আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তত্ত্বাবধায়ক ও নিরপেক্ষতা

ভাবতে থাকি


আমাদের দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কি নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্বব নয়? সম্বব । ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন দেখে তাই মনে হয়। কত পারসেন্ত ভোট পড়েছে সেটা মূলত নির্বর করেছে অন্য দলের অনুপস্থিতি এবং সহিংসতা আর ভয় দেখানোর কারনে। ভোট সাংবিধানিক অধিকার এর এই ভোট দেয়ায় মানুষ হত্যা!!! এটা অন্য কোন শত্রুতা ?> এখন বিরোধী দলকে বলতে হবে তারা নিরপেক্ষ সরকার চায় না নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়? এমনও হয়েছে অতীতে নিরপেক্ষ সরকার দিয়েও ঠেকাতে পারেনি ভোট কারচুপি। তবে প্রশ্ন উঠছে এই নির্বাচনে কি কারচুপি হয় নি? হ্যাঁ হয়েছে।

তবে যদি বিরোধী দলও অংশগ্রহণ করত তবে এই কারচুপি তারাই ঠেকাত। এবং ভোটারও বাড়ত। যদি কারচুপির চিন্তা মাথায় থাকে তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিয়েও কারচুপি করা যায়। সেটা দলীয় তত্ত্বাবধায়ক।
আজ আমাদের দেশের মানুষ নিরপেক্ষ হতে পারছে না।

কেউ আওয়ামীলীগ আবার কেউ বিএনপি। আমি বলি আমি বুজি না নিরপেক্ষ আমি বুঝি সত্য আর ন্যায়ের পক্ষ থাকাই বিবেকের জয়। আর এই জয় যারা দিতে পারবে তারা কোন দল সাপোর্ট করবে তার চেয়েও বড় হবে তাদের নীতির জয়। তাই নিরপেক্ষ দরকার চিন্তায়। যদি স্বাধীনতার পক্ষে কেউ যায় তাকে যদি আওয়ামীলীগ বলে নিরপেক্ষ থেকে দূরে সরিয়ে দেয় তবে তা হবে চিন্তার বোকামি।

কেউ যদি মনে করে জিয়াউর রহমান রাজাকারদের ক্ষমা করে এবং এই দেশে রাজনীতি করতে দেয়া ভুল হয়নি, তবে সে চরম ভুল করে বেঈমানি করে চলছে বাঙ্গালী জাতির সাথে। এর মানে সে বিশেষ কোন পক্ষকে রায় দিয়ে ভুল কররেই থাকবে আর এটা নিরপেক্ষতা এটা ভণ্ডামি আর বেঈমানি। যে বেইমানির খেসারত আজও স্বাধীন বাঙ্গালীরা দিয়ে যাচ্ছে ভয় রক্ত আর ধ্বংস দিয়ে। আমরা বাঙ্গালী আমাদের সক্রিয়তা আছে আমাদের নিজস্ব জাতিয়তা আছে আমাদের ইতিহাস আছে আমাদের ঐতিহ্য আছে আমরা তার পক্ষে যাবই। কারন আমরা মানুষ, মানুষ সৃষ্টির সেরা তার উন্নত চিন্তা, নিজস্ব সংস্কৃতি সহ উন্নত বৈশিষ্টের জন্য তাই মানুষ হিসেবে নিজের জাত, সংস্কৃতিকে সম্মান করা।

আর যারা করবে না তারা বের হয়ে ঝাক আমাদের জাত হতে। আজ আমাদের বুদ্ধিজিবিরাও সু-উচ্চ কণ্ঠে বলতে পারবে না জয় বাংলা। স্বাধীন বাংলাদেশে জয় বাংলা বলতে পারবে না! এর ছেয়ে বড় লজ্জা আর কি? কারা আমাদের এই ভয় দিয়েছে? কারা আমাদের সকল মানুষকে বিভক্ত করে রেখেছে? তাদের এই স্বাধীন বাংলা থেকে উচ্ছেদ করা বাঙ্গালী হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। পাকিস্তান আর তাদের দোসররাতো আমাদের স্বাধীন দেশে এই ভিতি আর বিভক্তি ঢুকিয়ে দিয়ে চরম খুশি। আর অথচ আমরা মনে প্রানে বাঙ্গালীরা খুশিনা কারন যার বিরুদ্ধে আমাদের এত লড়াই এত রক্ত এত নারীর ইজ্জত দিলাম তারা আজও ভয়ে উৎকণ্ঠিত।

