কেবল সমুদ্র পারে শুষে নিতে সব, যা কিছু বিপ্রতীপ, ভেসে আসে নিদারুণ কষ্টের নীলজলে..
[রং=#ঋঋ0000] [সাইজ=4] সুন্দরের প্রত্যাশায় দুঃসময়ের কবিতা / সুনীল সমুদ্র [/সাইজ] [/রং]
খুব একটা দুঃসময় যাচ্ছে চতুর্দিকে। একটি স্তব্ধতা, একটি অনিশ্চয়তার অন্ধকারে -যেন ডুবে আছি আমরা সবাই। কোথাও কোনদিকে কোন স্বস্তির সুবাতাস নেই। কোথাও কোনখানে এতোটুকু উৎফুল্ল প্রাণের সাড়া নেই। সারাটা শহর হাতড়ে হাতড়ে আমি একটি সুখবর-এর প্রত্যাশায় বসে থাকি।
কিন্তু শহর আমাকে কিছু মানুষের ক্রোধ-উন্মত্ততা আর তাদের পাশবিক কিছু কর্মকান্ডের বীভৎসতা ছাড়া কিছুই উপহার দিতে পারছে না। ...
মনের ভেতরে তাই কোথা থেকে কবিতার মতো কিছু শব্দমালা এসে জমা হয়। শহরকে আনমনে জিজ্ঞেস করি-
শহর, বলো হে বিষন্ন শহর,
তবে কি তোমার মুখের রেখায় এমন স্তব্ধতা
চিরতরে লেপ্টে দেবার অভিপ্রায়ে-ই
আমরা সেই স্বপ্নের একাত্তরে
ঐতিহাসিক অভিপ্রায়ে একতাবদ্ধ হয়েছিলাম?
আমরা কি এমন স্বপ্নই দেখেছিলাম-যে
আমাদের সকল উচ্ছাস আর উৎফুল্লতা-কে
উন্মত্ত হানাহানি আর অবিশ্বাসের কফিনে পুরে
একটি অনিশ্চয়তার ধূসর আবাসনে আবদ্ধ হয়ে
স্বাধীন শহরে অদ্ভূত-বন্দীর মতো কাটিয়ে দেবো সারাদিন?
তবে কি আমাদের বিশুদ্ধ চাওয়ার মধ্যে
এমন স্বপ্নই খুব সঙ্গোপনে গভীরে প্রোথিত হয়েছিল যে-
তোমার চাওয়াটুকু পছন্দ না হলেই
উপড়ে ফেলবো আমি তোমার দুচোখ-
সকল লালিত জ্ঞান-উপেক্ষায় দলে-পিষে ?
তবে কি দুরন্ত আবেগে দেখা আমাদের সেই স্বপ্নের ভেতরে
কিছু অযাচিত ভুল অলক্ষ্যে বসতি গড়েছিল বলেই
আমরা যত্র তত্র আজ পিটিয়ে হত্যা করছি
আমাদের ব্যর্থতার যতো জের-- আমাদের অসফল
ঐক্যের উন্মেষ?
শহর, বলো হে বিপন্ন শহর-
আর কতোবার এ জীবন ছিন্নভিন্ন করে
তোমার যুক্তিহীনতার কাছে-
পরীক্ষা দিতে হবে- নিখাদ দেশপ্রেমের?
কতোবার হাত পেতে-তোমার কাছে-
প্রার্থনায় নতজানু হলে-
তুমি বিপন্ন লোকালয় থেকে স্বেচ্ছায় সরিয়ে নেবে
অদ্ভুত যতো ভুল আর অবিশ্বাসের এ ভয়ানক
বৈরী নিঃশ্বাস ?
শহর, বলো হে মৌন নির্বাক শহর
আর কতোবার বুকের রক্ত ঢেলে
তোমার কাছে রক্তরঙ গোলাপ পাঠালে
তুমি তাকে বৈরীতা আখ্যা না দিয়ে -
নিখাদ বন্ধুত্ব বিশ্বাসে-আঁকড়ে ধরবে?
শহর, বলো হে বেদনায় নীল, নিঃস শহর-
কতোবার-ই তো তুমি জানতে পেরেছো-
কী দারুণ বেঁচে ওঠে মরে যাওয়া সব নদী-
ক্ষয়ীষ্ণু বৃক্ষ রাজী-
শুধু একবার- একফোঁটা-
মানুষের ভালবাসা পেলে-
কতোবার-ই না তুমি স্বাী থেকেছো-
কী আনন্দে পাখীরা ধরে গান- ফোটে ফুলের উৎসব
বহুকাল পর- ঘর ছাড়া মানুষ
একবার ঘরে ফিরে এলে। ...
