অবশেষে অচলাবস্থার অবসান হয়েছে, শরীফ এনামুল হক পদত্যাগ করেছেন এবং আনোয়ার হোসেন কে নতুন ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এটা খুবই ভাল কথা। কিন্তু ঘটনাটা ঘটতে অনেক দেরী হয়েছে। জুবায়েরকে জীবন দিতে হয়েছে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা নির্যাতনের শিকার হয়েছে এবং সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়ে গেছে শিক্ষার্থীদের। তাদের শিক্ষাজীবন থেকে অনেকগুলো দিন খসে গেছে।
এর পূরণ কিভাবে হবে তা কেউ জানে না।
তবে এটাই কি সমস্যার সমাধান? শরীফ এনামুল হক যা করেছেন তা বিতর্কিত। কিন্তু আনোয়ার সাহেব যা করবেন তা কি সবাই মেনে নেবে? যতই নিরপেক্ষতার কথা মানুষ বলুক না কেন নিজের স্বার্থের বিরুদ্ধে গেলে যে কোনো উদ্যোগেরই বিরোধিতা করা আমাদের অভ্যাস।
আনোয়ার সাহেব বলেছেন তিনি বিশ্ববিদ্যালয় বিধি অনুযায়ী চলবেন। কিন্তু বিধি তো প্রথমেই লঙ্ঘিত হলো।
চ্যান্সেলর যদি এখন উপ উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ কারো হাতে দায়িত্ব দিয়ে নতুন ভিসি প্যানেল নির্বাচনের ঘোষণা দিতেন তাহলে বিধির যৌক্তিকতা থাকতো। এখন তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পাঠানো হলো-- জাহাঙ্গীরনগরের শিক্ষকরা তা মেনে নেবেন তো?
যে যত কথাই বলি না কেন, আমরা বড় মানুষদের যত বড় মনে করি তাদের মনটা অনেক সময় অত বড় হয় না। আর সেখানেই তো সব বিপত্তি।
তারপরও আশা করবো, জাহাঙ্গীরনগরে আবারো পড়াশুনার পরিবেশ ফিরে আসবে এবং যেটুকু ক্ষতি হয়েছে তা সবাই মিলে পূরণ করার চেষ্টা করবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।