রিমঝিমমনি, রাতুল, জহিরুল, জেনারেশন সুপারস্টারভাইয়ারা আর অজানা এক জন এদের সবার কথা শুনে তো আমার আক্কেল গুড়ুম! আমাকে নাকি শততম পোস্ট উপলক্ষ্যে স্পেশাল লেখা দিতে হবে। আরে আমার সব লেখাই তো আমার কাছে স্পেশাল। কোনটা আবার বেস্পেশাল?
যাইহোক এতজনের কাছে একই কথা শুনে আমি তো মহা চিন্তায় পড়ে গেলাম। আমার অবস্থা হলো অনেকটা সেই গ্রাম্য নাপিতের মত। যে কিনা তার ধারালো খুরের এক এক পোঁচে সেরে ফেলতো বড় বড় সব অপরেশন।
সেই গ্রামের পসার হারানো শিক্ষিত ডক্টর যখন তাকে শিখিয়ে দিলো চিকিৎসা ও অপারেশনের নানা কৌশল। সেদিন থেকেই নাপিতের ডক্টরগিরি চির জীবনের জন্য স্থগিত হলো। সে চাকু, ছুরি হাতে নিলেই ভেবে ভেবে মরে , না না এই দিকে প্রবাহিত হয় রক্তনালিকা, ঐ দিকে রয়েছে শিরা উপশিরা...
যাইহোক অনেক খুঁজে পেতেও শততম পোস্টের জন্য কোনো স্পেশাল টপিক পেলাম না আমি। প্রথমে ভাবলাম রিমঝিমমনির প্রিয় আর আমার তো অবশ্য অবশ্য প্রিয় সেই খোকাভাইকে নিয়েই না হয় একটা কবিতা লিখে ফেলি। তারপর ভাবলাম রাতুলভাইয়ার জন্য না হয় লিখি দুঃসাহসিক কোনো সুপারহিরো বিষয়ক ছোটদের একটা গল্প।
আর জহিরুলভাইয়ার কেমন লেখা প্রিয় হবে ভাবতেই আমি তো ইন্নিনিল্লাহ
তার এই পোস্ট দ্রষ্টব্য। আর জেনারেশনভাইয়ার প্রিয় লেখা তো নিশ্চয় লিখতে গেলে আমাকে কোটিবার আউড়াতে হবে লা হাওলা কুয়াতা ইল্লাবিল্লাহেল আলীউল আজীম। কারণ । তাই অবশেষে আমার প্রিয় বিষয় "হাবিজাবি" নিয়েই লিখতে বসে গেলাম।
কেমন আছিস আমার ছেলেবেলা?
আমার খুব ছোটবেলার কথা মনে পড়ে।
যখন তখন, যেখানে সেখানে, কারণে অকারণে। হয়তো রাস্তা দিয়ে চলেছি হঠাৎ বাবার হাত ধরে ছোট্ট কোনো মেয়ে, মনে পড়ে আমার ছেলেবেলা। আমার খুব প্রিয় একটা শখ শপিং মলগুলোর পুতুলের দোকান ঘুরে ঘুরে সুইটি সুইটি কিউটি কিউটি পুতুলগুলো দেখা। ঝকঝকে কাঁচের দেওয়ালের ওপারে কি সুন্দর সব সাজানো পুতুল! আমার মনে পড়ে যায় আমার ছোট্ট বেলায় এমন সব পুতুলের কথা। একদিন ছোটবেলায় দোকানের গ্লাসের ওপর নাক ঠেকিয়ে অবাক চোখে ওদেরকে দেখবার সময়, ওপার থেকে স্থির চোখে তাকিয়ে থাকা একটা সোনালী চুলের দুই বেনী ঝুলানো পুতুল জিব বের করে হঠাৎ আমাকে ভেংচি কেটেছিলো।
মনে পড়ে হারিয়ে যাওয়া ব্রাউন কালার জুতোর গায়ে হলুদ ডোরাকাঁটা ডিজাইন অথবা ভীষন ভালোলাগার কোনো স্কুলব্যাগ। ব্যাগটার মসৃণ গায়ে হাত বুলোলেই কি এক প্রশান্তি। অথবা লাল নীল সবুজ হলুদ রঙে ভরা এক বক্স ক্রেয়ন। বাবা এনেছিলো সেসব একদিন .........
