আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দিল্লীর তেহরান-মস্কোর প্রতি ঝুকার জন্যই কি বাংলাদেশে মার্কিন নৌঘাটিঃ RAW এই ঘটনা ফাস করেছে, সাব্বাস হাসিনা!

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ গত ২৪শে এপ্রিল ২০১২ সাপ্তাহিক ব্লিটজ পত্রিকায় একটি পিলে চমকানো খবর বের হয়। তাতে শিরোণাম হয় "New Delhi in search of new allies" তথা নয়া দিল্লী নতুন মিত্রের সন্ধানে। এই খবরের রিপোর্টার আর কেউ নয় স্বয়ং সালাউদ্দিন শোয়েব চৌধুরী। তার ঐ রিপোর্টের বিষয় বস্তু গুলোও খুবই কৌতুহল উদ্দীপক। এতে বলা হয় ভারতের প্রতিরক্ষা সেক্টরে বেশ কয়েকটি বিষয়ে যে ইসরাইলী কোম্পানীর সাথে সমঝোতা হয়েছিল তা দিল্লী বাতিল করে দিয়েছে।

আরো সহজে বলতে হয় ইসরাইলী কোম্পানীকে আশাহত করা সহ রীতিমত শাস্তি দিয়েছে; Click This Link শোয়েব চৌধুরীর রিপোর্ট মোতাবেক যা বলা হয়েছে তাতে একটা বিষয়ই পরিস্কার যে দিল্লী মার্কিন ও ইসরাইলী ব্লক হতে তেহরনা ও মস্কো ব্লকে ঝুকার চেষ্টায় সক্রিয়। তাই ইসরাইলী কোম্পানীকে এভাবে চপটাঘাত করেছে। শুধু তাই নয় গত বছর ২০১১তে মার্কিন লকহিডের এফ-১৮ এবং এফ-৩৫ জেট বিমান না কিনে ফরাসী ডাসল্ট রাফায়েল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। এই ঘটনায় দিল্লীতে নিযূক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত তো পদত্যাগ করেছেনই এমনকি ইউরোফাইটারও না কেনার জন্য বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুন। ক্যামেরুন ভারতকে বিভিন্ন বৃটিশ সহায়তাও দেবে কিনা সে নিয়েও কথা তুলেন; Click This Link কারণ ভারত মোট ১২৮ টি জেট বিমান কিনবে যার মূল্য ১১ বিলিয়ন ডলার।

তাই মার্কিনিদের সাথে সাথে বৃটিশও হতাশ। ভারত যতই মার্কিন ও অতীতে সোভিয়েতের সাথে ঘনিষ্ঠ হৌক না সে নিজের স্বকীয়তা বজায় রাখতে চেয়েছে এবং বহুলাংশে সফলও। তাই বর্তমান সময়েও সে চাইছে না নিজেকে মার্কিন স্বার্থে আষ্টপৃষ্ঠে জড়িয়ে ফেলতে। এ ছাড়াও ক্রম বর্ধমান তার জ্বালানি তেল, গ্যাসের চাহিদাও একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। ইরান ভারতকে রুপির বিনিময়ে এবং আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে কিছু কম মূল্যেও জ্বালানি তেল বেচতেও রাজি আছে।

তাই শত মার্কিন চাপ সত্ত্বেও দিল্লী ইরান হতে জ্বালানি তেল কেনা বাদ দিবে না। এই সমস্ত বিবেচনায় ওয়াশিংটন ভারতকে সরাসরি কিছু না বললেও সে বসে নেই। গোপনে গোপনে কিভাবে এই উপ-মহাদেশ সহ চীনের উপর নজড়দাড়ি করা যায় সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় হিলারী ক্লিন্টন গত মে মাসের সফরে ঢাকায় এসে হাসিনার কাছে এই বিষয়ে কথা বলে। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য বাংলাদেশের মিডিয়া বা কোন সরকারী মন্ত্রী এই বিষয়ে কথা না বললেও গতকাল ১লা জুন ভারতীয় টাইমস অব ইন্ডিয়া একটি রিপোর্টে বলছে যে আগামী কয়েক সপ্তাহের জন্য মার্কিন নৌবাহিনীর বেশ কিছু জাহাজ বঙ্গোপসাগরে চলাচল শুরু এবং বাংলাদেশে তাদের নৌঘাটি গড়বে।