পাকিস্তান আমাদের ভিতর যে নষ্ট কলংক বীজ বুনে দিয়েছে তা আজ পুষ্ট আর ছড়িয়ে পড়ছে সারা বাংলায়। তাই মউদুদি নীতি আর জামাত-শিবির এই দেশ থেকে পুরো মুচে পেলতে না পারলে আমরা হাসবো না। জানি অনেকেই আমার সাথে একমত হবেন যে শিবিরতো স্বাধীন বাংলার সন্তার তাদের উচ্ছেদ করা সম্বব না। আসলে জামাত-শিবিরের মগজ আর হৃদপিণ্ড পাকিস্তানের তাই তারা বাংলাদেশদ্রোহী হবেই কারন পাকিস্তানের হয়ে আজও তারা আমাদের মনে করিয়ে দেয় ১৯৭১এর কথা। আমাদের শরীরে আগুন জ্বালিয়ে দেয় প্রতিশোধ নেয়ার নেশায়।

আমাদের দেশের মা-বোনদের ইজ্জত হরন, আমাদের বুদ্ধিজীবী হত্যা, আমাদের সহিদদের রক্ত, আমাদের ঠকানোর জ্বালা আর আমাদের দেশের সব শোষণ করে খেয়ে পরে আবার আমার দেশের বিরুদ্ধাচরন। আজ যখন একটা শিবিরকে দেখি তখন একটা পাকিস্তানী হায়না আর রাজাকার যেন দেখি, শরীর জ্বলে যায়। কীভাবে আজও এই স্বাধীন দেশে এই হায়নারা মুক্ত হয়ে চলছে। লজ্জা দেয় এরা প্রতিনিয়ত বাঙ্গালির স্বাধীনতাকে। আর যেন তারা বলে চলছে পাকিস্তান জিন্দাবাদ।


না কোন সহিংস পথে নয় পাকিস্তানী নীতি পরাজয়ের সংকল্প করতে হবে আমাদের সকল বাঙালিদের সকল বুদ্ধিজীবীদের সকল শিক্ষকদের সকল শিল্পীদের সকল আইনজীবীদের সকল ডাক্তারদের সকল ধার্মিকদের সকল ছাত্র-ছাত্রীদের সকল রাজনীতিবিদদের সকল শ্রমিকদের সকল কৃষকদের আরও সকল আপামর বাংলাদেশী ও বাঙ্গালী জনতাকে। এই গন দাবি সফল করতে হবেই এটা আমাদের সংকল্প। রাজনীতির মাঠে তারা সুযোগ যেন নিতে না পারে তাই সকল রাজনীতিবিদদের শফত নিতে হবেই। এই গন দাবি আমাদের অস্তিত্বের আমাদের ইজ্জতের আমাদের জাতির আমাদের দেশের মাটির।
আজ দেশে বেড়েছে দেশদ্রোহীদের আস্ফালন বেড়েছে তাদের রাজনৈতিক কদর বেড়েছে জামাত-শিবির।

একটা একটা করে সব জামাত-শিবির হত্যার মাধ্যমে শেষ নয়, শেষ করতে হবে তাদের নীতি। কেননা নীতি শেষ না করলে আগামীতে আরও অনেক দেশদ্রোহী জন্ম নেবে এই বাংলায়। মানুষ হত্যা তখনই হয় যখন সে তার নীতি হারায়। আর পাকিস্তান আমাদের অস্তিত্ব হতে তখনই হারাবে যখন জামাত ইসলামি নীতি আমরা বর্জন করি। আর জামাত-শিবির ক্ষমার কাঠ গড়ায় দাড় করাতে হবে।

তাদের ক্ষমা চাইতে হবে সমগ্র বাঙ্গালির কাছে আর যেহেতু তারা এই দেশের সন্তান ভুল করেছে আর নিজেদের ভুল স্বীকার তাদের ক্ষমা ছেয়ে বাঙ্গালী হতে হবে। বাঙ্গালির মহা হৃদয় আজও দেখেনি জামাত-শিবির।
যদি তারা পাকিস্তানী নীতি বর্জন না করে এবং ক্ষমা না চায় তবে তারা এই দেশের উদ্ভাস্তু রোহিঙ্গাদের মত। ক্ষমা চাওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের এই দেশের করুণার পাত্র হয়ে বেঁচে থাকবে। আর উদ্ভাস্তু জামাত-শিবির এই দেশে সমান সুবিধা পাওয়া উচিৎ না।

উদ্ভাস্তু হয়েও জামাত-শিবির যদি পাকিস্তানের সন্তান মনে করে মানে দেশদ্রোহী করে তবে এই দেশের আলো বাতাস খাদ্য তাদের জন্য হারাম। যারা একাত্তরে নিধন করেছে আমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের আজ তারা অন্য উপায়ে দেশের মেধাবী সৎ সন্তানদের শিবির সৃষ্টির মাধ্যমে দেশদ্রোহী করে তুলছে। আগামীতে এই ধারা অব্যাহত থাকলে দেশের জন্য আর কোন মেধাবী থাকবে না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।