আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাকার রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এইডসের জীবাণু। সাবধান থাকবেন সবাই।

মনে হচ্ছে সাক্ষাৎ এইডসের জীবাণু দেখে আসলাম। সকালে গিয়েছিলাম পুরোনো ঢাকায়। নর্থব্রুক হলো রোডে। ফিরছিলাম রিক্সাতে। রিক্সা যখন জেলা প্রসাশকের কার্যালয় অতিক্রম করছিলো, তখন হঠাৎ করে একটা লোক তার ডান হাতে আমার রিক্সাকে বাম পাশ থেকে আটকাতে চাইলো।

রিক্সাটা চলছিলো রাস্তার মাঝ বরাবর। কিন্তু এরমাঝেই ঐ লোকটা রিক্সার হুড ধরে হাটছিলো। খেয়াল করে দেখলাম, তার মুখে দাড়ি। দেখেই হেরোইন খোর মনে হলো। এরপর আমার আরো অবাক হওয়ার পালা।

তার বাম হাতের কব্জিতে কাটা। রক্ত পড়ছে। এবং আরো ভয়াভহ হলো, তার বাম হাতে একটা ব্লেড। সে ঐ ব্লেড দেখিয়ে আমার কাছে টাকা চাইছিলো। হঠাৎ ভয়ে রক্ত হিম হয়ে আসছিলো, টাকার ভয়ে নয়, ঐ ব্লেডে থাকা জীবাণুগুলোর কথা চিন্তা করে।

এতে নানা রোগ জীবাণু থাকা অস্বাভাবিক নয়। এমনকি এইডসের জীবাণুও। কারণ মাদকসেবীদের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে এইডসের বিস্তার ঘটে। তবে হঠাৎ করে পিছন থেকে একটা রিক্সা এসে গেলো আমার সমান্তরালে, এর জন্য ঐ হেরোইনখোর আমার রিক্সা থেকে হাত সরাতে বাধ্য হলো। আমিও আমার রিক্সাওয়ালাকে জোরে চালাতে বললাম।

শেষ পর্যন্ত রক্ষা পেলাম। কিন্তু মনের মাঝে ভয় রয়েই গেলে। এইসব অপরাধীদের পুলিশও ধরে না, কারণ এদের থানায় রাখা কষ্টকর। হাজতে ইচ্ছেকৃতভাবে পায়খানা প্রসাব করে রাখে এরা, ড্রাগ না পেলে গন্ডগো করে। এরা সবাইকে এভাবেই ব্ল্যাকমেইলিং করে যাবে।

টাকা পয়সার ভয় না, যদি ঐ ব্লেড দিয়ে একটা আঁচড় দিয়ে বসে, তাহলে কি হতে পারে কেউ কি চিন্তা করে দেখেছেন? এর আগে এক আত্মীয়ের কাছে শুনেছিলাম, উনি বসুন্ধরা সিটি থেকে সিএনজিতে করে ধানমন্ডীর দিকে আসছিলো, রাসেল স্কয়ারের সিগন্যাল পয়েন্ট। তখন ঢাকার সিএনজিতে যাত্রীদের দুইপাশের জানালাগুলো লাগানো ছিলো না। হঠাৎ জ্যামের মাঝেই এক লোক আসল। তার হাতে ছিলো গু (মানব বিষ্টা)। এবং ১০০ টাকা দাবী করলো, না দিলে সে ঐ গু ছুড়ে মারবে বলে হুমকী দিলো।

ঐ আত্মীয় শেষ পর্যন্ত ১০০ টাকা দিতে বাধ্য হয়েছিলো।  ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।