আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্যয় কমাতে কর্মী ছাঁটাই করছে গ্রামীণফোন.......ছাটাই ইতিমধ্যেই চলছে,

যাদের চাকুরী যাচ্ছে তাদের কোন করাণ ছাড়াই যাচ্ছে, নানান পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে, যাতে বাদ দেওয়া যায়। আমি আগেও এমন নিয়ে লিখেছিলাম তখন কিছু ছাগু তার প্রতিবাদ করে। আজ বণিক বার্তা তা ফাস করলো। এদের হতাশা কান্না শুনছি, খুব কষ্ট লাগছে, জিপি তার লাভের ২ ভাগ দিয়ে সকলদের বেতন দেয় কিন্তু শোষা শেষ তো ছাটাই। এই সব চাকুরী না করাই ভালো।

আর কার কি পারফরমেন্স তাও জানা আছে। অনেকেই লবিং করে জব নেন। পরে মেধাবী সাজেন। জিপি আবার ইদানিং আরেকটু স্মার্ট হয়ে দেশের ইতিহাস বিকৃতিও শুরু করেছে, জাতীয় কবির গানকেও তোয়াক্কা করছে না। এদের প্রচার সেলে কোন বোকাচুদারা যে কাজ করে আল্লাহই জানে।

সরকারের হস্তক্ষেপ চাই যাতে এদের চাকুরী বাচে। এরা আদালতে যেতে পারে। তাও জানি আদালতে গেলে নীতিবান বড় বড় উকিলরা কিন্তু সেই জিপির পক্ষেই যাবে ,যেমন দেখা গেছে শেয়ার বাজারের ক্ষেত্রে ................................................................................. ছয় সেলফোন অপারেটরের মধ্যে লাভের মুখ দেখেছে একমাত্র গ্রামীণফোন লিমিটেড। যাত্রার ১৫ বছরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক আয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। গত দেড় দশকে প্রতিষ্ঠানের আয় যেমন বেড়েছে, বেড়েছে ব্যয়ও।

তাই ব্যয়সংকোচনের নীতি নিয়েছে গ্রামীণফোন, যার প্রথম ধাক্কাটি পড়ছে প্রতিষ্ঠানের জনবলের ওপর। গ্রামীণফোন সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে প্রায় ৪ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করছেন। এ জনবল অর্ধেকে নামিয়ে আনতে চায় গ্রামীণফোন। ব্যয় কমাতেই প্রতিষ্ঠানটি এ সিদ্ধান্ত নেয় বলে গ্রামীণফোনের বিভিন্ন পর্যায়ে আলাপ করে জানা গেছে। জনবল কমানোর প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কার্যক্রমের অংশ বলে মনে করেন গ্রামীণফোনের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা (সিসিও) কাজী মনিরুল কবির।

তিনি বলেন, ‘গ্রামীণফোন এখন দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে দেশে বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বড় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বেশকিছু বিভাগে অতিরিক্ত জনবল রয়েছে বলে প্রতিষ্ঠান মনে করছে। এ কারণে নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবেই অতিরিক্ত এ জনবল কমিয়ে আনা হচ্ছে। সারা পৃথিবীতেই বড় বড় প্রতিষ্ঠানের বাড়তি জনবল কমানোর নজির আছে।

’ গ্রামীণফোন সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালে একটি পরামর্শক (কনসাল্টিং) প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের খরচ কমাতে বেশকিছু পর্যবেক্ষণ ও পরামর্শ দেয়। এর মধ্যে জনবল ছাঁটাইয়ের বিষয়টিও রয়েছে। গ্রামীণফোনের আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০০৯ সালে বেতন-ভাতা বাবদ প্রতিষ্ঠানটির ব্যয় হয়েছে ৪৪৯ কোটি ১ লাখ ৮৬ হাজার ৫১০ টাকা। ২০১০ সালে এ খাতে খরচ হয় ৬২৭ কোটি ১৯ লাখ ৩৫ হাজার ৪৪০ টাকা। ২০১১ সালে তা বেড়ে হয় ৬৯১ কোটি ১০ লাখ ৬৩ হাজার ২৫২ টাকা।

