আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হিলারী ক্লিনটনের ষড়যন্ত্রমূলক সফরের বিরুদ্ধে ও ক্রুসেডার মার্কিনীদের সাথে সকল প্রকার কৌশলগত ও নিরাপত্তা সম্পর্ক প্রতিবাদ ও রুখে দাঁড়ান.

গনজাগরনের মাধ্যেমে পরিবর্তন সম্ভব....মানুষের চিন্তার পরিবর্তন করাটা জরুরি ....বুদ্ধিবৃত্তিক পুনরজাগরনে বিশ্বাসী আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা কাফির-মুশরিক সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রদের বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করা মুসলিমদের জন্য নিষিদ্ধ করেছেন:“হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে তোমাদের আউলিয়া (বন্ধু, রক্ষাকর্তা, সাহায্যকারী) হিসাবে গ্রহণ করো না; তারা পরস্পরের বন্ধু, আর তোমাদের মধ্যে কেউ যদি তাদের বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করে তবে সে অবশ্যই তাদেরই একজন; নিশ্চয়ই আল্লাহ্ জালিম সম্প্রদায়কে পথ প্রদর্শন করেন না। ” [সুরা আল-মায়িদাহ: ৫১] আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা আমাদেরকে আরও অবহিত করেছেন যে, এই সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠী কখনওই মুসলিম উম্মাহ্’র কল্যাণ কামনা করে না, “তোমাদের উপর তোমাদের রবের পক্ষ থেকে কোন কল্যাণ অবতীর্ণ হোক এটা আহ্লে কিতাবীরা (ইহুদী এবং খ্রীষ্টান) কিংবা মুশরিকরা মোটেও পছন্দ করে না; কিন্তু আল্লাহ্ যাকে ইচ্ছা তাকে তাঁর করুণার জন্য নির্দিষ্ট করে নেন; এবং আল্লাহ্ তো মহাকরুণাময়। ” [সুরা আল-বাক্বারাহ: ১০৫] আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা সাম্রাজ্যবাদীদের সাথে পারস্পরিক সহযোগীতার ভয়াবহ পরিণতির ব্যাপারেও পবিত্র কুর’আনে আমাদের সতর্ক করেছেন, “তারা যদি তোমাদের উপর আধিপত্য বিস্তার করতে পারে, তাহলে তারা তোমাদের বিরুদ্ধে শত্রুতায় লিপ্ত হবে, এবং তাদের হস্ত ও রসনাসমূহ প্রসারিত করে তোমাদের ক্ষতি সাধন করবে, এবং তাদের আকাংখা, তোমরা যেন কাফিরদের কাতারে শামিল হও। ” [সূরা আলমুমতাহিনা : ২] হে মুসলিমগণ! আপনাদের শাসকগণ আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার প্রদত্ত এ আয়াতগুলো থেকে তাদের মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আর তাই এ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার শাসকেরা অর্থাৎ, শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া এবং এদের তল্পিবাহী তথাকথিত নাগরিক সমাজ ক্রুসেডার মার্কিনীদের পররাষ্ট্র নীতি বাস্তবায়নের মূল হোতা হিলারী ক্লিনটনকে নির্লজ্জের মতো স্বাগত জানাবে, আপ্যায়ন করাবে, একই টেবিলে বসবে।

হিলারীর এই ষড়যন্ত্রমূলক সফরের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের সাথে কৌশলগত ও নিরাপত্তা সম্পর্ককে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া, এবং সেইসাথে, এদেশের রাজনীতি ও অর্থনীতির উপর মার্কিনীদের নিয়ন্ত্রন সুদৃঢ় করা। মুসলিম বিশ্বের উপর হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা করা, বিশ্বব্যাপী আমাদের সম্পদ সম্পদ লুন্ঠন করা এবং মুসলিম উম্মাহ্’র উপর তাদের একচ্ছত্র কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা কখনো সন্ত্রাস দমন, কখনও গণতন্ত্র ও উন্নয়নের বিকাশ ঘটানো কিংবা কখনও সামরিক সহযোগিতার নামে বিভিন্ন রকমের ছলনা ও কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। এখন তারা এ অঞ্চলে ইসলামের পূণর্জাগরণ এবং চীনের ক্রম:প্রবৃদ্ধির বাংলাদেশের উপর তাদের দৃষ্টি নিবন্ধিত করেছে। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে কৌশলগত ও নিরাপত্তা সম্পর্কের আবরণে বাংলাদেশকে পুরোপুরি তাদের অধীনস্থ করে এ অঞ্চলে তাদের পদচিহ্নকে আরও সুসংহত করা। মার্কিনীদের সাথে তথাকথিত কৌশলগত ও নিরাপত্তা সম্পর্ক মানেই যে তাদের নিয়ন্ত্রনাধীন দাসরাষ্ট্রের পরিণতি বরণ করা ছাড়া আর কিছুই নয় তা সুস্পষ্টভাবে প্রমানিত হয়েছে ইরাকে তাদের এজেন্ট নুরী আল-মালিকী, আফগানিস্তানে তাদের এজেন্ট হামিদ কারজাই এবং পাকিস্তানে তাদের এজেন্ট জারদারী-কায়ানী-গিলানীর মাধ্যমে ইরাক, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সাথে কৃত যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত ও প্রতিরক্ষা বিষয়ক পারস্পারিক সহযোগিতামূলক চুক্তিসমূহের মাধ্যমে।

