একমুখাপেক্ষি না হয়ে যা কিছু ভাল তা গ্রহন করা উচিৎ...
অনেক দিন ধরে ভাবছি লিখবো, ভাবছি লিখবো, ভাবছি লিখবো............
কিন্তু কি লিখবো?
এসেছিলাম হঠাৎ ছোটো ছোটো কাব্য লিখবো বলে। হঠাৎ ছোটো ছোটো কাব্য লিখতে হয় হঠাৎই, কিন্তু আমি পরিকল্পিতভাবে লিখতে চাচ্ছিলাম, তাই আর লেখা হলো না! কিন্তু ঠিক করলাম ব্লগে আজ একটা পোষ্ট দিবই। যতো ফালতুই হোক না কেনো!
একটা কবিতা লেখা শুরু করেছিলাম, সেটারও দ্বিতীয় লাইনে গিয়ে আর লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে না! "পথের বালুকনায় ধুলি বিসাক্তময়, তোমার হাতের ছোঁয়ায়". .. . তারপর কি?
নেশায় নেশায় নেশা জাগলে জিতবো আমি নিশ্চিত, তোমার চোখদুটোয় ভাঙন ধরবে, তারপর কি?? কিছু ভেবে লিখতে ইচ্ছে হচ্ছেনা! তার উপর iron maiden এর fear of the dark শুনছি. . . কিছুক্ষন পর পর মাথা নেড়ে নেড়ে উঠে অনিচ্ছায় অথবা ইচ্ছায়...
ইদানিং লেখা হচ্ছেনা, তাই এই পোষ্টটা দিলাম। আমি আসলে ব্লগে আছি, এই পোষ্টটা তারই একটা জ্বলজ্যান্ত উদাহরন। ইদানিং পেপার পড়া বাদ দিছি, আগে খেলার পাতাটা দেখতাম, এখন তাও দেখা হচ্ছে না! পেপার পড়ে প্রতিদিনই আলোচনা সমালোচনার ভিত্তিতে ৪-১০টা পোষ্ট দেয়া সম্ভব।
আমাদের রাজনীতিবীদদের কর্মকান্ড নিয়ে ৪-১০টা পোষ্ট প্রতিদিন দেয়া সম্ভব। আমাদের মিডিয়ার দৈনিক কাজকর্ম নিয়ে ৪-১০টি পোষ্ট দেয়া সম্ভব। আরও অনেক কিছু মিলিয়ে ঝিলিয়ে কমপক্ষে ৫০ টি পোষ্ট প্রতিদিন দেয়া সম্ভব। সামহ্যোয়ারে প্রতি ৩০ মিনিটে দুটো পোষ্ট দেয়া যায় সুতরাং ২৪ ঘন্টায় ৯৬ টা পোষ্ট দেয়া সম্ভব। জানিনা একদিনে সর্বাধিক পোষ্ট দেয়ার রেকর্ডটা কার, তবে যুগটা যেহেতু রেকর্ডের তাই ভাবতেছি খুব শিঘ্রই কাউকে সুযোগ না দিয়ে রেকর্ডটা করে ফেলবো!! মাত্র ২৪ টা ঘন্টাইতো! একদিন=৫০ ঘন্টযে কোনো হইলোনা!! তাহলেতো সেনচুরিটাও করার সুযোগ থাকতো ।
----------------------------------------------------------------
যাই হোক, একটা ব্যাপার শেয়ার করি। ইদানিং রাস্তায় দেখি বহুত ট্রাফিক পুলি আজাইরা দড়াইয়া থাকে। কেউ কেউ আবার দাড়াইয়া দাড়াইয়া ঘুমায়। কেউ কেউ আবার যানজট কমাইতে গিয়া সব আউলাইয়া রোডগুলা ডেডলক কইরা দেয়!! গতোকালও পলাশীর মোড়টায় ডেডলক কইরা ফেলছে। ।
এক ট্রাফিক পুলিশরে দেখলাম দাড়াইয়া দাড়াইয়া সিরাজ-উদ্-দৌলার সেই বিখ্যাত ডায়ালগটা দিচ্ছে. . . আর একজনতো বন্দুক হাতে এমন একটা ভাব নিয়া দাড়াইয়া ছিলো মনে হয় যেনো পলাশীর প্রান্তরে তখনো যুদ্ধ হইতাছে. . .
---------.........................--------------------........................
সেদিন বিডিআর ১নং গেটের সামনে দিয়ে হাইটা যাচ্ছিলাম। আমি যখন হাঁটি আশেপাশে একটু কমই তাকাই! তবে সামনে চোখ পরেছিলো, দেখছিলাম এক পুলিশ ঘুমাইয়া ঘুমাইয়া কবিতা পাঠ করতাছে. . . সম্ভবত আমার লেখা কোনো কবিতা হবে হয়তো। আমি সামনে যেতেই তার ঘুম ভেঙে গেলো, সে আমাকে আটকে বললো, "কি করেন?"
আমি চট করে বললাম, "আপনি এখানে দাড়াইয়া দাড়াইয়া কি করেন?"
আমার প্রশ্ন শুনে সে বিব্রত এবং চমোকিতো!! সে বললো "আমি জানতে চেয়েছি আপনি কি করেন?" বুঝতে পারলাম সে কিছুটা সিরিয়াস। আমি বললাম, "পড়াশুনা করি"।
"কোথায় পড়েন?"
কোথায় পড়ি সেটা বললাম. . . তারপর বললো ও আচ্ছা যান. . .
----------------------------------------------------------------
আসলে বাংলাদেশের পুলিশগো কাজকাম একটু কম।
আর ট্রাফিক পুলিশগো?
মৃত্যুর পূর্বে একজন বাংলাদেশী পুলিশের শেষ ইচ্ছাটা লিখেই এই আবোল-তাবোল পোষ্টটির সমাপ্তি টানছি. ..
পুলিশের বড় কর্তার নাম সিরাজ-উদ্-দৌলা. .
সিরাজ-উদ্-দৌলাঃ বাংলা বিহার উড়িষ্যার মহান পুলিশ, মৃত্যুর পূর্বে তোমার শেষ ইচ্ছা কি?
জনৈক পুলিশঃ স্যার, আমার দীর্ঘ ২০ বছরের পুলিশি জীবনে (পুলিশি জীবন!) কোনোদিন জানতেই পারলাম না যে আমার প্রিয় বন্দুকটা থেকে গুলি বের হয় কিনা!! মৃত্যুর পূর্বে একবার যদি ঐ বন্দুকটা থেকে একটা গুলি বের করতে দিতেন....
সিরাজ-উদ্-দৌলাঃ কা কা কাকে গুলি করবা? তাছাড়া তোমার পুলিশি জীবন ২০ বছরের আর আমারটা ৩০ বছরের, সুতরাং আফসোসটা তোমার চেয়ে . . . . . .
--------------------------------------------------------
অনেকক্ষন লিখলাম..
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।