তবে আজ এ ভীষণ বিপন্ন প্রহরে-
সেই মানুষকেই তুমি মানুষের বিপরীতে
দাঁড় করিয়ে দেবে বারবার ?
বলবে নিঃসংকোচে-পরীক্ষা করে দেখো-কী প্রবল
আনন্দময় লবণাক্ত এক স্বাদ
তোমারই আপন ভাইয়ের অথবা সন্তানের রক্তের ?
শহর, বলো হে স্তব্ধ শহর-
কেন আজ-বারবার রক্তে ভিজে-
ব্যর্থতায় ঢেকে যাবে সবুজের বুক?
কেন আজ-
বারবার অনৈক্যের অনড় অন্ধকারে
একটি মৃয়মাণ ক্ষীণ রেখার মতো
হারিয়ে যেতে থাকবে
আমাদের সম্ভাবনার-স্বপ্নের সকল বৈভব ?
শহর, বলো হে অর্বাচীন, অদ্ভূত শহর
পাখী আর প্রকৃতির দিকেও
যে মানুষ তাকায় মমতায়- অপরূপ অমৃত অনুরাগে-
সে কেন অগ্নি চক্ষু হবে আজ ?
সে কেন পোড়াবে মানুষের অমূল্য ভালবাসা-
দুপায়ে নির্দয়ে ঠেলে-পাশবিক উল্লাসে?
শহর, এ ভুলের- এ ভীষণ বেদনার উৎসব তুমি বন্ধ করো-
উপলব্ধির বিশুদ্ধ সোপানে হেঁটে হেঁটে
একবার উঠে যেতে চেষ্টা করো
অপরুপ ঐক্যের সমৃদ্ধ চূড়ায়।
কেউ না জানুক-
কেবল সুনীল সমুদ্র জানে-
একটি ঝড়ের রাত্রি শেষের সুন্দর ঝকঝকে সকাল- আর তার
সমস্ত উজ্জল আলোর কণা বুকে নিয়ে গিয়ে -
অতঃপর মানুষ বাড়িয়ে দেবে তাঁর ভালবাসা মাখা হাত
সুনিশ্চিত, আবারো সেই
মানুষের দিকে.....।
শহরের দুঃসময়ের এ গৃহবন্দী দিনগুলো কাটানোর জন্য নানাজন নানাভাবে এ ব্লগে পরামর্শ দিয়েছেন। কেউ বই পড়ার কথা বলেছেন। কেউ জোকস শুনিয়ে পরিস্থিতিটা আবার আনন্দময় করতে চেয়েছেন কেউবা প্রযুক্তির নতুন খবর জানিয়ে আমাদেরকে ক্রিয়েটিভ ও মাথা ঘামানোর মতো কাজে উৎসাহী করতে চেয়েছেন। কেউ কেউ প্লিজ, পল্টনের দিকে যাবেন না ....সাবধানে থাকবেন....এমন আবেদনও পোষ্টে করেছেন।
সামহয়্যার ইন ব্লগের সার্থকতা বোধহয় এখানেই।
একটি গুমট আবহাওয়া, একটি অস্বস্তিকর মূহুর্ত কাটিয়ে ওঠার জন্য এখানে সবাই সবার দিকে এগিয়ে এসেছেন পরম বন্ধুর মতো। সবাই সবাইকে চিয়ার আপ করতে চাইছেন। সবাই সবার খোঁজ-খবর রাখছেন একান্ত আপন আত্মীয়ের মতো। ভালবাসার এ অপরূপ বন্ধন, পৃথিবীব্যাপী বিস্তৃত মমতার এ অন্তহীণ মায়াজাল- সামহয়্যার ইন ব্লগকে কতদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে জানিনা, তবে এই ব্লগের মধ্য দিয়েই বাংলাভাষার বোদ্ধা, সৃষ্টিশীল ও সমাজসচেতন লেখকদের একটি শ্রেষ্ঠ কম্যুনিটি যে গড়ে উঠছে ধীরে ধীরে, তা ভীষণভাবেই উপলব্ধি করছি প্রতিনিয়ত প্রতিদিন, --অত্যন্ত আবেগ, আন্তরিকতা আর উচ্ছাসের মধ্য দিয়েই। ....