হে মুসলিমগণ! আমেরিকা তার দালাল বিশ্বাসঘাতক হাসিনা এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সহায়তায়, তার অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে খুব দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। আপনারা কী কোনরকম প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ না করে এ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবেন? আপনারাও কী আপনাদের শাসকদের মতো আমেরিকার দাসত্বকে নীরবে মেনে নেবেন? না! অবশ্যই আপনারা তা করবেন না। সুতরাং হিলারীর সফরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুন। ক্রুসেডার মার্কিনীদের সাথে কৌশলগত ও নিরাপত্তা সম্পর্ক রুখে দাঁড়ান। এবং আর দেরী না করে সাম্রাজ্যবাদী শক্তি নিয়ন্ত্রিত গুম, হত্যা, খুন, হরতাল ও সংঘাতের এ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে অপসারণ করার সংগ্রামে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়–ন এবং খিলাফত রাষ্ট্র ব্যবস্থা পুণঃপ্রতিষ্ঠা করুন, যে ব্যবস্থা এদেশের শাসনব্যবস্থা, অর্থনীতি ও সেনাবাহিনীকে সাম্রাজ্যবাদীদের নিয়ন্ত্রন মুক্ত করার মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠন করবে এবং ভারী শিল্প-কারখানা স্থাপন করে এদেশের অর্থনীতিকে স্বনির্ভর ও আধুনিক করে গড়ে তুলবে।

হে ক্ষমতার অধিকারী ব্যক্তিবর্গ! আপনাদের কী হলো? যেই শত্রুরা পবিত্র কুর’আনকে পুড়িয়ে ফেলছে, টয়লেটে নিক্ষেপ করছে কিংবা শহীদদের মৃতদেহের উপর প্রশাব করছে, এই শত্রুদের চোখের সামনে দেখার পরও কী আপনাদের শরীরের রক্ত উত্তপ্ত হয় না? আপনাদের ধমণীতে তো প্রবাহিত হচ্ছে রাসুলুল্লাহ (সা এর সাহাবী বীর সেনাপতি খালিদ বিন ওয়ালিদ এর রক্ত, প্রবাহিত হচ্ছে বঙ্গবিজয়ী সেনাপতি বখতিয়ার খিলজী এবং মুজাহিদ শাহজালাল (র.) এর রক্ত। তারপরও কী আপনারা আপনাদের এই চিরশত্রুদের কর্তৃত্ব চুপচাপ মেনে নিবেন? আপনাদের সামনে দু’টি পথ খোলা রয়েছে - হয় আপনারা শত্রুর অধীন সেনাবাহিনী হিসাবে নিজেদের উপর অপমান ও লাঞ্ছনার কালিমা লেপন করুন; অথবা, খিলাফত রাষ্ট্র পূণ:প্রতিষ্ঠায় সর্বপ্রথম নুসরাহ্ (সহায়তা) প্রদান করে নিজেদেরকে মদীনার আনসার সেনাবাহিনীর মতো সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত করুন। সুতরাং খুববেশী দেরী হয়ে যাবার আগেই শেখ হাসিনা ও বর্তমান শাসনব্যবস্থাকে অপসারণ করুন; আর তা না হলে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা অন্যদেরকে আপনাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন যারা এ সম্মান ও মর্যাদার অধিক উপযুক্ত। “হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুল এর সে আহ্বানে সাড়া দাও যখন তিনি তোমাদের এমন কোনকিছুর দিকে আহবান করেন যা তোমাদের মধ্যে প্রাণের সঞ্চার করে। ” [সুরা আল-আনফাল: ২৪]  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.