My work my life. ভাগ্যিস আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িনি পড়লে আমাকেও ....
ভাগ্যিস আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িনি। যদি পড়তাম, আমাকেও শিবির করতে হতো। কারণ আর কিছুই নয়। আমাকে যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গেলে ক্যাম্পাসে থাকতে হত! আর তখন ই তো আমাকে শিবির করা লাগতো। আমিতো একটা অপদার্থ মানুষ।
নিজের জীবনে শিক্ষায় মোটেই এগুতে পারিনি। শুধু নিজের নাম-ঠিকানা, লিখতে পড়তে পারার মতো সামান্য কিছু বিদ্যা অর্জন করেছি।
যা দিয়ে এই দেশ-মা-মাটির কিছুই উপকার হয়না। শুধু উপকার হয় আমার নিজের। আমার পেট চলে।
শিবিরের উপর এত রাগ হতো না, যদি না যারা শিবির করে তারা শুধূ শুধু আমার বাংলাদেশ মা টাকে এমন করে গালি দিত। যারাই শিবির করে তারাই বলে, কি লাভ হয়েছে বাংলাদেশ স্বাধীন করে। আমি ওকথা শুনে আঁৎকে উঠি। হায়, হায়, হায় বলে কি! সামান্য বাংলাদেশের চার অঞ্চলের মানুষ আমরা একসঙ্গে থাকি তাই আমাদের কত কষ্ট হয়। দক্ষিণের মানুষ উত্তরের মানুষকে দেখতে পারেনা।
পূর্বের মানুষ পশ্চিমাদের দেখতে পারেনা। সবাই খালি অঞ্চলভিত্তিক বৈষম্য করতে চায়। আর এ বৈষম্য করে তারাই যারা কিনা এক জাতি এক প্রাণ। বেশিরভাগই বাঙালি বেশিরভাগই মুসলমান। তারপরও এত প্রভেদ! আর পাকিস্তান! সেই কোন দূরের দেশ।
১২ হাজার মাইলের দূরত্ব!
এক ধর্ম ছাড়া ভাষা, সংস্কৃতি, আচার-অনুষ্ঠান কোনকিছুতেই কিছুই মিল নেই। কোনও মিল নেই।
তাদের সঙ্গে আমরা ছিলামও কিছুদিন। কিন্তু তারা আমাদের কোন উপকার না করে শুধু নির্যাতনই করেছে। এত মানুষ মেরেছে আমাদের! এটা খুবই কষ্টের!
আজ শিবির যারা করে তাদের জন্য আমার কোন ক্ষোভ বা কষ্ট হতো না।
কিন্তু আমি রাগ না করে পারিনা। যারা শিবির করে ওরা কেউ আমার বন্ধু, আত্নীয়। এরা আমার চারপাশেই আছে। আমি ওদের সঙ্গে প্রতিদিন দেখা করি কথা বলি। একসঙ্গে খাই চলি।
কিন্তু ওদের জন্য আমার কষ্ট কমেনা। সৃষ্টিকর্তা যদি আমাকে এমন কোন ক্ষমতা দিত তাহলে আমি ওদের ব্রেন ওয়াশ করে বাংলাদেশের জন্য নিরন্তর প্রেম এনে দিতাম। কখনো ওদের বলতে দিতাম না বাংলাদেশ নয় পাকিস্তান দেশটা ভাল ছিল। কখনো বলতে দিতাম না রাজাকার আবার কি জিনিস!
মুক্তিযুদ্ধের সময় হওয়া নির্যাতন ও নিপীড়ন ওদের ব্রেনে পুশ করে দিতাম। তাহলে ওরা আর কিছুতেই মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তির রাজনীতি করতে পারতো না কিছুতেই না! কিছুতেই না!
হে সর্বশক্তিমান তাদের তুমি শুভ বুদ্ধির উদয় কর! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।