নিজের সম্পর্কে বলার কিছু নেই... ইদানিং চা পান করতে গেলে
চা ওয়ালা অর্ধেক কাপ চা দেয়।
ধুমপান পান করত গেলে
দোকানী আর্দ্রতা মাখা সিগারেট দেয়।
সকালের প্রথম আলো ছুঁতে গেলে
কুঁয়াশায় ঢেকে যায়।
প্রিয়ার প্রিয় চোখে সৌর ঝড় বয়।
প্রিয় বন্ধুদের চাহনিতে
ইর্ষার আলো ছড়ায়।
রিকশা ওয়ালাকে ডাকতে গেলে
সে শুনতে নাহি পায়।
পায়ে চলা পথে কুকুর
পথ আগলে দাড়ায়।
ছায়া বীথিকার ছায়াতলে গেলে
কর্কশ কন্ঠি কাকের হাগায়
টাক ঢাকা কেশ সিক্ত হয়।
গোলাপ ছুঁতে গেলে
অনামিকায় কাঁটা বিদ্ধ হয়।
শিশির ভেজা ঘাসে
নগ্ন পাযে হাটতে গেলে
পঁচা শামক পা কেঁটে রক্ত ঝরায়।
নীল আকাশে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলে
ধূসর মেঘে ঢেকে যায়।
প্রিয় পাখি গাংচিলের আঁখি নীলিমায়
শকুন চোখ শোভা পায়।
সবুজে ঘেরা অরণ্যের মাঝে
বহু প্রতিক্ষার পর অবশেষে
যদিও দু’একটি হরিণির দেখা মেলে
দুপুর কিংবা শেষ বিকেলে,
মায়াবী হরিণির আঁখি সেত নয়
যেন তাকিয়ে আছে হিংস্র হায়না।
সমুদ্র শীতলতা গায়ে মাখব বলে
বালিময় পথ পেরিয়ে যখন
সিক্ত সৈকতে দাড়াই,
সুরের মুরছনায় আমি তন্দ্রায় হারাই।
পাশে থাকে চির চেনা আপন
সমুদ্র কল্লোলে মুখরিত জীবন।
কোস্ট গার্ডের হুশিয়ারী
এক, দই, তিন,..নম্বর সতর্ক সংকেত,
আসছে ধেয়ে সিডর; হিংস্র সমুদ্র চোখ,
শুরু হলো ছয়..দশ নম্বর বিপদ সংকেত।
পালাতে হবে সৈকত থেকে এখনি,
কুল কুল ধ্বনিতে সুখ ছোঁয়া স্বপনে
অনুরণিত হলো জীবন যখনি।
তরা করে ফিরবার পথে
পা ডুবে যায় চোরা বালিতে।
একি হলো বিধাতা মোর!
এসে কি গেল জীবন সায়াহ্ন?
দেখা কি দেবে না ভোরের কুয়শা লগ্নে
রোদ ঝিকি মিকি আর একটি স্বর্ণালী ভোর?
চিলের ডানায় রৌদ্র ছাঁয়ায়
করবে না কি আর লুকুচুরি খেলা,
নীল আকাশে ভাসিয়ে দিয়ে
সাদা মেঘের ভেলা?
কাক ডাকা ভোরে ঘুম ভাঙ্গল যখন,
হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছি এখন।
শরীর জুড়ে তীব্র ব্যথা,
ঠোট কপাটে লেগে আছে জড়তা,
বলতে পারছিনা কোন কথা।
ক্ষণিক পর ডাক্তার এসে জানায়
বেঁচে গেলেন কোন এক অলৌকিকতায়।
এখানে কাটবে আর একটি দিন,
তার পর বিশ্রাম সাত দিন ।
অতপর রিকশার টুংটুং ধ্বনি
আর কর্কশ কন্ঠি কাকের কলরবে
শুরু হলো সেই চির চেনা পথ চলা।
করা লিকারের অর্ধ কাপ চা
আর স্যাঁতসেঁতে সিগারেটের টানে
শুরু হলো আর একটি সকাল বেলা।
এমনি করে বহমান মোর
এইসব দিন রাত্রী।
হাল বিহীন জীবন তরী সমুদ্রে ভাসিয়েছি
আমি দুঃসময়ের যাত্রী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।