"" It is a difficult thing to tell the story of a life;and yet more difficult when that life is one's own. "" ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি যে আমরা বাঙ্গালী কিংবা বাংলাদেশী যাই বলেন না কেন; এরা কথার খই ফুটায়া চলে, আজকে ঐরকম ই একটা কথা মনে পড়ে গেল,
"" রঙ দেখছো, রঙের ডিব্বা দেখো নাই ""
ঘটনা হল সুরঞ্জিত বাবুর রাজনীতিতে ফিরার বলিষ্ঠ (!!!) ঘোষণা দেখে এই কথাটা বেশ মনে পড়লো, তবে একটু অন্যভাবে, শিরোনামের মতন করে,
""বাংলা ছিঃনেমা দেখছো, রাজনীতি দেখো নাই !!! ""
বাংলাদেশের রাজনীতির মঞ্চায়ন বাংলার কিং খান ওরফে শাকিব খানের ছিঃনেমার স্ক্রিপ্ট কেও হার মানায়, নিশ্চয়ই ভাবছেন সেটা কিরকম, আসুন তাহলে মনের অনিচ্ছা সত্বেও বাংলা ছিঃনেমার সারমর্ম জেনে নিই,
"নায়ক থাকে গরীবের সন্তান,নায়িকা বড়লোকের একমাত্র আদুরে কন্যা। নায়িকা রাস্তায় গাড়ি নিয়ে জেট বিমানের গতিতে ড্রাইভ করার সময় পানি ছিটকে যখন নায়কের শরীরের কাপড় লেদাভেদা হয়ে যায় তখন তাদের মধ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিচয়। একদল ইয়া লম্বা চুল ওয়ালার আক্রমণের শিকার হয়ে নায়িকার ইজ্জত যখন প্রশ্নের সম্মুখীন তখন নায়কের লাফীয় আগমন। তার পর আকাশে বেলুন ওড়ানোর মতো গুণ্ডা বাহিনীকে পেটানোর দৃশ্য। এর পরে নায়ক-নায়িকার মধুর প্রণয়।
এর পর ভিলেন হিসেবে নায়িকার বাপের উৎপত্তি। নায়িকার বাপ সাধু সেজে নায়ক কে খুন/ধর্ষণ এর কেসে ফাসায়া দেয়। নায়িকা এতে শোকে অসুস্থ হয়ে পড়ে "''
(আসলে আর গেজাইতে ইচ্ছে করতেছে না )
এবার প্রতিপাদ্য বিষয়ে আসি, সুরঞ্জিত বাবুর এহেন রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন বাংলা ছিঃনেমার সকল নায়কদের ও ফেল করিয়েছে।
আসুন জেনে নিই এই মহা ছিঃনেমার দৃশ্যপটঃ
চলচ্চিত্রের (!!!) নামঃ ঠেকাবি কেঠা
শ্রেষ্ঠাংশেঃ সুরঞ্জিত বাবু ( নায়ক)
ইলিয়াস আলী (নায়কের বন্ধু)
সৎ মা ( সুরঞ্জিত বাবুর ড্রাইভার)
ছাহারা খাতুন (নায়িকা )
এবং অন্যান্য
পরিচালনায়ঃ বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা এবং উপরওয়ালা (এখানে উপর ওয়ালা কিন্তু বিধাতা নন !! )
সংক্ষেপে ছিঃনেমার কাহিনীঃ নায়ক (সুরঞ্জিত বাবু) এর দেশপ্রেম দিন দিন বেড়ে যাচ্ছিল, তাই মেয়ের বাবা ( প্রধানমন্ত্রী) তাকে মন্ত্রী বানালেন উচিত শিক্ষা দেয়ার জন্য। অবশেষে সৎ মা(ড্রাইভার) তাকে ধরায়া দিলেন হাতেনাতে।
নায়ক পালায়া বাচার জন্য মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিলেন। তারপর ...
তারপর আর কী? নায়ক কে বাঁচাতে এগিয়ে এলেন নায়কের এলাকার বন্ধু (ইলিয়াস সাহেব)। নিজের জান দিয়ে তিনি নায়কের প্রাণ বাঁচালেন। ওদিকে নায়িকা (ছাহারা খাতুন ) শোকে এত বিহ্বল হয়ে পড়লেন যে তিনি পাবনার পাগলা গারদের বাসিন্দাদের মতো আচরণ শুরু করলেন। আদালতে(তদন্ত কমেডী) কিন্তু মামলা ঠিক ই চলল।
কিন্তু শেষমেশ নাটকীয় প্রমাণ লাভের মাধ্যমে নায়ক আবার তার নায়িকার বুকে ফেরত আসলেন।
কি বুঝলেন !!! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।