বিএনপির নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর বিরুদ্ধে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রথম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন বাংলা একাডেমীর সভাপতি অধ্যাপক আনিসুজ্জামান। আজ সোমবার বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ তিনি জবানবন্দি দেন।
ট্রাইব্যুনালে জেরা চলাকালে একপর্যায়ে সাকা চৌধুরী বলেন, ‘মিস্টার নিজামুল হক, উইথ ডিউ রেসপেক্ট, ডোন্ট শো ইউর রেড আইজ (নিজামুল হক সাহেব, যথাযথ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, চোখ রাঙাবেন না)। ’ আদালত এ ব্যাপারে সাকা চৌধুরীকে সতর্ক করেন।
জবানবন্দিতে আনিসুজ্জামান বলেন, একাত্তরের ১০ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রামের রামগড়ে ছিলেন।
২০ বা ২২ এপ্রিলের দিকে নূতন চন্দ্র সিংহের ছেলে প্রফুল্ল চন্দ্র সিংহের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাত্ হয়। প্রফুল্ল তাঁকে জানান, তাঁর বাবা আর নেই। ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রফুল্ল বলেন, পাকিস্তানি সেনারা কুণ্ডেশ্বরীতে ঢুকে তাঁর বাবার সঙ্গে কথা বলে ফিরে যাওয়ার সময় ফজলুল কাদের চৌধুরীর ছেলে সাকা চৌধুরীর ইঙ্গিতে তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তিন দিন পর্যন্ত তাঁর বাবার মৃতদেহ বাড়ির সামনে পড়ে থাকে।
জবানবন্দি শেষ হলে আসামি পক্ষের আইনজীবী ফখরুল ইসলাম অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে জেরা শুরু করেন।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হয়ে বেলা একটার দিকে শেষ হয়।
জেরার একপর্যায়ে সাকা চৌধুরী ট্রাইব্যুনালকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘মিস্টার নিজামুল হক, উইথ ডিউ রেসপেক্ট, ডোন্ট শো ইউর রেড আইজ। ’
এরপর ট্রাইব্যুনাল এক আদেশে বলেন, ‘আইনজীবীর উপস্থিতিতে সাকা চৌধুরী প্রায়ই উঠে দাঁড়িয়ে কথা বলেন এবং বিভিন্ন মন্তব্য করেন। এর আগেও এ বিষয়ে তাঁকে সতর্ক করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল তাঁকে শেষবারের মতো সতর্ক করছেন।
যদি তিনি এভাবে চালাতে থাকেন, তাঁর অনুপস্থিতিতেই মামলার কার্যক্রম পরিচালনা করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না। ’
(প্রথম আলো অনলাইন)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।