ছেলেবালার দিন ফেলে এসে
সবাই আমার মত বড় হয়ে যায়..
জানিনা কজনে আমার মত
মিষ্টি সে পিছু ডাক শুনতে পায়...
আয় খুকু আয়......
বাবার কথা আমি কিছুতেই মনে করতে চাইনা। কখনও না।
কারণ যখনই তার কথা আমার মনে পড়ে আমার চোখ দিয়ে পানি পড়তে শুরু করে। এই যে এখন লিখছি এখনও একইভাবে চোখ থেকে অঝর ধারা বইতে শুরু করেছে। শুরু হলো মাথা ব্যাথাও। । অনেক অনেকদিন ভেবেছি বাবাকে নিয়ে আমার ভেতরের বেঁধে রাখা জলস্রোতের বাঁধটা একদিন খুলে দেবো আমি।
বাঁধখোলা সেই স্রোতে ভেসে যাবো নিশ্চিৎ। দুকূল ভাসানো সেই স্রোতে সাঁতার কেটে কেটে হালকা হয়ে যাবো আমি। কিন্তু কেনো যেনো সেই স্রোতটাকে বড় ভয় আমার। সেই অদৃশ্য স্রোতের বাঁধটা খুলে দেইনা আমি কখনও, কারো কাছেই।
নাহ! খুব খারাপ হচ্ছে।
শততম পোস্টে এসব কথা লেখার কোনো মানেই নেই। যারা পড়ছে সবার মনটা হয়তো একটু একটু খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আচ্ছা বাবাকে নিয়ে একটা খুব মজার স্মৃতি বলি। আমার জীবনের প্রথম প্রেমিক রবিঠাকুরকে চিনিয়েছিলেন বাবা। নানারকম ছড়াগান আর দেশাত্ববোধক গান থেকে বেরিয়ে এসে বেঁছে নিলাম রবীন্দ্র সঙ্গীত।
বাবারই অনুপ্রেরনায়। সেই ছোট্টবেলায় আমার গানের টিচার খুব কঠিন একটা গান শিখতে দিয়েছিলেন আমাকে। যে গানের মানে সেদিন আমি বুঝিনি। গানটা ছিলো,
এই করেছো ভালো নিঠুর হে, এই করেছো ভালো
এমনি করে হৃদয়ে মোর তীব্র দহন জ্বালো।
গানটার মানে আমি আজও খুঁজে বেড়াই।
যাইহোক, ছেলেবেলা নিয়ে আমার এতসব বলার কারণটাই হলো, আমার খুব খুব লিখতে ইচ্ছে হয় আমার অতি অতি প্রিয় ছেলেবেলাটা নিয়ে। মাইনাসে মাইনাসে(মাইনাস ভাইয়া না) যেমন প্লাস হয় ঠিক তেমন সুখেসুখে আর দুঃখগুলো মিলে আমার ছেলেবেলা ঘিরেই ঘুরে বেড়ায় আমার সকল ভালো লাগার দিনগুলি।
সেই যে আমার নানা রঙের দিন গুলি....... আমার অপ্সরাবেলা
তখন আমার হৃদয় জুড়ে শুধুই এক দূরদেশী রাখাল বালক। বুকের ভেতর জমে থাকা যত মান অভিমানগুলি শুধুই ফুলে ফেপে উথলে উঠতো, আমার সকল সুখ দুঃখ আর ভালোবাসা ছাপিয়ে। ঢেলে দিতে ইচ্ছে হতো অপকটে সেসব এই ব্লগের পাতাটায়।
দূরদেশী সেই রাখালছেলে,
আমার বাটে বটের ছায়ায় সারাবেলা খেলে..
আমি তারে শুধাই যবে কি তোমারে দেবো আনি
সে শুধু কয় আর কিছু নয় তোমার গলার মালাখানি....
দেই যদি তো কি দাম দেবে?
যায় বেলা সেই ভাবনা ভেবে...
ফিরে এসে দেখি ধুলায় বাঁশীটি তার গেছে ফেলে।
বাঁশী। আমি মেলা থেকে তালপাতার এক বাঁশী কিনে এনেছি....
