ভিসির পদত্যাগের পর তাদের শিক্ষক হওয়ার স্বপ্নের কি হবে?
ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি সৌমিত চন্দ জয়দ্বীপ তার খালাতো দুলাভাই বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর সুকল্যাণ কুমার কুন্ডুর মাধ্যমে বাংলা বিভাগের শিক্ষক হতে চেয়েছিলেন। ছাত্র ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক মৈত্রী বর্মণ হতে চেয়েছিলেন সিএসই বিভাগের শিক্ষক। তাকে ম্যানেজ করেছিলেন অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান আমীর হোসেন। স্বৈরাচারী ও দূর্নীতিবাজ ভিসির পদত্যাগের মাধ্যমে প্রগতিশীল নেতৃবৃন্দের শিক্ষক হওয়ার খায়েশ অপূর্ণই থেকে গেল।
ভেস্তে গেল প্রগতিশীল নেৃতবৃন্দের শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন।
তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ভিসি যাই করুক, ছাত্র ইউনিয়ন আর ছাত্র মৈত্রী ক্যাম্পাসে ভিসির বিরুদ্ধে কোন আন্দোলন করবে না। শেষ পর্যন্ত ছাত্র ইউনিয়নের সেক্রেটারী জিন্নাহ আর তুবার বলিষ্ঠ ভূমিকার কারণে ছাত্র ইউনিয়ন শেষ পর্যন্ত আন্দোলনে নামেন। ফলে জয়দ্বীপের সঙ্গে বিরোধ বাধে তুবা ও জিন্নাহর। আন্দোলনে যখন ক্যাম্পাস প্রকম্পিত, তখন অসুস্থতার ভান ধরে জয়দ্বীপ হাসপাতালে শুয়ে থাকেন। পুরো আন্দোলন পরিচালনা করেন জিন্নাহ আর তুবা ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকে।
এমনকি আন্দোলন চলাকালেও জয়দ্বীপ ছাত্র ফ্রন্টের মৈত্রী বর্মণ আর নাসিরের সঙ্গে মিলে সাংস্কৃতিক জোটের নেতাদের আন্দোলন স্থগিত করার ব্যাপারে প্ররোচিত করেন। যখন আন্দোলন তুঙ্গে, তখন তারা আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য ঢাকা আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করার ব্যাপারে প্ররোচনা দেন। লক্ষ্য ছিল,পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে করা। শেষ পর্যন্ত তারা ব্যর্থ। ছাত্র ফ্রন্ট এখন ক্যাম্পাসের সবচেয়ে ঘৃণিত সংগঠন।
আর সবচেয়ে ঘৃণিত প্রগতিশীল নেতা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি জয়দ্বীপ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।