মহলদার
বামোস মাছটির বৈজ্ঞানিক নাম Anguillla bengalensis. এটি Anguillidae পরিবারের অন্তর্ভূক্ত। লম্বায় এরা ৮০ থেকে ১২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলভেদে এর স্থানীয় নাম বামোস, বামুস, বামাস, বাউস, বাওস, বানেহারা, বাও বাইম, বাউ বাইম, তেল কোমা, বাও মাছ, বাউ মাছ। এদের দেহ লম্বা, সাপের মত। মাথা কোনাকৃতি।
লেজ খাড়াখাড়ি ভাবে চাপা। মুখের চিড় চোখের পেছন পর্যন্ত পৌঁছে। ঠোঁট পুরু। চোখ মুখের কোনের কাছে অবস্থিত। পৃষ্ঠ পাখনা পায়ু পাখনার উৎপত্তিস্থলের সম্মুখভাগ থেকে আরম্ভ হয়।
ত্বক স্যাঁতস্যাঁতে ও পিচ্ছিল। আঁইশ অতি ক্ষুদ্র, সাধারনভাবে চোখে পড়ে না। পৃষ্ঠ হালকা বাদামী রংয়ের। উদর ও পার্শ্ব হালকা হলুদ। দেহের উপরের অংশে অসংখ্য কালচে ফোঁটা থাকে।
মাছটি আগে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাওয়া যেত। তবে বর্তমানে এটি বিরল প্রজাতির মাছের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে। বর্তমানে পাহাড়ী অঞ্চলের নদীতে কিছু কিছু ধরা পড়ে। দাম ও আকাশ ছোঁয়া। এ মাছটি খেলে বিভিন্ন রোগ ভাল হয় এমন ধারনা প্রচলিত রয়েছে।
একটি এক কেজি ওজনের মাছের দাম ৪০০ টাকার মত।
ছবিঃ লেখক।
তথ্য সহায়তাঃ বাংলাদেশের মাৎস্য সম্পদ-মোহাম্মদ শফি, মিয়াঁ মুহম্মদ আবদুল কুদ্দুস, ইন্টারনেট।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।