হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে হলে প্রত্যেককে সুস্থ ও নিরাপদ জীবন-যাপনে অভ্যস্ত হতে হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আর এ অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে নিজের ঘর থেকেই।
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, "আমরা সবাইকে অনুরোধ করবো- নিজেই নিজের ঝুঁকি কমান। স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভাস গড়ে তোলা, নিয়মিত কায়িক পরিশ্রম করা এবং ধূমপান ও তামাক সেবন ত্যাগের মাধ্যমে ঘর থেকেই এটা শুরু করা যায়। "
"যদিও আমাদের অনেকেই স্বাস্থ্যসম্মত এই জীবন-যাপনে আসতে চান না," যোগ করেন এই চিকিৎসক।
বৃহস্পতিবার বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এনএইচএফএইচআরআই) আয়োজিত এক সেমিনারের পর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে হৃদরোগ সচেতনতা নিয়ে কথা বলেন তিনি।
সুস্থ হৃদযন্ত্র নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিশ্বের সব পরিবারের ঐক্য চেয়ে 'এক বিশ্ব, এক ঘর, এক হৃদয়', স্লোগান নিয়ে পালন করা হয় এবারের বিশ্ব হার্ট দিবস।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হিসাবে প্রতি বছর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে এক কোটি ৭৩ লাখ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক সমীক্ষায় দেখা যায়, দেশের হাসপাতালগুলোতে প্রতি বছর যতো লোকের মৃত্যু হয়, তার সাড়ে ১২ শতাংশ ক্ষেত্রেই কারণ হলো হৃদরোগ।
অন্যদিকে বাংলাদেশ নন-কমিউনিকেবল ডিজিজেস রিস্ক ফ্যাক্টর সার্ভে ২০১০-এ দেখা যায়, দেশের ছয় কোটি মানুষ প্রয়োজনের চেয়ে কম সবজি ও ফলমূল খান।
এক কোটি ৬০ লাখ মানুষ নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করেন না। আর তিন কোটি ৩০ লাখ মানুষ ধূমপান করেন।
হার্ট ফাউন্ডেশনের গবেষক রেজা চৌধুরী বলেন, "সুস্থ্য জীবন-যাপনের মাধ্যমে হৃদরোগের ঝুঁকি এড়ানোর অসংখ্য প্রমাণ আছে। এজন্য আমাদের পারিবারিক জীবন যাপন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। "
শিশুদের চিপস, ক্যান্ডি, ফাস্টফুডসহ বিভিন্ন ধরনের কোমল পানীয় ও চকোলেট খাওয়া থেকে বিরত রাখারও পরামর্শ দেন তিনি।
রেজা চৌধুরী বলেন, প্রত্যেক পরিবার যদি সদস্যদের রক্তে চিনি ও কোলেস্টেরোলের পরিমাণ, রক্তচাপের মাত্রা, ওজন সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজ খবর রাখে এবং ঝুঁকিমুক্ত থাকার কৌশলগুলো জেনে ও মেনে চলে তাহলেই সুস্থ থাকা অনেক সহজ হয়ে যায়।
"তবে সবার আগে আমাদের ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে", যোগ করেন তিনি।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মুজিবুর রহমান ফকির সেমিনারে বলেন, তামাক সেবন নিয়ন্ত্রণে শিগগিরই আরো কঠোর আইন আসছে।
-বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর সৌজন্যে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।