‘বিচার মানি তবে তালগাছটা আমার’এদেশের এই বহুল প্রচলিত প্রবাদটি বারবার মনে পড়ছে। তত্ত্বাবধায়ক নামক তালগাছের দাবিতে অনঢ় আন্দোলনরত প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে সরকারের সঙ্গে সংলাপে বসানোর মুরুব্বীয়ানায় কোনো ফল যে হবে নাকি সেটা স্পষ্টই বুঝা যায়। তালগাছের দাবিতে অনঢ় থেকে বিচার মানার কোনো সুযোগই নেই। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বর্তমান বিরোধী দলীয় নেত্রী কি কি করেছিলেন সেটা তো ভুলে যায়নি দেশের মানুষ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. ইয়াজউদ্দিনকে (ইয়েসউদ্দিন) ভুলে যাওয়ার কি কোনো কারণ আছে? খালেদা-ইয়াজউদ্দিনের কারণেই এদেশে ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দিনরা দুই বছরের বেশি সময় ধরে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে থাকে জনতার কাঁধে।
তারপরও ম্যাডাম কেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে পাগলপারা?
বিএনপি সরকারের শাসনামলে বিরোধী দল আওয়ামী লীগ যখন রাজপথে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে, তখন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এক বিরল সত্যবাণী উচ্চারণ করেছিলেন। বুদ্ধিদীপ্ত সেই অমৃত সত্যবাণী হচ্ছে ‘পাগল ও শিশু ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়’। আসলেই এই দুনিয়ায় পাগল ও শিশু ছাড়া কেউই নিরপেক্ষ নয়। ক্ষমতায় থেকে ম্যাডাম সেটা বুঝেছিলেন। আজ ক্ষমতার বাইরে গিয়ে কেন এতোটা অবুঝ? এরশাদবিরোধী আন্দোলন শেষে যে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট সামনে রেখে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়েছিল সেই প্রেক্ষাপট এখন কি আছে? তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিএনপির দ্বিতীয় মেয়াদের সরকারের পাপ জাতি সারা জীবনেও মোচন করতে পারবে না।
বাংলাদেশের সবচেয়ে সুবিধাভোগী জ্ঞানপাপী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ আজ্ঞাবহ প্রধান উপদেষ্টা বানাতে এবং দলীয় ব্যক্তি বিচারপতি কে এম হাসানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করতে ক্ষমতা ছাড়ার আগে বিচারপতিদের চাকরির বয়স দুই বছর বাড়িয়ে দেন। মওদুদের নেতৃত্বে বিএনপির এই কূটকৌশলের কারণে ২০০৬ সালের রাজনৈতিক বিপর্যয় নেমে আসে। খালেদা জিয়ার গোপন অভিসন্ধি প্রকাশ হয়ে পড়ায় বিচারপতি কে এম হাসানকে প্রধান উপদেষ্টা করার চেষ্টা ভ-ুল হয়ে যায়। তারপরও বিরোধী দলের আলোচনার ভিত্তিতে প্রধান উপদেষ্টা না করে, রাষ্ট্রপতি ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা করা হয়। এর পরের দৃশ্যপট সবার জানা।
রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যৌথ কর্তৃত্ব উপেক্ষা করে এককভাবে বিএনপির নির্দেশমতো কার্যক্রম চালাতে থাকেন। রাজপথে বিরোধী দল আওয়ামী লীগ প্রতিবাদ করেও কোনো সুফল পায়নি। বারবার উপদেষ্টা পরিবর্তন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে হাস্যকর করে তোলা হয়। বিএনপির নির্দেশমতো রাষ্ট্র চালাতে গিয়ে দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়। বিরোধী দল বঙ্গভবন ঘেরাও করে প্রতিবাদ জানায় এবং রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবি করে।
তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার যখন রাজপথে জনগণের মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে সেই সময়ে ওয়ান-ইলেভেন এসে সাময়িক স্থিতি আনলেও অল্প সময়ের মধ্যেই দেশ বিপর্যয়ে পড়ে। রাজনীতিক-ব্যবসায়ী নির্বিশেষে শত শত মানুষ কারারুদ্ধ হন। বিএনপির সৃষ্ট ছিদ্রপথ দিয়েই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ধ্বংসে নামে সেনা পরিচালিত তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় গ্রেফতার হন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার দুই ছেলে তারেক ও কোকো গ্রেফতার হয়ে নির্মম নির্যাতনের শিকান হন।
ফখরুদ্দীনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার তিন মাসের জায়গায় দু’বছরে বেশি সময় ক্ষমতা আঁকড়ে থাকে। আসল কাজ নির্বাচন ঝুলিয়ে রেখে অসংখ্য এখতিয়ারবহির্ভূত কাজে অংশ নেয় ফখরুদ্দীন সরকার।
কথায় বলে পাপ বাপকেও ছাড়ে না। দ্বিতীয় মেয়াদে বিএনপি এমন আকণ্ঠ দুর্নীতিতে ডুবেছিল যে, পরবর্তীতে তার প্রায়শ্চিত্ত করতে হয়। বিএনপি পুনরায় ক্ষমতায় ফেরার জন্য মওদুদের প্ররোচণায় যে কূটকৌশল করেছিল সেটা বুমেরাং হয়ে যায়।
