আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একজন আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ এবং আমাদের জাতীয় সংসদ

বাংলাভাষার প্রবাদপ্রতীম কবি শামসুর রাহমান স্বদেশের প্রেক্ষিত বিশ্লষণে আক্ষেপ করে বলেছিলেন, 'উদ্ভট এক উটের পিঠে স্বদেশ আমার'। আমার প্রিয় শিক্ষক অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সাঈদের একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে আমাদের জাতীয় সংসদে যে তুমুল কান্ড ঘটে গেল, যেভাবে তাকে তুলোধুনো করে ধৃষ্টতা দেখানো হল সে কথা ভাবতেই সহসাই কবি শামসুরের আক্ষেপ বাণীটির কথা মনে এল। কেন সাংসদরা ক্ষিপ্ত হয়ে অশালীনভাবে দেশপ্রিয় অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সাঈদকে তার অনুপস্থিতিতে হেনস্তা করে আমাদের জাতীয় সংসদকে কলঙ্কিত করল? জানা যায় এর মূল উৎস দৈনিক ইনকিলাবের এক হলুদ সাংবাদিকতা্। উল্লেখ্য, দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শনিবার টিআইবির এক সভায় আবু সায়ীদ বলেছেন, “সাংসদ ও মন্ত্রীরা চোর-ডাকাতের মতো আচরণ করেন এবং শপথ ভঙ্গ করেন। ” অথচ আমরা যারা আব্দুল্লাহ আবু সাঈদের ছাত্র এবং যারা তাঁকে ঘনিষ্টভাবে জানে তারা জানেন স্যারের মতোন শালীন ব্যাক্তিত্বের পক্ষে অশালীনভাবে কোন গোষ্ঠিকে এমনতরো গালাগালি করা সম্ভব নয়।

প্রকৃতপক্ষে তিনি উক্ত সভায় দূর্ণীতিকে সজ্ঞায়িত করতে যেয়ে বলেছিলেন, একটা চোর চুরি করলে বা ডাকাত ডাকাতি করলে দুর্নীতি হবে না। কারণ দুর্নীতির সঙ্গে নীতি সম্পর্কিত। আর চোর বা ডাকাতের নীতিই নেই। তাই তাদের ক্ষেত্রে দুর্নীতির বিষয়টি আসেই না। যদি কোনো মন্ত্রী এই বলে শপথ নেয় যে, তিনি শত্রু-মিত্র ভেদাভেদ না করে সবার প্রতি সুবিচার করবেন এবং সেটা যদি ভঙ্গ করেন তাহলে তা দুর্নীতি হবে।

” এখন আসুন তত্ত্বগতভাবে ধরে নেই আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ স্যার সত্যি সত্যিই বলেছেন, “সাংসদ ও মন্ত্রীরা চোর-ডাকাতের মতো আচরণ করেন এবং শপথ ভঙ্গ করেন। ” সে ক্ষেত্রেও কি সাংসদদের এমন ক্ষিপ্ত হওয়া সমীচিন হয়েছে? বিষয়টা কি ঠাকুর ঘরে কে রে.. আমি কলা খাই না ধরণের হয়ে গেল না! দূর্ণীতের ক্ষেত্রে আমাদের সাংসদরা কি আসলেই ধোয়া তুলসি পাতা? সংসদ নির্বাচনে কোটি কোটি টাকা খরচ করে একেক জন নির্বাচিত হন। নির্বাচনে এমনতরো কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগের শানে নজুল কি জনগণ জানে না! আমাদের সংবিধান অনুযায়ী সাংসদদের মূল দায়িত্ব আইন প্রণয়ন করা। সেটিকে প্রাধান্য না দিয়ে তারা কেন স্থানীয় উন্নয়ন প্রকল্পে জড়িত হতে লালায়িত কেন? অথচ সংবিধান অনুযায়ী স্থানীয় উন্নয়ন প্রকল্প কার্যে স্থানীয় সরকার (যেমন উপজিলা পরিষদ, জিলা পরিষদ) গুলোরই মুখ্য ভূমিকা হওয়ার কথা। অথচ সাংসদের দাবির মুখেই উপজিলা পরিষদকে আজো অকার্যকর করে রাখা হয়েছে।

কেন??? এ প্রশ্নের উত্তরে আমাদের সাংসদরা লা জওয়াব।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.