[রং=#ঋঋ0000] [সাইজ=5]সুন্দরের প্রত্যাশায় দুঃসময়ের কবিতা / সুনীল সমুদ [/সাইজ] [/রং]
খুব একটা দুঃসময় যাচ্ছে চতুর্দিকে।
একটি স্তব্ধতা, একটি অনিশ্চয়তার অন্ধকারে -যেন ডুবে আছি আমরা সবাই। কোথাও কোনদিকে কোন স্বস্তির সুবাতাস নেই। কোথাও কোনখানে এতোটুকু উৎফুল্ল প্রাণের সাড়া নেই। সারাটা শহর হাতড়ে হাতড়ে আমি একটি 'সুখবর' এর প্রত্যাশায় বসে থাকি। কিন্তু শহর আমাকে কিছু মানুষের ক্রোধ-উন্মত্ততা আর তাদের পাশবিক কিছু কর্মকান্ডের বীভৎসতা ছাড়া কিছুই উপহার দিতে পারছে না।
...
মনের ভেতরে তাই কোথা থেকে কবিতার মতো কিছু শব্দমালা এসে জমা হয়। শহরকে আনমনে জিজ্ঞেস করি-
শহর, বলো হে বিষন্ন শহর,
তবে কি তোমার মুখের রেখায় এমন 'স্তব্ধতা'
চিরতরে লেপ্টে দেবার অভিপ্রায়ে-ই
আমরা সেই স্বপ্নের 'একাত্তরে'
ঐতিহাসিক একতাবদ্ধ হয়েছিলাম?
আমরাকি এমন স্বপ্নই দেখেছিলাম-যে
আমাদের সকল উচ্ছাস আর উৎফুল্লতা-কে
উন্মত্ত হানাহানি আর অবিশ্বাসের কফিনে পুরে
একটি 'অনিশ্চয়তা'র ধূসর আবাসনে আবদ্ধ হয়ে
স্বাধীন শহরে অদ্ভূত-বন্দীর মতো কাটিয়ে দেবো সারাদিন?
তবে কি আমাদের বিশুদ্ধ চাওয়ার মধ্যে
এমন স্বপ্নই খুব সঙ্গোপনে গভীরে প্রোথিত হয়েছিল যে-
তোমার চাওয়াটুকু পছন্দ না হলেই
উপড়ে ফেলবো আমি তোমার দুচোখ-
সকল লালিত জ্ঞান-উপেক্ষায় দলে-পিষে ?
তবে কি দুরন্ত আবেগে দেখা আমাদের সেই স্বপ্নের ভেতরে
কিছু অযাচিত ভুল অলক্ষ্যে বসতি গড়েছিল বলেই
আমরা যত্র তত্র আজ পিটিয়ে হত্যা করছি
আমাদের ব্যর্থতার যতো জের-- আমাদের অসফল
ঐক্যের উন্মেষ?
শহর, বলো হে বিপন্ন শহর-
আর কতোবার এ 'জীবন' ছিন্নভিন্ন করে
তোমার যুক্তিহীনতার কাছে-
পরীক্ষা দিতে হবে- নিখাদ দেশপ্রেমের?
কতোবার হাত পেতে-তোমার কাছে-
প্রার্থনায় নতজানু হলে-
তুমি বিপন্ন লোকালয় থেকে স্বেচ্ছায় সরিয়ে নেবে
অদ্ভুত যতো ভুল আর অবিশ্বাসের এ ভয়ানক
বৈরী নিঃশ্বাস ?
শহর, বলো হে মৌন নির্বাক শহর
আর কতোবার বুকের রক্ত ঢেলে
তোমার কাছে 'রক্তরঙ গোলাপ' পাঠালে
তুমি তাকে 'বৈরীতা' আখ্যা না দিয়ে -
নিখাদ 'বন্ধুত্ব' বিশ্বাসে-আঁকড়ে ধরবে?
শহর, বলো হে বেদনায় নীল, নিঃস শহর-
কতোবার-ই তো তুমি জানতে পেরেছো-
কী দারুণ বেঁচে ওঠে মরে যাওয়া সব নদী-
ক্ষয়ীষ্ণু বৃ ক্ষরাজী-
শুধু একবার- একফোঁটা-
মানুষের ভালবাসা পেলে-
কতোবার-ই না তুমি স্বাক্ষী থেকেছো-
কী আনন্দে পাখীরা ধরে গান- ফোটে ফুলের উৎসব
বহুকাল পর- ঘর ছাড়া মানুষ
একবার ঘরে ফিরে এলে। ...