তারপরও তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিএনপির মায়াকান্না যায় না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার কি খালেদা জিয়াকে আগামীতে ক্ষমতায় যাবার নিশ্চয়তা দেবে? এর জবাব তিনিই ভালো দিতে পারেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি একতরফা নির্বাচন করে খালেদা জিয়া ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এদেশের জনগণ সেটা হতে দেয়নি। তারপরও অতীতের শিক্ষা ভুলে ভুল চালে ড. ইয়াজউদ্দিনকে সামনে রেখে এগিয়েছিলেন খালেদা জিয়া।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরোধিতা ছিল সবচেয়ে বেশি। আর তত্ত্বাবধায়কের সবচেয়ে বেশি বিকৃতি করেছে বিএনপি।
এসব প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখে সুপ্রীম কোর্ট ১৯৯৬ সালে প্রবর্তিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার ত্রুটি, বিচ্যুতি এবং অপপ্রয়োগের ফলে ১৯৯৬ এবং ২০০৬ পরবর্তী অগণতান্ত্রিক পরিস্থিতি, দুর্নীতি ও সামরিক হস্তক্ষেপের কথা বিবেচনা করে এবং এটি অসাংবিধানিক হওয়ায় ২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অবৈধ ঘোষণা করেন তা। দেরিতে হলেও দেশের মানুষের এখন বোধোদয় হয়েছে, যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা তারা চেয়েছিলেন সেটা পাননি। চার টার্মের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্রমশই ব্যর্থ ও বিকৃত হয়ে পড়েছে রাজনীতিকদের অন্যায়, অবৈধ, উদ্দেশ্যমূলক তৎপরতায়।
তাই গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প ছিল না।
এদিকে বিএনপি নেতারা বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু ছাড়া তারা কোনো কিছুতেই আলোচনা করবেন না। সেই তালগাছের দাবিতে অটুট থেকে আদৌ আলোচনা, সংলাপ হবে কি-না সে প্রশ্ন উঠতেই পারে। অবশ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যুটি পুরোপুরি প্রত্যাখান করেছেন। ২৩ মে তিনি পেশাজীবীদের সঙ্গে এক বৈঠকে বলেছেন, মাইনাস টু’র ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো তৎপর।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে কোনো অনির্বাচিত শাসন, অসাংবিধানিক সরকার ক্ষমতায় আসার পথ বন্ধ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো সুযোগ খুঁজছে। ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি। ওয়ান-ইলেভেনে যারা সফল হননি, তাদের খায়েস এখনো রয়ে গেছে।
মূলত ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি ছিল তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগের।
তবে দাবির একটা পরিপ্রেক্ষিত ছিল। ১৯৯১-১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি আবার ক্ষমতায় আসার চেষ্টায় ভয়াবহ দলীয়করণ ও ‘ভোট কারচুপি’র রাস্তা বেছে নেয়। তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাবেক বিচারপতি আবদুর রউফ ছিলেন বিএনপির খাস লোক। সে সময় বিএনপি সরকার মাগুরায় একটি উপ-নির্বাচন এবং ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচন বর্জন সত্ত্বেও ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি সাধারণ নির্বাচন সম্পন্ন করে। দুটোই ছিল ভোটারবিহীন এবং কারচুপির নির্বাচন।
দুটো নির্বাচনেই বিপুল জয় পায় বিএনপি। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক মহল, বাংলাদেশের দাতাগোষ্ঠীগুলো এবং দেশ-বিদেশের বিভিন্ন মহল সে সময় একবাক্যে বলেছে, মাগুরা উপনির্বাচন এবং ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন দুটোই ছিল প্রহসনের নির্বাচন। দুটোই ছিল বিএনপির ক্ষমতা ধরে রাখা এবং দলীয়করণের নির্লজ্জ দু’টি ঘটনা। দেশ-বিদেশে তুমুল নিন্দা-সমালোচনার ঝড় উঠে। কিন্তু বিএনপি এসবের ধার ধারেনি।
১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন জিতে ঠিকই তারা ক্ষমতায় যায়, মন্ত্রিসভা গঠন করে। কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৫ ফেব্রুয়ারির বিপক্ষে যে তুমুল গণআন্দোলন গড়ে ওঠে তা কয়েক দিনের মধ্যে রূপ নেয় সর্বাত্মক গণঅভ্যুত্থানে। সেই চাপেই রাতে সংসদে মোমবাতি জ্বালিয়ে বিএনপি বিরোধী দলের দাবি অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকারবিষয়ক একটি আইন প্রণয়ন করতে বাধ্য হয়। বাধ্য হয় তারা অবৈধ নির্বাচনে জয় পাওয়া ক্ষমতা ত্যাগ করতেও। বিএনপি ইদানীং নানা ক্ষুদ্র উছিলায় গণঅভ্যুত্থান ও সরকার পতনের কথা বলে।
