সামুতে অর্থহীন অশুদ্ধ বাংলা ও বাংলিশ শব্দ পরিহার করি
স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ভারতের সমর্থন চেয়ে ১৯৬২ সালে চিঠি লেখেন বঙ্গবন্ধু । গত ৭ মে'২০১২ সোমবার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ভারতীয় কূটনীতিক শশাঙ্ক এস ব্যানার্জীর স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ 'ইন্ডিয়া, মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ লিবারেশন অ্যান্ড পাকিস্তান' শীর্ষক বইয়ের বাংলাদেশ সংস্করণের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেছেন। বক্তারা বলেন, ভাষা আন্দোলনের চেতনার মধ্য দিয়েই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। এ জন্য ১৯৬২ সালেই স্বাধীনতা ঘোষণায় ভারতের সমর্থন চেয়ে চিঠি লিখেন বঙ্গবন্ধু। একই সময়ে লন্ডন গিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পরিকল্পনা করেন বঙ্গবন্ধু।
ইংরেজি ভাষায় রচিত বইটি আমেরিকা থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়। জাতীয় অধ্যাপক সালাহউদ্দিন আহম্মেদের সভাপতিত্বে প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হারুন অর রশীদ, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, অধ্যাপক নূরুল করীম নাসিম ও প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অপরাজিতা সাহিত্য ভবনের সঞ্চিতা।
অধ্যাপক সালাহউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, বইটিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্ন ও বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতাসম্পন্ন প্রজ্ঞার তথ্য উঠে এসেছে। বইটি পাঠের মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্ম সত্যিকারের বঙ্গবন্ধুকে জানতে পারবেন।
মফিদুল হক বইটির বিষয়বস্তু তুলে ধরে বলেন, কূটনীতিবিদ শশাঙ্ক ১৯৬২ সালে বাংলাদেশে ভারতীয় দূতাবাসে জুনিয়র কূটনৈতিক কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন।
এক পর্যায়ে ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের সমর্থন চেয়ে চিঠি লেখেন। ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের সমর্থন পাবেন ধরে নিয়ে এ সময় বঙ্গবন্ধুর লন্ডন গিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার চিন্তার কথাও তুলে ধরেছেন শশাঙ্ক ব্যানার্জী। পরে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্তির পর লন্ডনে অভ্যর্থনা জানান শশাঙ্ক এবং লন্ডন থেকে দিলি্ল হয়ে একই বিমানে বাংলাদেশে আসেন। এ সময়কার নানান স্মৃতি বইটিতে আলোচিত হয়েছে।
ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, বইটিতে মুক্তিযুদ্ধ ও রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে অজানা অনেক তথ্য উঠে এসেছে।
বইটি স্মৃতিচারণমূলক হলেও মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা অন্যান্য বইয়ের মধ্যে এটিতে একেবারেই নতুন তথ্য সংযোজিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন অধ্যাপক হারুন অর রশীদ।
সূত্রঃ
India, Mujibur Rahman, Bangladesh Liberation & Pakistan (A Political Treatise) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।