বাঁশীর কথা মনে পড়লেই আমার মনে পড়ে ছেলেবেলায় নানুবাড়ির মেলায় কেনা বাঁশির কথা। মনে পড়ে সেই চকখড়ি, ইটের টুকরোয় আঁকাআঁকি, সিনডেরেলা, উইজার্ড অফ ওজ পড়ার দিনগুলি। সেসব কথা অবশ্য আমি এখানে মাঝ মাঝেই লিখেছি।
লিখেছি আমার নানা রকম মজার মজার ভালোলাগাগুলির কথা। আমার ছবি আঁকা, নাচ, গান আর পুতুলখেলার দিনগুলি। আজও বৈশাখী মেলায় যাই, আজও গান গাই, নাচও করি আর ছোট্ট ছোট্ট বেবিদেরকে মন্চে নাচাই। নাচাই আমার পুতুলগুলোকেও।
বাঁশী কই আগের মত বাজেনা, মন আমার তেমন কেনো সাজেনা..
তবে কি ছেলেবেলা অনেক দূরে ফেলে এসেছি........ গায়িকার কথাগুলোর সাথে ঠিক মেলেনা আমার।
মাঝে মাঝে ভাবি, রুপকথার জীবন থেকে আমার আসলে কখনও বের হয়েই আসা হয়নি। ভালোই তো আছি। অথবা অনেক অনেক ভালো।
আমার মৎস্যকুমারীর সাগরের জীবন...
এই যে সাগরতলে আমার এরিয়েল, অপেক্ষায় আছে তার রাজকুমারের। আমার রাজকুমার ময়ুরপঙখী ভাসিয়ে দিয়ে সেথা রোজ সকাল সন্ধ্যায় দেখতে আসে তারে।
আমার সাত সাগরের পারে। রোজ সকালে উঠে বা বাইরে থেকে ফিরে কিছুটা সময় কেটে যায় আমার এই এরিয়েলের দুনিয়ায়।
টুল নিয়ে এ্যকুরিয়ামের সামনে বসি বা মেঝেতে শুয়ে শুয়ে দেখি গোল্ডফিস, মলি, পাখাওালা এ্যান্জেল, আর চন্চল ডোরাকাটা টাইগার মাছেদের ভালোবাসা। নিসঙ্গ ফাইটার ফিস বড়ই অমিশুক। সাজিয়ে দেই ওদের দুনিয়া নানারকম গাছ, পাথর আর মনিমুক্তোয়।
সাগর তলে ওদের সাজানো দুনিয়াটা কেটে যায় ঠিক আমারই মতন। সাজাই এবং সাজি রতনে, যতনে, কুসুমে, কুমকুমে চন্দনে......
১০১ ডালমেশিয়ানের দুনিয়া থেকে একটি বন্ধু ডালমেশিয়ান....আমার ধারনা ডালমেশিয়ান ডগ বাচ্চাদের যতটা পছন্দ বড়দের ততটা না। আমি আমার দেখা সকল বাচ্চাদের ভেতর গবেষনা চালিয়ে এ তথ্যটাই পেয়েছি। আর তার কারণ হিসেবে পেয়েছি সেই ১০১ ডালমেশিয়ানের গল্প আর নানারকম বাচ্চাদের ম্যুভিতে ডালমেশিয়ানের এই ফ্রেন্ডলী ডগটাকে দেখা।
আমাদের ডালমেশিয়ানটার মত এত ভদ্র নম্র সম্র জীব মনে হয় কেউ কখনও এই দুনিয়াতে দেখেনি।
আমার বাড়ি ফেরার সময় হলে সে যেখানেই থাকুকনা কেনো ছুটে এসে পায়ের কাছে চলে আসবেই। তাকে আদর না করে বাড়ি ঢোকার সাধ্য নেই আমার। তাকে কেউ বকা দিতেই পারেনা। এমন মায়া মায়া চোখে তাকায় সে। শুধু তার একটাই দোষ।
ড্রাইভার দারোয়ান, যে কোনো মহামান্য গেস্ট বা গানের টিচার যেই আসুক না কেনো সবার প্রতিই তার সমান অবিচার। ভুল করেও যদি কারো স্যান্ডেল তার নাগালের মাঝে পেয়েছে, সেটা নিয়ে সে ভো দৌড় দেবেই। লুকিয়ে রেখে আসবে বাগানে। লুকানোর জায়গা হিসাবে তার ক্রিসমাস ঝোপ আর আঙ্গুরলতার পেছনের বেড়াটাই বেশী পছন্দের। তাই তাকে মাঝে মাঝে চেইন দিয়ে বেঁধে রাখা হয় আর তখন তার মনটা বড়ই খারাপ থাকে।
পাখি সব করে রব রাতি পোহাইলো......