সেই প্রসঙ্গে তাহলে রাতে মোমবাতি জ্বালিয়ে ‘সংসদ’ অধিবেশনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইন পাস করার ঘটনাটা হয়তো অনেকেরই মনে আছে। ১৫ ফেব্রুয়ারির দলীয়করণকৃত প্রহসনের বিপক্ষে গণঅভ্যুত্থান এমনই প্রচণ্ড ও সর্বব্যাপী হয়ে উঠেছিল যে, সন্ধ্যা থেকে সেদিন সংসদে বিদ্যুৎ সরবরাহ পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছিলেন গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া বিদ্যুৎকর্মীরা। এজন্য সংসদে মোমবাতি জ্বালিয়ে আইন পাস করতে হয়। বস্তুত তখনকার গণঅভ্যুত্থানে গণবিচ্ছিন্ন বিএনপি সরকার কার্যত অচল হয়ে পড়ে।
বাস্তবতা হলো, সামরিক যুগের অবসান ঘটিয়ে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রবর্তনের মাধ্যমে এ পর্যন্ত চারটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, সে নির্বাচনের পূর্ববর্তী সময়গুলো মোটেও ভালো ছিল না।
১৯৯১ সালে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় এসে সেই বিএনপিই ক্ষমতার মেয়াদ শেষে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে প্রথম প্রশ্ন তোলে এবং এর বিরোধিতা করে প্রকাশ্যে। সেই যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে একটি অনাস্থা এবং বিতর্কের জন্ম হয়েছিল, তা আজ ১৬ বছর পরও বিতর্কের ডালপালা গজিয়ে বিরাট আকার ধারণ করেছে। তার ওপর সর্বশেষ ইয়াজউদ্দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং ফখরুদ্দীন আহমদের দুই বছরের তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেষ পেরেক ঠুকিয়ে দিয়ে গেছে সেই বিতর্কে। আসলে বিতর্কের শেষ নেই। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় রাজনৈতিক দলগুলোর সহমর্মিতা এবং সহাবস্থান দেখে দেশের মানুষ একটু আশান্বিত হলেও খুব বেশি সময় লাগেনি রাজনীতির পুরনো চেহারায় ফিরে যেতে।
আসল কথা হচ্ছে, আমরা যতই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে দোষারোপ করি না কেন, বাস্তবে এর জন্য রাজনীতিবিদরাই দায়ী। সর্বশেষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পূর্বে রাজনীতির ধ্বংসাত্মক খেলা এবং বিরোধী দলগুলোর আন্দোলনের ভয়াবহতার কথা নিশ্চয় এ দেশের মানুষের মনে আছে।
বর্তমান বিরোধী দল তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে, যার যৌক্তিকতা এবং প্রয়োজনীয়তা মুখে বলাবলি করলেও বাস্তব অর্থে সেটা রাজনৈতিক কারণে চাপা পড়ে যাবে। সমঝোতার রাজনীতির কথা সবাই বললেও বাস্তব অর্থে এর সম্ভাবনা দেখা যায় না। তবে এটা ঠিক, সময় অনেক বদলে গেছে, এ দেশের মানুষ এখন অনেক সচেতন।
নির্বাচন নিয়ে সমস্যা থাকলেও মানুষ কিন্তু সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করছে না। চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন যার প্রমাণ। নির্বাচন নির্বাচনের মতোই হয়েছে, জনগণ তাদের মতামত প্রতিফলিত করেছে। সরকার এসব নির্বাচনের রায় তাদের অনকূলে নিতে চায়নি। নির্বাচন কমিশনও তাদের সক্ষমতা দেখিয়েছে।
তাই এসব পেক্ষাপট বিবেচনা করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে দলীয় সরকারের অধীনেই। যার অধীনেই নির্বাচন হোক না কেন, নির্বাচন কিন্তু হবেই। তবে কথা হচ্ছে, আন্দোলন-সংগ্রাম করলেই যে জনপ্রিয়তা বেড়ে যাবে বা জনগণের আস্থা অর্জন করা যাবে সেটা ভাবা ঠিক হবে না। জনগণের ভোটে জনপ্রতিনিধি হওয়া আগামী দিনগুলোতে অনেকের জন্য কঠিন হয়ে যেতে পারে। সে কথাগুলো কেউ ভাবছেন কি-না জানি না।
আগামী নির্বাচনে নতুন এবং অরাজনৈতিক অসংখ্য মুখ জাতীয় সংসদে দেখা গেলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ রাজনীতিবিদ এবং রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের মতামত উপেক্ষা করে নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে একটা অনাকাক্সিক্ষত সংঘাতের দিকে যাচ্ছে, যা জনগণের কষ্ট এবং দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিচ্ছে। একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনই জাতিকে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারে। শুধু শুধু পাগল আর শিশুর অপেক্ষায় নিজেদের শক্তি ক্ষয় করে লাভ কী?
সূত্র:
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।