মহলদার
গতকাল বামুস বা বাওস মাছের উপর একটি পোষ্ট দিয়েছিলাম। অনেকেই বাওস মাছকে কুচিয়া ধারণা করেছিলেন। আজকের পোষ্ট থেকে বাওস ও কুচিয়া মাছের পার্থক্য বোঝা যাবে আশাকরি।
কুচিয়া মাছ অঞ্চলভেদে কুচে, কুইচ্চা, কুচে বাইম নামে পরিচিত। Sybranchidae পরিবারের অন্তর্গত মাছটির বৈজ্ঞানিক নাম Monopterus cuchia ।
এর দেহ লম্বা এবং নলাকার। লেজ খাড়াখাড়ি ভাবে চাপা, ক্রমশ সরু। ত্বক স্যাঁতস্যাঁতে ও পিচ্ছিল। বক্ষ, শ্রোণী, পায়ু ও পুচ্ছ পাখনা অনুপস্থিত, অতি ক্ষুদ্র একটি পৃষ্ঠ পাখনা আছে। আঁইশ অতি ক্ষুদ্র, গোলাকার এবং অষ্পষ্ট; লম্বালম্বিভাবে সজ্জিত।
দেহ গাঢ় বাদামী রংয়ের। উদর হালকা লাল। পার্শ্ব রেখার উপরের অংশে ও লেজে অসংখ্য ক্ষুদ্র গোলাকার ফোঁটা থাকে। লম্বায় এরা ৬০ থেকে ৭০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এরা অগভীর খাল, বিল, হাওড়, বাওড়, পুকুর ও মাটির গর্তে বাস করে।
এরা সাংঘাতিক রাক্ষুসে স্বভাবের। খাদ্য হিসাবে প্রধানতঃ ছোট মাছ ভক্ষণ করে এরা। বড়শীতে ছোট মাছ গেথে কুচিয়ার গর্তে দেওয়ার সংগে সংগেই বড়শী গিলে ফেলে। সাংঘাতিক শক্তিধর এরা। বড়শী গিলে ফেলার পর বড়শী ও সুতা মজবুত না হলে গর্ত থেকে বের করা যায় না।
ধর্মীয় বিধিনিষেধ ও সম্ভবতঃ সাপের মত দেখতে হওয়ায় মাছটি আমাদের দেশে সবাই খায় না। আমাদের দেশের উপজাতীয়রা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের কিছু বর্ণের লোকেরা খেয়ে থাকে মাছটি। তবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে খাদ্য ও এ্যাকুরিয়াম ফিস হিসাবে এর ভাল চাহিদা রয়েছে।
ছবিঃ লেখক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।