বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান রতন। ১৮ দল আহূত হরতালের প্রথম দিন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সামনে গাড়ি পোড়ানো মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। বর্তমানে তিনি তিন দিনের পুলিশি রিমান্ডে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে কখন ও কারা তাকে গ্রেপ্তার করেছে। মামলার এজাহারের কপি দেখে এমন প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়েছে, রাত আনুমানিক ৯টা ৫ মিনিটে আসামিরা ৬-৭টি মাইক্রোবাসে করে ফ্যালকন টাওয়ারের সামনে ঢাকা মেট্রো জ-১১-২১০৯ বাসটি থামিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় ফোর্সের সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে মামলায় উল্লিখিত ১ থেকে ৪ নাম্বার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। উল্লেখ্য, মামলাটির ৪ নম্বর আসামি কামরুজ্জামান রতন। অথচ তিনি রাতে সাড়ে ১২টায় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল দেশটিভিতে ‘সোজাকথা’ নামের একটি টকশোতে অংশ নেন। টকশো’তে তার সঙ্গে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সরকারদলীয় এমপি নজরুল ইসলাম বাবু।
টকশো’র স্টুডিও থেকে বেরিয়ে টিভি স্টেশনের সামনে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তার ছোট ভাই মুসা কলিমুল্লাহ। এসময় টিভি স্টেশনের সামনে থেকে ডিবি পুলিশের পরিচয়ে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, পুলিশ যেখানে রাত ৯টায় ফ্যালকন টাওয়ারের সামনে ঘটনাস্থল থেকে তাকে গ্রেপ্তারের কথা বলছে সেখানে সাড়ে তিন ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১২টায় তিনি ছিলেন দেশটিভির স্টুডিওতে। তাহলে পুলিশের হাতে আটকের পর তিনি টিভি স্টুডিওতে গিয়ে টকশোতে অংশ নিয়েছেন কিভাবে? এদিকে রাত পৌনে ১টায় আটকের পর দীর্ঘ সময় তা স্বীকার করেনি ডিবি।
তার স্ত্রী নুর-ই জান্নাতসহ পরিবারের সদস্যরা তার খোঁজে এ সময় ছোটাছুটি করেন ডিবি অফিস থেকে শুরু করে রমনাসহ নানা থানায়। এ সময় তাদের জানানো হয়, রতন নামের কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। কিন্তু ৭ ঘণ্টা পর গতকাল সকালে তাকে আটকের কথা স্বীকার করেছে ডিএমপি। এরপর তাকে দু’টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়।
দেখুন ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।