেল ফ্রাঙ্ক স্লেড (অন্ধ) চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করে পাচিনো ১ম বারের মতো অস্কার ও ২য় বারের মতো গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার জিতে নেন। পাচিনো এই চরিত্রটির জন্য ছিলেন টেইলর-মেড। এই ছবিতে তার অভিনয়ের মধ্যে টেকনিক্যাল পারফেকশন ও কারিশ্মার অপূর্ব সংমিশ্রণ ঘটেছিল । এই ছবিটি ১৯৭৪ সালের ইতালিয়ান ছবি Profumo di donna এর আমেরিকান রিমেক।
এখানে উল্লেখ্য যে, আল পাচিনোর সেরা ৫ পারফরম্যান্সের মধ্যে কোনো ক্রমিক নেই।
ছবিগুলোর নাম সালের ধারাবাহিকতা অনুযায়ী দেয়া হয়েছে। আর, IMDb রেটিংটা হচ্ছে ছবিগুলোর রেটিং, পাচিনোর পারফরম্যান্সের নয়।
অতিথি লেখক
হাম্বু আকিব
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।