আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভাগ্যিস লালনের কোন সন্তানের সন্ধান পাওয়া যায় নি।

জন্মস্থান লালনের জন্মস্থানের আশেপাশে হবার কারণে, লালনের গান শুনতে শুনতেই বেড়ে উঠা বলাচলে। আমাদের আশে পাশের এমন কোন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না যে অন্তত একবার গলা ছেড়ে গায়নি, বাড়ির কাছে আরশি নগর, সেথায় একঘর পড়শি বসত করে, আমি একদিনও না দেখিলাম তারে। তবে ইদানীং আরেফিন রুমি আর হৃদয় খান এলাকার এক বিশেষ যুবক সমাজের (!!!) হৃদয়ের মনি কোঠরে আসন গেড়ে বসেছে। মাস কয়েক আগে বাড়ি গিয়ে সন্ধ্যার দিকে বাঁওড় ধারে বসে আছি, উদ্দেশ্য সূর্যাস্ত দেখবো। আমার কাছ থেকে কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে দুইটা ছেলে বসে মোবাইলে লাউড স্পিকারে গান ছেড়েছে, মন তোরে বলি যত, তুই চলেছিস তোরি মত, সাধ্য কি আমার ছুটি তোর পিছে...... মন বলি তুই ফিরে আয়, মন ছাড়া কি যায় রে বাঁচা, তুই ছাড়া আর কে আছে জীবনে এ এ এ এ পাশ দিয়ে এলাকার এক বৃদ্ধ লাঠি ভর করে যাচ্ছিলেন।

কি মনে করে তিনি এই ছেলে দুইটার কাছে যেয়ে একটু থামলেন, মোবাইলে কি বাজাও ? --গান। শুনেন না? --তা তো শুনি। কি গান এইটা? --আধুনিক গান। --শিল্পীর নাম কি? --নাম বললে আপনি চিনবেন? হৃদয় খান। --এর বাড়ি কই? --জানি না! বাড়ি দিয়া কি করবেন? --একটা থাপ্পড় দিয়া চাপা ভাইংগালামু! ফাজিল কুনহানের! তোমার বাবার নাম কি? ছেলে দুইটা আর কথা বাড়াতে সাহস পায়নি।

কোন রকমে উঠে পড়িমরি করে স্থান ত্যাগ করলো। বৃদ্ধ তার সমস্ত রাগ বাতাসে ছুড়ে দিতে দিতে লাঠিতে ভর করে সামনে এগিয়ে চলল। বুঝতে পারছিলাম, রাগটা আসলে এই ছেলেদের উপরে হয়তো না, রাগ ছিল ঐ হৃদয় খান নামক শিল্পীর উপরে যে নিজের ইচ্ছেমত সংগীত নামক শিল্পটাকে ধ্বংস করছে। অনেকটা বাংলাদেশের রাজনীতির মত অবস্থা। বাবা রাজনৈতিক নেতা হলে, সন্তানকে তাই হতেই হবে।

ভাগ্যিস লালনের কোন সন্তানের সন্ধান পাওয়া যায় নি। তাহলে হয়তো নাম হতঃ লালন খান। যে সংগীতটাকে ইচ্ছেমত ধর্ষণ করতো! বিদ্রঃ এই গুণধর সংগীত শিল্পী ইদানীং আবার রান্না বান্নার উপরে ঝুঁকেছেন। ভয় হয়! কারণ মা খালাদের কাছ থেকে শুনেছি রান্না নাকি একটা শিল্প! ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৫ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.