এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের কাছে হারার পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হংকংয়ের কাছে শোচনীয়ভাবে হারে বাংলাদেশ। সুপার টেনেও নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারেনি স্বাগতিকরা। শিগগিরই এ নিয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
শনিবার বিসিবির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল হাসান বলেন, “আমরা ম্যানেজমেন্টের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছি। হেড কোচ থেকে শুরু করে টিম ম্যানেজার সবাইকে বলেছি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আমাদের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে।

”
আইসিসির সভায় অংশ নিতে কয়েকদিন দেশে থাকবেন না বিসিবি সভাপতি। ফিরে এসে এই প্রতিবেদনগুলো নিয়ে বোর্ডে আলোচনা করবেন বলে জানান তিনি।
প্রতিবেদন পাওয়ার পর দলের মধ্যে ও ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দেন নাজমুল।
“বেশ কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। শুধু খেলোয়াড়দের কথা বলছি না, ম্যানেজমেন্টেও হতে পারে।

তাদের রিপোর্টের ওপরও অনেক কিছু নির্ভর করবে। তাদের ব্যাখ্যা কিভাবে গ্রহণ করা হবে তা বোর্ডের ওপরই নির্ভর করবে। ”
আপাতত ২০১৫ সালের ওয়ানেডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে এগুতে চান বিসিবি সভাপতি। খুব বেশি দিন সময় নেই, তাই ব্যাপক পরিবর্তনের বিপক্ষেই তার অবস্থান।

“ব্যাপক পরিবর্তন হবে আমি বলছি না।

যেখানে যে পরিবর্তন দরকার সেটাই করা হবে। বলছি না করবোই। আর এটা এতো তাড়াতাড়ি একটা বা দুইটা মিটিংয়ে হবে না। ২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ আছে। আমরা সেই পরিকল্পনা নিয়েই এগোব।

”

বাংলাদেশ দলে বেশি কিছু দুর্বলতা তার চোখে পড়ছে জানিয়ে নাজমুল হাসান বলেন, “আমাদের স্ট্রেংথ হচ্ছে স্পিন। অথচ আমাদের টিমে সাকিব ছাড়া আর তেমন কোনো স্পিনার ভালো করেনি। ব্যাটিংয়ে ধোনি, স্যামির মতো ম্যাচ উইনার আমাদের নেই। এই ধরনের স্কিল আমাদের নেই। ”
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বিশেষজ্ঞ ক্রিকেটার চান নাজমুল হাসান।


“টি-টোয়েন্টি এখনো আমরা পুরোপুরি আয়ত্ব করতে পারিনি। আমাদের বিশেষজ্ঞ খেলোয়াড় নেই। আমাদের অন্তত দুজন করে বিশেষজ্ঞ টি-টোয়েন্টি বোলার আর ব্যাটসম্যান লাগবে। টি-টোয়েন্টি ঠিকভাবে বুঝে উঠতে আমাদের অনেক কাজ করতে হবে। ”
“নতুন কিছু খেলোয়াড় আমাদের দরকার।

আমাদের কিছু দুর্বল জায়গা আছে, সেগুলোকে শক্তিশালী করার জন্য আমাদের অপশনগুলো নিয়ে ভাবতে হবে। আমার মনে হয়েছে, স্কিলের দিক থেকেও আমরা অনেক পিছিয়ে আছি,” যোগ করেন তিনি।
।