আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতার যে মূল্য দিল্লীর কাছে আছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হাসিনার তাও নেই!

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ মমতার আপত্তিতে এবার পেছাচ্ছে বিদ্যুৎ কেনা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির আপত্তিতে ভারত থেকে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি বাস্তবায়নও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হচ্ছে না। এর আগে মমতার আপত্তির কারণে স্থগিত হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি। Click This Link ২০০৮ সালে BAL নেত্রী হাসিনার মহাজোট ক্ষমতায় আসার আগে ঘোষণা দিয়েছিল যে তারা দিন বদলের রাজনীতিতে বিশ্বাসী এবং নেপাল ও ভুটানকে তো বটেই এমনকি চীনকে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যাবহার করতে দিয়ে বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুর বানিয়ে দিবে। তারপর ক্ষমতায় এসে ২০১০ সালের জানুয়ারীতে হাসিনা দিল্লী সফর করে নৌ-ট্রানজিট অব্যাহত রাখার পাশাপাশি সড়ক, রেল ও সুমুদ্র বন্দর ব্যাবহারে ভারতকে অনুমতি দেন। ইতিমধ্যে ভারতের এক্সিম ব্যাংকের সাথে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তিও হয়ে গেছে।

আর ঐ দিল্লী সফরে ২৫০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ আমদানীর জন্যও নাকি সমঝোতা হয়। BAL গোষ্ঠী নিশ্চিত ছিল যে ভারত আমাদের বিদ্যুৎ দিবেই। এরপর বিদ্যুতের চরম লোডশেডিং এ BAL গোষ্ঠী গলাবাজি করেছিল যে ভারত হতে এই বিদ্যুৎ আমদানী করা হলে আমাদের বিদ্যুৎ ঘাটতি নাকি থাকবে না। যেখানে দেশে প্রতি বছর ২০০ মে.ওয়াট চাহিদা বাড়ে ও দৈনিক ঘাটতি ১৫০০-২০০০ মে.ওয়াট সেখানে কিভাবে মাত্র ২৫০ আমরা বিদ্যুতে স্বয়ং সম্পূর্ণ হব? তাও এই বিদ্যুৎ ষ্টেশন নির্মাণ হতে ২-৩ বছর লাগবে। কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে যে পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা তার রাজ্যের মাটিতে খুটি গেড়ে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানীতে নারাজ।

তো BAL নেত্রী হাসিনা দিল্লীর সাথে কি সমঝোতা করল? যেখানে দিল্লীতে নৌ-করিডোরে ফি নেই, সড়ক-রেল ও সুমুদ্র বন্দর ব্যাবহারে চুক্তি হল এই সামান্য চড়া মূল্যের বিদ্যুৎ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন ২০১০ সালে সম্মতি দিয়েও এখন তার অঙ্গরাজ্যের আপত্তিতে এই চুক্তি পিছিয়ে দিল। হাসিনা যেখানে ভারতীয় জাহাজ সমূহকে বিনা পয়সায় বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে চলাচল অব্যাহত রাখতে দেওয়ার পাশাপাশি অরো বড় করিডোর রেল-সড়ক ও সুমুদ্র বন্দর দিয়ে আসল সেখানে মনমোহন সামান্য ২৫০ মে.ওয়াটের আশ্বাস তথা প্রতিশ্রুতি রাখতে পারল না? তাহলে দেখা যাচ্ছে যে দিল্লীর কাছে তার অঙ্গরাজ্য মহা গুরুত্বপূর্ণ। আর দিল্লী ঢাকাকে তেমন সুবিধা না দিলেও বহুগুণ আদায় করে নিল তার সেভেন সিষ্টার্সে যাওয়ার করিডোর নিয়ে। হাসিনা উজাড় করে সব দিলেও বাংলাদেশ তার প্রত্যাশা মোতাবেক পেল না যা মমতার ধমকেই দিল্লী মেনে নিল। একজন বাংলাদেশী হিসেবে এই অপমান কেমনে মেনে নেই? ১৬ কোটি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি যদি একজন মূখ্যমন্ত্রীর কথায় ভঙ্গ হয় তবে হাসিনার কি মূল্য থাকল? এর অর্থ এই দাড়াল মমতা মূখ্যমন্ত্রী হিসেবে দিল্লীকে যেভাবে উঠবস করাতে পারেন হাসিনা সে ভাবে স্বপ্নেও তো দূর জোড়াল কোন দাবীই ভারতের কাছে উত্থাপন করতে পারেন না।

ভারত হল হাসিনার নিকট প্রভু। ভারত যতই বাংলাদেশের ক্ষতি করুক হাসিনা বিনা বাক্য ব্যায়ে তা মেনে নিবে। কারণ সেই ১৯৯৬ সাল হতেই হাসিনা জানে যে ভারতের কাছে স্বাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদা দূর দিল্লী তাকে মূখ্যমন্ত্রীর সম্মানও দেয় না। সে কারণেই ২০০০ সালে কোলকাতায় যেয়ে মূখ্যমন্ত্রীর ডাক শুনেও প্রতিবাদ করেন নি। বরং মূচকি হেসেছিলেন।

কারণ এই সম্মানও তিনি পাবেন না। আজকে হাসিনা ও তার BAL গোষ্ঠী ভারতের পদ লেহন করে বাংলাদেশকে এই অসম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে গেছে। ফলে ভারত হাসিনা ও বাংলাদেশকে পাত্তাই দেয় না। হাসিনা যেখানে সারা দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করে ভারতের কাছে আমাদের ন্যায্য পাওনা আদায়ে জোড়াল দাবী করবে সেখানে উল্টো বিরোধী দল ও দেশপ্রেমিকদের শত্রু ঠাউড়াচ্ছেন। হাসিনার কথা হল ভারতের সাথে যারা শক্তভাবে মর্যাদার সাথে দেন দরবার করতে চায় তারা নাকি মূক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী ও পাকিস্তানী।

তাই এই BAL নেত্রী হাসিনা ও তার দল যতদিন ক্ষমতায় আছে ততদিন ভারত তাদেরকে একটি অঙ্গরাজ্য ও মূখ্যমন্ত্রীর চেয়েও নীচে রাখবে। দিল্লী ঠিকই বাংলাদেশ হতে সুবিধা নিবে কিন্তু বিনিময়ে দিতে গেলে কোলকাতার হাইকোর্ট দেখাবে। আর সেই হাইকোর্ট দেখে হাসিনা বলবে কোলকাতা ও দিল্লীর সাথে সম্পর্ক খারাপ করা যাবে না।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.