আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চাচা, আপন াছা বাঁচা

কবে যাবো পাহাড়ে... কবে শাল মহুয়া কণকচাঁপার মালা দেব তাহারে.... ‘দেশদ্রোহিতা’র সংজ্ঞা কী? এ খায় না মাথায় দেয়? একজন ‘পাবলিক’ হিসেবে আমার জ্ঞান খুবই সীমিত। বিগত কয়েক মাসের ঘটনাপ্রবাহে যা বুঝলাম, ফেসবুক স্ট্যাটাস দেয়া থেকে শুরু করে আলোচনা সভার বক্তৃতা পর্যন্ত সবকিছুই দেশদ্রোহিতার আওতায় আসতে পারে। কিন্তু খটকা লাগে, যখন দেখি- পাবলিকের টাকা চুরি থেকে শুরু করে দেশের গ্যাস-তেল বিদেশী কোম্পানীর হাতে মাগনা তুলে দেওয়া পর্যন্ত কোনোকিছুই আবার দেশদ্রোহিতার আওতায় আসে না। কাজেই, এই শব্দটার সংজ্ঞা নিয়ে একটু ধন্দে আছি। আমার পর্যবেক্ষণ হলো- আপনি যদি হন রাজনৈতিক নেতা, তাহলে সামান্য বায়ুত্যাগের অপরাধেও কাউকে দেশদ্রোহী বলে জেলে পুরতে পারেন।

তবে আপনি নিজে যা খুশি তাই করুন না কেন, আপনি দেশ ও জনগণের অবিসংবাদিত নেতা। আপনার দিকে আঙুল তোলার স্পর্ধা কারও হবে না। কারণ, ওই আঙুল তোলাও দেশদ্রোহিতার শামিল! সেই কারণেই, প্রধানমন্ত্রীর পুত্রধন বাংলাদেশকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বদরবারে উপস্থাপনের ষড়যন্ত্র করেও দেশদ্রোহী হন না। বিরোধীদলীয় নেত্রীর সন্তান চোদ্দো কোটি লোকের রক্তবেচা টাকা পকেটস্থ করেও দেশদ্রোহী হন না। আর এমন গুণধর সন্তানদের মাঝে দল এবং দেশের ভবিষ্যৎ দেখতে পান যারা; এদের হাতে দেশ এবং জাতির নেতৃত্ব তুলে দেয়ার স্বপ্নে বিভোর যেই দুই বঙ্গজননী, তাঁরাও দেশদ্রোহী নন।

তাঁরা সবাই রাজনীতিবিদ। তাঁরা সবাই মুজিব-জিয়ার বংশধর। তাঁদের কেউ আমজনতা নয়। অন্যদিকে আপনি যদি হন আমজনতা তথা পাবলিক, তাহলে ব্যাপারটা একটু জটিল। যেমনটি বলেছিলাম, রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে ভুলে খানিকটা বায়ুত্যাগও যদি করে ফেলেন, তারপর চারদিকে একটু চোখ বুলিয়ে নেবেন- কেউ শুনলো কি না।

বলা তো যায় না, এই অপরাধটাও দেশদ্রোহিতার মধ্যে পড়ে কি না! তাই বলি ভাই, নিজের াছা নিজে সামলান। দরকার হলে ছিপি দিয়ে আটকে রাখুন, তাও ভুলেও কখনও বেফাঁস দেশদ্রোহিতা করে বসবেন না। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।