আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাছের নাম কুমিরের খিল

মহলদার
কুমিরের খিলের অনেকগুলো প্রজাতি রয়েছে। এই কুমিরের খিলটির নাম কোটা কুমিরের খিল। অতি ক্ষুদ্র হলেও কুমিরের মতই অনেকটা দেখতে এই মাছটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন নামে পরিচিত। কোথাও কুমিরের খিল, কুম্ভির, কুই মাছ আবার কোথাও কুইয়া নামে পরিচিত মাছটি। Syngnathidae পরিবারের অন্তর্গত মাছটির বৈজ্ঞানিক নাম Microphis deocata।

লম্বায় এরা ১০ থেকে ১৫ সে.মি. পর্যন্ত হয়ে থাকে। এর দেহ লম্বা, অর্ধনলাকৃতি। তুন্ড লম্বা, উর্দ্ধমুখী, মুখ ছোট। চক্ষু কোটর দুটোর মধ্যবর্তীস্থল অবতল। উদরের বাইরের দিকে ডিম্ব থলি (ডিম রাখার চেম্বার) থাকে।

বক্ষ পাখনা ছোট, গোলাকার। শ্রোণী পাখনা অনুপস্থিত, পায়ু পাখনা অতি ক্ষুদ্র; গোলাকার। পুরুষ মাছ বাদামী, স্ত্রী মাছ মেটে কমলা। দেশের উত্তরাঞ্চলের নদীতে পাওয়া যায়। তবে মাছটি খাওয়া হয় না।

মাছটি বর্তমানে বিরল। তেমন চোখে পড়ে না বললেই চলে। মৎসজীবিদের কাছ থেকে জানলাম আগে নাকি নদীতে বেশ পাওয়া যেত মাছটি। মাছটি সম্পর্কে জানার পর প্রায় দুই বছর ধরে খুঁজতে খুঁজতে আজ দেখা মিলল মাছটির। গত দুই দিন আগে এটি ধরা পড়েছিল সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার একটি নদীতে।

মাছটির সন্ধান করতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয় লোকের কাছে জানতে পারলাম অনেক কবিরাজ বিভিন্ন জটিল রোগ সারানোর জন্য তাবিজে মাছটি ভরে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। মাছটির কথা জিজ্ঞেস করতেই কেউ কেউ বলেছে, স্যার বহুতদিন ধরে এই মাছটিই তো খুঁজছি একটা তাবিজের লাগি। তথ্য সহায়তা: বাংলাদেশের মাৎস্য সম্পদ- মোঃ শফি, মিয়াঁ মুহম্মদ আবদুল কুদ্দুস, ইন্টারনেট। ছবি: লেখক।
 


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।