তবে আজ এ ভীষণ বিপন্ন প্রহরে-
সেই মানুষকেই তুমি মানুষের বিপরীতে
দাঁড় করিয়ে দেবে বারবার ?
বলবে নিঃসংকোচে-পরীক্ষা করে দেখো-কী প্রবল
আনন্দময় লবণাক্ত এক স্বাদ
তোমারই আপন ভাইয়ের অথবা সন্তানের রক্তের ?
শহর, বলো হে স্তব্ধ শহর-
কেন আজ-বারবার রক্তে ভিজে-
ব্যর্থতায় ঢেকে যাবে সবুজের বুক?
কেন আজ-
বারবার অনৈক্যের অনড় অন্ধকারে
একটি মৃয়মাণ ক্ষ ীণ রেখার মতো
হারিয়ে যেতে থাকবে
আমাদের সম্ভাবনার-স্বপ্নের সকল বৈভব ?
শহর, বলো হে অর্বাচীন, অদ্ভূত শহর
পাখী আর প্রকৃতির দিকেও
যে মানুষ তাকায় মমতায়- অপরূপ অমৃত অনুরাগে-
সে কেন 'অগি্ন চক্ষু' হবে আজ ?
সে কেন পোড়াবে মানুষের অমূল্য ভালবাসা-
দুপায়ে নির্দয়ে ঠেলে-পাশবিক উল্লাসে?
শহর, এ ভুলের- এ ভীষণ বেদনার উৎসব তুমি বন্ধ করো-
উপলব্ধির বিশুদ্ধ সোপানে হেঁটে হেঁটে
একবার উঠে যেতে চেষ্টা করো
অপরুপ ঐক্যের সমৃদ্ধ চূড়ায়।
কেউ না জানুক-
কেবল সুনীল সমুদ্র জানে-
একটি ঝড়ের রাত্রি শেষের সুন্দর ঝকঝকে সকাল- আর তার
সমস্ত উজ্জল আলোর কণা বুকে নিয়ে গিয়ে -
অতঃপর মানুষ বাড়িয়ে দেবে তাঁর ভালবাসা মাখা হাত
সুনিশ্চিত, আবারো সেই
মানুষের দিকে.....।
শহরের দুঃসময়ের এ গৃহবন্দী দিনগুলো কাটানোর জন্য নানাজন নানাভাবে এ ব্লগে পরামর্শ দিয়েছেন।
কেউ বই পড়ার কথা বলেছেন। কেউ জোকস শুনিয়ে পরিস্থিতিটা আবার আনন্দময় করতে চেয়েছেন কেউবা প্রযুক্তির নতুন খবর জানিয়ে আমাদেরকে ক্রিয়েটিভ ও মাথা ঘামানোর মতো কাজে উৎসাহী করতে চেয়েছেন। কেউ কেউ 'প্লিজ, পল্টনের দিকে যাবেন না' ....'সাবধানে থাকবেন' এমন আবেদনও পোষ্টে করেছেন।
সামহয়্যার ইন ব্লগের সার্থকতা বোধহয় এখানেই। একটি গুমট আবহাওয়া, একটি অস্বস্তিকর মূহুর্ত কাটিয়ে ওঠার জন্য এখানে সবাই সবার দিকে এগিয়ে এসেছেন পরম বন্ধুর মতো।
সবাই সবাইকে 'চিয়ার আপ' করতে চাইছেন। সবাই সবার খোঁজ-খবর রাখছেন একান্ত আপন আত্মীয়ের মতো। ভালবাসার এ অপরূপ বন্ধন, পৃথিবীব্যাপী বিসতৃত মমতার এ অন্তহীণ মায়াজাল- সামহয়্যার ইন ব্লগকে কতদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে জানিনা, তবে এই ব্লগের মধ্য দিয়েই বাংলাভাষার বোদ্ধা, সৃষ্টিশীল ও সমাজসচেতন লেখকদের একটি শ্রেষ্ঠ কম্যুনিটি যে গড়ে উঠছে ধীরে ধীরে, তা' ভীষণভাবেই উপলব্ধি করছি প্রতিনিয়ত প্রতিদিন, --অত্যন্ত আবেগ, আন্তরিকতা আর উচ্ছাসের মধ্য দিয়েই। ....
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।