ভোরবেলা যখন ঘুম ভেঙ্গে উঠি। দরজা খুলে বারান্দার দোলনায় বসে সূর্য্যদয় দেখার সময়টা আমার খুব প্রিয় একটা সময়। আমাদের বাগানে অনেক অনেক পাখি। ভোরবেলার নীরব নিথর চারিপাশ জুড়ে পাখির কলকাকলী, আবছায়া অন্ধকারে ছাইরঙ গাছের পাতায় ধীরে জাগে আলোর ঝিকিমিকি। আমাকে চমকে দেয়, ঝলমলিয়ে হাসে বাগানের সবুজ সজীব পাতাগুলি।
এক টুকরো স্বর্গ নামে রোজ সকালে আমাদের বাগানে। আমি চুপিচুপি তার নাম দিয়েছি লুকানো স্বর্গদ্যান। আমি তখন দোলদোল দুলুনী রাঙা মাথায় চিরুনী।
চিরুনী চালাই চুলে তড়িঘড়ি, ঘড়ি ধরে সাত টা থেকে সাড়ে সাতটা রেডি হবার সময়, বাসা থেকে বের হওয়া, কত কাজ তখন আমার। ঠিক দুপুরের পর পর আবার অবসর।
আমার এ্যকুরিয়াম জীবন। সাজানো গোছানো। ঝকঝকে তকতকে, দুঃখ ভোলা, ভালো লাগা, হাসি গান আর আনন্দে ভুলে থাকা।
আমার মতন সুখী কে আছে!
আয় সখী আয় আমার কাছে..
সুখী হৃদয়ের সুখের গান , শুনিয়া তোদের জুড়াবে প্রাণ...
আমার ধারণা আমার জীবনের ১০০% হাবিজাবি কথন আজ আমি লিখতে পেরেছি। মাথা নেই মুন্ডু নেই , হাত, পা কিছুই নেই এ লেখার।
কেনো লিখছি তাও জানিনা। আচ্ছা এইবার বলি আমার অতি অতি প্রিয় এই ব্লগটার কথা। এ ব্লগ আমাকে অনেক দিয়েছে। লাভ আর ক্ষতি পাল্লার দুদিকে চড়ালে লাভের পাল্লাটা ঝুঁকে পড়বে অনেক অনেক নীচে। আমি কৃতজ্ঞ তার কাছে যে আমাকে চিনিয়েছিলো এই ব্লগ দুনিয়াটা।
যদিও সে আজ হারিয়ে গেছে ব্যাস্ততম পৃথিবীর শত ব্যাস্ততার কর্মযজ্ঞে।
যাইহোক আমার ধারনা ব্লগ লেখায় যারা লেগেই থাকে তাদের কনফিডেন্স লেভেল বেড়ে যায় অনেক অনেক বেশী। কিছু ক্ষেত্রে ওভার কনফিডেন্স। ব্লগ বা অনলাইন দুনিয়া আমাদেরকে মানুষ চেনায় যতটা হয়তো রিয়েল লাইফের মানুষগুলোকে কখনও ঠিক ততটা চেনা হতনা আমাদের।
আমার ব্লগিং হাতিয়ারের একটি প্রিয় হাতিয়ার( ফায়সালভাইয়ার ভকাব্যুলারী থেকে শেখা)
ব্লগিং এর সাথে সাথে আমার ব্লগিং হাতিয়ারে একটি প্রিয় গেম।
যাইহোক অনেক বক বক করেছি সবশেষে বলতে চাই, একটা সময় সামুতে এসে মনে হয়েছিলো আমি একটা পরিবার পেয়েছি। আমি আজও ভাবি সামু আমার আরেকটা পরিবার। পরিবারের সবাইকে নিয়ে খুশী থাকতে চাই আমি। সবাই তো সুখী হতে চায়....যদিও সেটা এই নিষ্ঠুর দুনিয়ায় সম্ভবপর করে তোলা ভীষন কঠিন একটা ব্যাপার ।
পৃথিবীর সবখানেই মানুষগুলোর মাঝে দিন দিন দূরত্ব বেড়ে চলেছে।
যার ছোঁয়া লেগেছে আমাদের এই ব্লগ পরিবারেও। আমি অতি তুচ্ছ, নগন্য একজন মানুষ হয়তোবা কিন্তু কাউকে দুখী দেখতে ভালো লাগেনা আমার। সবাই সুখে থাকুক, ভালো থাকুক এই আমার চাওয়া। আমার কাছেও ইদানিং কিছু কিছু মানুষের চাওয়া দেখে কুকড়ে যাই আমি। জানিনা কি করে তার সমাধান করবো আমি।
কিছুদিন আগে ....
