আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পুলিশের কোন দুষ নাই



ইনাম বিন সিদ্দীক আর্জেন্ট পাসপোর্টের জন্য আমাকে ৬০০০/=টাকা ব্যংকে জমা দিতে হয়েছে। তাতে কোন দুঃখ নাই, তারপরেও যদি পাসপোর্টটা হয়ে যায়। মন্দ কি? হটাৎ একদিন ফোন! হ্যালো আপনি কি ইনাম বিন সিদ্দীক? -জি। -আপনি কোথায়? -আস্তে করে বললাম আপনি কে ভাই? -আমি পুলিশ - ও বাবারে (অবশ্য মনে মনে) চমকে উঠি!!! উঠারই কথা। কারণ, পুলিশের সমস্যাতো আসামিদের বেলায়।

আমার আবার কোন কেইছ। বলল-আপনি এক ঘন্টার ভিতরে আমার সাথে দেখা করেন। বললাম- ভাই আমি তো এখন মৌলভীবাজার, আগামী কাল হলে হয়না? বেচারার শক্ত কন্ঠ-মৌলভীবাজার টৌলভীবাজার বুঝিনা, আপনি আসেন। লাইন অফ। আর কি করা, কাজ তো আমার, আমারই গরজ থাকতে হবে।

আসলাম সিলেট। তখন বিকেল ৩টা। মাগরীব পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম দেখি বেটা আমাকে আর ফোন টোন দেয় কি না। কে কারে ফোন দেয়, উল্টো আমি নিজেই আবার তার কাছে ফোন করালাম, ভাই আমি তো সিলেট। আপনি না বলছেন একঘন্টার ভিতরে আসতে! আমি তো আসছি।

-এখন কয়টা বাজে? বেটার গরম প্রশ্ন। - ৬টা। -আপনাকে কি এখন আসতে বলছি? -কি করব স্যার? খুব অমায়িক করে বললাম, কারণ পুলিশ তো! -আগামী কাল ফোন করবনে। লাইন অফ। .................................. আপনি কি ই.বি.সি? ইয়েস স্যার।

আপনার তো অনেক সম................! (এসব বলাটা মনে হয় পুলিশদের সভাব) থাক স্যার, আর বলতে হবেনা, আমাকে এখন কি করতে হবে বলেন। কি আর করা, যা করার করে ফেলেন। বুঝতে কি আর বাকী থাকে? হাতের মুঠোয় কিছু (/=) গুজে দিলাম। বললাম-আসেন স্যার চা টা খাওয়া যাক। -না তার আর দরকার নাই।

বললমা-স্যার অনেক কষ্ট করলেন, মোবাইলে ও অনেক টাকা খরচ করলেন আমার জন্য, আর কিছু না খেয়ে গেলে কেমন অমেহমানদারী হয়ে যায়না? তাছাড়া আমার এলাকা বলে একটা কথা। বেচারা পুলিশ আমার কথা শুনে একটা হাই রকমের মৃদু হাসি দিল। মানে আমার কথা তার ভালো লাগতে শুরু করলো। তার পরথেকে অনেক কথা। .......................................... পুলিশ : দেখুন সরকারি চাকরী করি, একটু উল্টা পাল্টা হলেই চাকরী নট।

এর উপরই আমাদের থাকতে হয়। বললাম: আপনাদের সম্পর্কে আমি মোটামোটি ধারনা রাখি। পুলিশ: চমকে উঠে, মানে! -মানে আমার কাজ যেটা, সেটা আপনার দায়িত্ব, আপনাকে সেটা করতেই হবে, তাতে আপনার কি খরচ হলো না হলো সেটা সরকার দেখবেনা। অত্যান্ত উৎফুল্ল হয়ে-অল রাইট, ভাই আপনি আবার আমার সাথে হাত মেলান, বলে পুলিশ আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়। জানেন এ বিষয়টা পাবলিক বুঝতে চায়না।

পুলিশের করুন সুর। পুলিশ বলতে লাগলো: সরকার যদি আমাদেরকে বেশী না, যাবতীয় খরচ বাদে যদি হাজার খানেক টাকা পকেট খরচ দিত, তাহলে এই ঘুষ টুষের কারবার পুলিশদের করতে হতো না। জানেন বিদেশী পুলিশরা ঘুশ খায়না কেন? তাদের সরকার তাদেরকে বাড়ী, গাড়ী, নারী এমনকি ঘরের খরচ সহ আরো বিভিন্ন ফেসিলিটি দেয়, তাহলে তারা পাবলিকদের কাছ থেকে ঘুষ নেবে কেন? এক নিঃশ্বাসে কথা গুলো বলে গেলো বেটা পুলিশ। ................................ তাই চিন্তা করলে দেখতে পাই, পুলিশ হয়রানি পুলিশ করেনা, করে সরকার। ঘুষ পুলিশ খায়না, তাকে খেতে বাধ্য করা হয়।

অতএব, ‍‍‍পুলিশের কোন দোষ নাই" প্রিয় পাঠক! আমার কথাটা কি আপনার যুক্তির সাথে মেলে? অথবা বাস্তব টা কি?


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.