সোমবার সকাল ১১টার পর ট্রাইব্যুনাল-১ এর প্রধান বিচারক এ টি এম ফজলে কবীর বহু প্রতীক্ষিত এই রায় পড়া শুরু করেন।
রায়কে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই ট্রাইব্যুনাল ফটকের বাইরে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের পতাকা হাতে ভিড় করেন মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের এ সংগঠন দুটির কর্মীরা।
এ সময় গোলাম আযমের ফাঁসির দাবিতে তাদের মুখে বিভিন্ন শ্লোগান শোনা যায়।
‘জয় বাংলা/জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘গোলাম আযমের ফাঁসি চাই/সকল যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই’, ‘একাত্তরের হাতিয়ার/গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জয় বাংলার হাতিয়ার/গর্জে উঠুক আরেক বার’, ‘জামায়াতের আস্তানা/ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ঘাতকদের আস্তানা/ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘তোমার আমার ঠিকানা/পদ্মা মেঘনা যমুনা’- ইত্যাদি শ্লোগানে প্রকম্পিত হয় পুরাতন হাই কোর্ট এলাকা।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের মহাসচিব মনিরুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এদেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও গোলাম আযম পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার কমিটি গঠন করেছিলেন।
এদেশ সৃষ্টির আগে থেকেই তিনি স্বাধীনতার বিরোধিতা করে আসছেন। তার নেতৃত্বেই একাত্তরে এদেশে গণহত্যা ও নির্যাতন চলে। আমরা তার ফাঁসি দাবি করছি। ”
সংগঠনের মহাসচিব ইমদাদ হোসেন মতিন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি মেহেদী হাসানও বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের পরিকল্পনা, ষড়যন্ত্র, উস্কানি, পাকিস্তানি সেনাদের সাহায্য করা এবং হত্যা-নির্যাতনে বাধা না দেওয়ার ৫ ধরনের অভিযোগ রয়েছে জামায়াতে ইসলামীর মুক্তিযুদ্ধকালীন আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।