একজন নারী নিকের ব্লগার আমাকে এসে বললো, আপু আমি খুব বিপদে পড়ে আপনার এখানে মন্তব্য করছি । কিছু বাজে লোক আমাকে ...... ....... আমি জানিনা কি করে সাহায্য করবো আমি তাকে! কি করতে পারি আমি তার জন্য ???
আবার সেদিন........আরও একজন ব্লগার এসে বললেন, আপা আপনার কথা অবশ্যই সামু কর্তৃপক্ষ শুনবে আমার সমস্যর সমাধান টা করে দিন না ........আমার অন্যায় টা কি জানতে পারলে খুশি হতাম।
>>>>> আমি জানিনা কি উত্তর দেবো আমি তাকে? শুধু মনটা খারাপ হয়ে যায়।
লেখোয়াড় ভাইয়ার লেখায় যখন হানিফ রাশেদীনভাইয়াকে বলতে দেখি, ভাঙ্গনকে আমার অনেক মনে পড়ে, মনে পড়ে সুরঞ্জনা আপাকে, হারিয়ে গেলে মনে পড়বে শায়মা আপাকে, এবং আরো অনেককে।
আমার চোখ ভরে ওঠে জলে।
এই সব ভালোবাসার মূল্য কখনও শোধ করা হবেনা আমার আর আমি তা চাইওনা !!!!
কেন এ হিংসা দ্বেষ, কেনো এ ছন্দবেশ কেনো এ মান অভিমান???
বিতর বিতর প্রেম অসার হৃদয়ে জয় জয় হোক তোমারই............
যখনই পেছনে ফিরে তাকাই দেখতে পাই, আমাদেরকে ছেড়ে চলে গেছে অনেক অনেক প্রিয় মানুষেরা। জানি এটাই জগতের নিয়ম। যাওয়ার আসার পথের ধারেই বসে থাকা পথিক আমরা। তবুও কষ্ট হয় যখন দেখি ছোট্ট এই মনিটরের মাঝে দেখা পাওয়া একদিনের সুখ দুঃখ বা হাসিখেলার অদেখা ভুবনের সাথীরা অনেকেই অনেক অভিমানে সব পোস্ট ড্রাফট করে ফেলেছে। গুটিয়ে নিয়েছে নিজেদেরকে, দূরে সরে গেছে বা চলে যাবে একদিন দূর থেকে বহুদূরে।
ভীষন কষ্ট হয় আমার। সব রাগ দুঃখ মান অভিমান ভুলে ইচ্ছে হয় চেঁচিয়ে ডাকি, পথ রোধ করে দাঁড়াই।
বোবা বেদনা অন্তরে কুরে মরে.........
আমার এ শততম পোস্টে সবাইকে জানাই ভালোবাসা। আমি মোটেও মহামানবী নই। নই খুব একটা ভালোমানুষও।
রেগে গেলে বদ্ধ উন্মাদ হয়ে যাই আমি। তবুও আমি চাই সবাই ভালো থাকুক, আনন্দে থাকুক আমাদের ছোট্ট এই এতটুকুন ব্লগ ভুবনে। রঙিন মাছেদের মত জলকেলীতে, আনন্দে ভরে তুলি আমাদের এই মনিটর বা এ্যাকুরিয়াম লাইফটা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।