"আমায় দিয়ে কারুর ক্ষতি হয়না যেন দূনিয়ায়
প্রথম আলো অনলাইন সংবাদঃ
যদি কোনো স্ত্রী ছকে বাঁধা উন্নত জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন, তাহলে দুঃসময়ের সঙ্গে সে জীবন মানিয়ে নেওয়াটা কঠিন। গতকাল শুক্রবার এমন মন্তব্য করেছেন বোম্বে হাইকোর্ট।
ভারতের চলচ্চিত্র প্রযোজক গৌরাঙ্গ দোশির প্রতি ভরণ-পোষণ ব্যয় বাড়ানোর দাবি জানিয়ে তাঁর স্ত্রী মাধুরীর করা এক আবেদনের শুনানিতে আদালত এই মন্তব্য করেন।
পারিবারিক কলহের কারণে ২০০৪ সালের মে মাসের পর থেকে দোশি ও তাঁর স্ত্রী মাধুরী আলাদাভাবে থাকছেন। তাঁদের মেয়ে মাধুরীর সঙ্গেই আছেন।
২০১০ সালের ১৬ জুন দেশটির একটি পারিবারিক আদালত মাধুরী ও তাঁর মেয়ে প্রত্যেককে ভরণ-পোষণবাবদ মাসিক ৫০ হাজার রুপি করে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। ভরণ-পোষণ ব্যয় বাড়ানোর দাবিতে পারিবারিক আদালতের দেওয়া ওই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন করেন মাধুরী।
মুম্বাইয়ের হাইকোর্টের বিচারপতি পি বি মজুমদার এবং বিচারপতি অনুপ মেহতার বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হয়।
মাধুরী তাঁর আবেদনে বলেছেন, ২০০৪ সালের মে পর্যন্ত গৃহস্থালি ব্যয় বাবদ তাঁর স্বামী দোশি তাঁদের প্রতি মাসে তিন লাখ রুপি করে দিয়েছেন। কিন্তু পারিবারিক কলহের কারণে ওই সময়ের পর থেকে মেয়েকে নিয়ে তিনি এখন আলাদা থাকছেন।
প্রতি মাসে বাড়ি ও গাড়ির সুবিধাসহ মাধুরী নিজের জন্য দুই লাখ ও মেয়ের জন্য ৭৫ হাজার রুপি দাবি করেছেন।
মাধুরীর আইনজীবী সতীশ মনেশহিন্দে অভিযোগ করেছেন, আদালতে অঙ্গীকারনামা দেওয়ার পরও মাসিক খরচ দেওয়ার ক্ষেত্রে দোশি প্রায়ই দেরি করেন।
এর আগে দোশি আদালতে বলেন, তিনি আরেকটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীর অপেক্ষায় আছেন। তিনি আদালতকে জানান, তাঁর অনেক দেনা আছে।
কোনো অধিকার হরণ না করে মেয়ের গ্রীষ্মকালীন ছুটি উপভোগের জন্য অতিরিক্ত ২০ হাজার রুপি দিতে দোশিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালত বলেন, ‘আপনি তাঁদেরকে ভাড়া করা বিমানে চড়িয়েছেন। আপনার মেয়ে উন্নত জীবনযাপনে অভ্যস্ত। একজন ভালো মানুষ হিসেবে তাঁকে এটা দিতে হবে। ’
মাধুরীর আইনজীবী আদালতকে বলেছেন, ‘একজন ভালো বাবা হিসেবে মেয়েকে কিছু অতিরিক্ত অর্থ দিলে এতে তাঁর ক্ষতি হবে না। ’
মাধুরীর আইনজীবী আরও উল্লেখ করেন, ‘দোশি অমিতব্যয়ী জীবনযাপন করছেন।
দিনে তিনি অনেক টাকা খরচ করেন। প্রতিটি ছবিতে তাঁর কোটি কোটি রুপি মুনাফা হয়। ’
তবে দোশি দাবি করেন, ২০০৪ সালে তাঁর সর্বশেষ ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে মার খেয়েছে।
দোশি আদালতকে বলেন, ‘ভালো-মন্দ সময় সবারই আসে। তাঁর (স্ত্রী) উচিত এ বিষয়টির সঙ্গে অবশ্যই মানিয়ে নেওয়া।
আমি অস্বীকার করছি না, তাদেরকে আমি উন্নত জীবন দিয়েছিলাম। ’
দুই সপ্তাহ পরে এই টাকা দিতে রাজি হন দোশি। এ সময় বিচারপতি মজুমদার বলেন, ‘আমরা আপনার সুসময়ের জন্য প্রার্থনা করি। ’ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।