এটা যে শুধু চীনকে মোকাবেলার জন্য তা নয় বরং ভারতেরও স্বার্থের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে। এই সমন্ধে ব্লিটজের বিশেষ রিপোর্ট বলছে; "This move by America could put India on the back foot if the American fleet moves to Bangladesh, all of India's security installations will come under the American scanner. Bangladesh is not willing to comment on record even offering explanation to deny the developments. This Clinton visit a more strategic one than just a friendly one- the Indian establishment caught unawares--as this base could cast a shadow on India's own strategic interests." Click This Link এই রিপোর্টে যা বুঝা যাচ্ছে মার্কিন সপ্তম নৌ-বহরের ৫০-৬০টি জাহাজ, ৩৫০টি যুদ্ধ বিমান এবং ৬০ হাজার মার্কিন সামরিক সদস্য এখানে থাকতে পারে। বিষয়টির একটি কৌতুহলপূর্ণ দিক হল শেখ হাসিনার সাথে যারা ঘনিষ্ঠ ভাবে থাকে তথা যারা তাকে বাংলাদেশের বিভিন্ন নীতি নির্ধারণী বিষয়ে উপদেশ দেয় তাদের মধ্যেই যে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা RAW এর এক বা একাধিক সদস্য আছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। কারণ হিলারীর কথা বাংলাদেশের কোন সরকারী মন্ত্রী, গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং মিডিয়া জানার আগেই ভারতীয় মিডিয়া প্রকাশ করল তা একমাত্র ইন্টিলিজেন্স তথা গুপ্তচরদের পক্ষেই সম্ভব। যে নৌঘাটি বাংলাদেশের জন্য বিপদের কারণ হতে পারে সেটা অবশ্যই আগে আমাদের স্বার্থের বিষয়টিই আগে।

সেখানে আমরা জানার আগেই যদি ভারতীয় মিডিয়া জানে তো বুঝতে তা হবে যে তাদের গোয়েন্দা ও সরকার বিষয়টি শুরুতেই জেনে গেছে। ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিষয়ক ওয়েব সাইটেও এসেছে; Click This Link এমনি ভারতীয় টিভির রিপোর্টও পেন্টাগনের কিছু আচরণের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে; Click This Link এই ঘটনা অবশ্যই ভারতকে ভীত সন্ত্রস্ত করে তুলেছে। আজকে মার্কিনিদের এই ধরণের প্রভাব বা প্রতাপ যাই বলি না কেন এর জন্য সম্পূর্ণ রুপে প্রথম দায়ী হল ভারত। তারপর শেখ হাসিনা। ভারত কিভাবে বাংলাদেশে আধিপত্য বিস্তার করবে তা সে নিজে সরাসরি না পেরে মার্কিনিদের সহায়তায় ১/১১ ঘটায়।

এখানে গুরুত্বপূর্ণ হল যে জাতিসংঘের কান্ট্রি ডাইরেক্টর রেনেটা লকের যে চিঠি নকল করা হয় শুধু যে নকল তা নয় দীর্ঘ দুই বছরের বেশী এটা সত্য বলে চালানো হয়। যার বিষয়ে রেনেটা লক স্রেফ শেষ সময়ে তথা তার বিদায় কালে অস্বীকার করেন। এর পিছনে মার্কিন প্রভাব কাজ করেছে। দিল্লী মনে করেছিল এক সময় বাংলাদেশ তার পুরোপুরি প্রভাবে চলে যাবে। যখন মার্কিনিরা আর কিছুই করতে পারবে না।

কিন্তু বিধি বাম যে মার্কিনিরা সারা পৃথিবী ভেজে খায় তাদেরকে সরিয়ে ভারত একাই বাহাদুরি করবে সেটা দিবা স্বপ্ন ছাড়া আর কি! ভারত চেয়েছিল বাংলাদেশকে কব্জায় রেখে ছড়ি ঘুরাতে এখন এটা তার নিজের প্রতিরক্ষার জন্যই হুমকি হয়ে যাওয়ার পথে। ভারত চেয়েছিল চীনকে রুখতে। এখন কার্যত সেও মার্কিনিদের হয় চামচামি করবে নতুবা তাকে বহু সময় পর্যন্ত মার্কিন আতংকে কাটাতে হবে। আর শেখ হাসিনা এর বিনিময়ে পদ্মা সেতু, নোবেল পুরস্কার বাগানো সহ ২০২১ কেন ২০৩০ পর্যন্তও ক্ষমতায় থাকলেও আমি অবাক হব না। কারণ হাসিনা দেশ ও জনগণের প্রতি কোন দরদ নেই সে চায় ক্ষমতা, অর্থ ও দাপট দেখানো।

এর জন্য সে এমন কোন খারাপ কাজ নেই যা সে করতে বাকী রাখবে। কোন সন্দেহ নেই যে বাংলাদেশ সম্পূর্ণ একটি অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে হাটছে।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.