অর্থাত্ ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠানের জনবলের বেতন-ভাতা বাবদ ব্যয় আগের বছরের চেয়ে ১৭৮ কোটি ১৭ লাখ ৪৮ হাজার ৯৩০ টাকা বেড়েছে। ২০১০ সালের তুলনায় গত বছর এ ব্যয় বেড়েছে ৬৩ কোটি ৯১ লাখ ২৭ হাজার ৮১২ টাকা। সামগ্রিকভাবে সাধারণ ও প্রশাসনিক ব্যয় বাড়ছে গ্রামীণফোনের। ২০০৯ সালে এ খাতে ব্যয় ছিল ১ হাজার ১৭৪ কোটি ৬৭ লাখ ২১ হাজার ৫৬৮ টাকা। ২০১০ সালে ছিল ১ হাজার ৮৫৮ কোটি ৩১ লাখ ৯৪ হাজার ৪৩৩ এবং ২০১১ সালে ১ হাজার ৮৩১ কোটি ৭৩ লাখ ৩৮ হাজার ২৯০ টাকা।

গত বছরের মাঝামাঝি থেকে বাড়তি ব্যয় কমিয়ে আনার দিকে নজর দেয়ায় ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠানটির সাধারণ ও প্রশাসনিক ব্যয় আগের বছরের চেয়ে কিছুটা কমে আসে। ব্যয়সংকোচনের অংশ হিসেবে শুরু হয়েছে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগের আকার ছোট করা। একই সঙ্গে কোনো কোনো বিভাগের একত্রীকরণও করেছে প্রতিষ্ঠানটি। জানা গেছে, চলতি বছর গ্রামীণফোন পরিচালন ব্যয় ২৫ শতাংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

এর অংশ হিসেবে জনবল কমিয়ে বিভিন্ন বিভাগের আকার ছোট করা হবে। প্রতিষ্ঠানের ব্যয় সংকোচনের ধারাবাহিকতায় গত বছর থেকে বেশকিছু বিভাগে শুরু হয় বিদ্যমান কর্মীদের মূল্যায়ন প্রক্রিয়া। মূল্যায়নশেষে কম নম্বরপ্রাপ্তদের ছাঁটাইয়ের তালিকায় রাখছে গ্রামীণফোন। এ ক্ষেত্রে তাদের নিম্নতর কোনো পদে নিয়োগ বা অন্য বিভাগে বদলির সুযোগের মধ্যে যেকোনো একটি বেছে নিতে বলা হচ্ছে, যার কোনোটিই সম্মানজনক না হওয়ায় অনেকেই শেষ পর্যন্ত চাকরি ছেড়ে দেন। সরাসরি ছাঁটাইয়ের কারণে উদ্ভুত জটিলতা এড়াতে এ ধরনের সুযোগ রাখা হচ্ছে বলে প্রতিষ্ঠানটির সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে ২০০৯ সালে একসঙ্গে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কর্মী ছাঁটাই করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে গ্রামীণফোন। ছাঁটাই হওয়া এসব কর্মীর প্রতিবাদ-আন্দোলনের মুখে তাদের পুনর্নিয়োগের ঘোষণা দেয় প্রতিষ্ঠানটি। জানা গেছে, বর্তমানে চলতে থাকা ছাঁটাই প্রক্রিয়ায় আবারও এ ধরনের দাবি-দাওয়া এড়াতে চাইছে গ্রামীণফোন। সম্প্রতি গ্রামীণফোনের বিলুপ্ত হওয়া একটি বিভাগের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রতিষ্ঠানের আইনি কাঠামোর আওতায় নানা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ছাঁটাই করা হচ্ছে। মানবিক দিক বিবেচনায় এটি অবশ্যই অনৈতিক।

ছাঁটাই হওয়ার কারণে অন্য প্রতিষ্ঠানে কাজ পেতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের। প্রসঙ্গত, গত বছর টুজি (দ্বিতীয় প্রজন্ম) লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে গ্রামীণফোনের। লাইসেন্স নবায়ন বাবদ প্রতিষ্ঠানটির দিতে হবে ৩ হাজার ২৪১ কোটি ২০ লাখ টাকা। এর ৪৯ শতাংশ এরই মধ্যে পরিশোধ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বাকি টাকাও দিতে হবে চলতি বছরই।

Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.