আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এমনই আচরণ ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের।

জানতে ভালোবাসি,...তাই প্রশ্ন করি... আওয়ামী লীগ কথায় কথায় নিজেকে একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে জাহির করে থাকে। সুযোগ পেলেই দলটি তার প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপিকে এই বলে ঘায়েল করে যে, বিএনপি অগণতান্ত্রিক দল এবং তার জন্ম ক্যান্টনমেন্টের ছত্রছায়ায়। কিন্তু কী ক্ষমতায়, কী বিরোধী দলে—আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিস্ট আচরণই যেন দলটির একমাত্র বৈশিষ্ট্য এবং কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গণতন্ত্রের মূল বাণী হচ্ছে পরমতসহিষ্ণুতা। কিন্তু এর ধারে-কাছেও নেই আওয়ামী লীগ।

গণতান্ত্রিক চর্চা বলতে তাদের কাছে আওয়ামী লীগ যা বলবে, যা করবে সেটাই গণতন্ত্র। অন্যরা কী বলল না বলল কিংবা কী করল না করল—সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়। বিরোধী মত বা ভিন্নমত বলতে আওয়ামী লীগের কাছে কোনো কিছু নেই। আওয়ামী লীগের প্রয়োজন হয়েছে তাই নির্বাচনের সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার হয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রয়োজন নেই তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারেরও আর প্রয়োজন নেই।

তেমনি আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকলে হরতাল হবে। অন্যরা বিরোধী দলে থাকলে আবার কিসের হরতাল? তারা কেন হরতাল করবে? তারপরও তারা যদি হরতাল করে তাহলে তাদের জেল-জুলুম, দমন-পীড়নের শিকার হতে হবে। ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগ যা ইচ্ছে তা-ই করবে। দুর্নীতি করবে, ঘুষ খাবে, অন্যের জায়গা-জমি দখল করবে, নিজেদের লোকদের সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেবে, প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার নামকরণ নিজেদের নামে করবে—এ নিয়ে কারও কথা বলার কিছু নেই, অধিকার নেই। দেশের বারোটা বাজলে বাজবে।

দেশের উন্নতি, জনগণের উন্নতি করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। আওয়ামী লীগের লোকজনের উন্নতি হলেই তো হলো। বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী গুম হয়েছে তো কী হয়েছে? শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলাম গুম হয়েছে তো কী হয়েছে? এ জন্য বিএনপিকে হরতাল করতে হবে কেন? হরতাল করলে জেলে যেতে হবে, পুলিশের মার খেতে হবে। এমনই আচরণ ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।