গণতন্ত্র বলতে তো জণগনের সম্পক্তৃতাকেই বোঝায় তাই জণগনকে ভোগান্তিতে রেখে এটা আবার কেমন গণতন্ত্র। আমার মনে হয় এটা মির্জা ফখরুলের `ইলিয়াস আলী গণতন্ত্র'
মির্জা ফখরুল সাহেবের গতকালের একটা কথা শুনে মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল, সে বলেছে লাখ লাখ এইচএসসি পরীক্ষার্থী থেকে ইলিয়াস আলী অনেক বড় নেতা। তাই তাকে ফিরে পাওয়ার জন্য হরতাল দিচ্ছে বিএনপি। তাদের কাছে লাখ লাখ পরীক্ষার্থীর কোন দাম নেই। আর হরতাল দিয়ে কি একজন গুম হওয়া মানুষকে উদ্ধার করা যায়।
ছোটকালে শুনতাম যে সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাসীদের হাতেই মরে। আমার জানামতে ইলিয়াস আলী তো কোন ধোয়া তুলসী পাতা ছিলনা। সে নিজেই অনেক মায়ের বুক খালি করেছে। নিজের হাতে খুন করে। তার কারণে একজন বাস ড্রাইভারকে পুড়িয়ে মারছে বিএনপি সন্ত্রাসীরা।
আমার কাছে ইলিয়াস আলী থেকে ওই বাস ড্রাইভার অনেক বড় মাপের মানুষ।
ইলিয়াস আলীর প্রোফাইল দেখুন
ইলিয়াস আলী - এক শীর্ষ সন্ত্রাসীর উত্থান
--- ইলিয়াস আলী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একসময়ের অন্যতম ত্রাস। যার বিরুদ্ধে হত্যা-গুম, চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজির হাজারো অভিযোগ।
--- ১৯৮১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ইলিয়াস আলী যোগ দেয় এরশাদের নতুন বাংলা ছাত্রসমাজে। অস্ত্রবাজির রাজনীতির শুরু।
--- পরে দলবদল করে বিএনপির ছাত্রদলের নেতা হয়ে ওঠে ইলিয়াস আলী।
--- অস্ত্রের জোরে ছাত্রদলে গড়ে তুলে ইলিয়াস গ্র“প।
--- এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যায় বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক হত্যাকান্ড।
--- ইলিয়াস আলী পরিণত হয় ত্রাস সৃষ্টিকারী এক সন্ত্রাসীতে। বহু খুনের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
সে কারণে একাধিকবার গ্রেফতার করা হয় তাকে। জেলে কাটে সময়।
--- ৮৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়।
--- ১৯৮৮ সালের ১১ ডিসেম্বর ছাত্রদল নেতা বজলুর রহমান ওরফে পাগলা শহীদকে হত্যা করে।
--- ১৯৮৯ সালের ২৯ নভেম্বর তার নেতৃত্বে ডাকসু কার্যালয ভাংচুর করা হয়।
--- ১৯৯০ সালের ২৫ ফেব্র“য়ারি খালেদা জিয়ার নির্দেশে জহুরুল হক হলের ভিপি ছাত্রলীগ নেতা শহীদুর ইসলাম চুন্নুকে মিছিলে গুলি করে হত্যা করে।
--- ১৯৯২ সালের ৩ আগস্ট ছাত্রদলের রতন গ্রুপের সঙ্গে ইলিয়াস গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি নিহত হয়।
--- ১৯৯২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর মামুন ও মাহমুদ নাম দুই ছাত্রদল ৯নেতাকে হত্যা করে লাশ পানির ট্যাংকের ভিতর লুকিয়ে রাখে।
--- প্রতিপক্ষ গ্রুপের সঙ্গে সশস্ত্র সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতা মির্জা গালিব ও ছাত্রলীগ নেতা লিটন হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯৯১ সালে গ্রেফতার করা হয় তাকে।
--- ৯২ সালে ১৬ জুন ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠন করা হলে রহুল কবির রিজভী আহমেদ সভাপতি ও এম ইলিয়াস আলী সাধারণ সম্পাদক হয়।
--- মাত্র ৩ মাসের মাথায় ছাত্রদলের কমিটি ভেঙ্গে দেওয়া হয়।
--- এ সময় বিএনপি ক্ষমতায় থাকা স্বত্বেও ৯৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মামুন ও মাহমুদ হত্যা মামলায় আবার গ্রেফতার হয় ইলিয়াস আলী।
--- রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। ২ বছর কারাবাসের পর মুক্তি পায়।
--- ১৯৯৬ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচনে প্রথমবারের মতো দলীয় মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত।
--- সিলেটের অনেক সিনিয়র রাজনীতিবীদ ইলিয়াস আলী ও তার দলবলের হামলার মুখে পড়েন। বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এম সাইফুর রহমান, আবদুস সামাদ আজাদ, সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, এসএমএ কিবরিয়া, হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী, আব্দুল মাল আবদুল মুহিতের মতো ব্যক্তিরা তার সন্ত্রাসের মুখোমুখি হন বারবার।
--- সাইফুর রহমানের সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়াকেও অনেকে ইলিয়াসের পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মনে করেন।
--- দেশের বাইরেও উশৃংখল আচরণের দায়ে পুলিশের নজরবন্দি হতে হয় ইলিয়াস আলীকে।
--- ২০০০ সালে লন্ডনের মিল্টন কিন্স শহরে জয়পুর রেস্টুরেন্টে ওয়েটারকে হত্যার হুমকি দেয় সে।
কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে কঠোরভাবে হুশিয়ার করে দিয়ে যায় তাকে।
---- ২০০১ সালে এমপি হওয়ার পর বিশ্বনাথ বালাগঞ্জে ত্রাসের রাজনীতি কায়েম করে।
--- প্রকাশ্য আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে মাঠে নামে ‘ইলিয়াস বাহিনীর ক্যাডাররা’।
--- সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এম এ কিবরিয়া হত্যা এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীকে হযরত শাহজালাল মাজার গেটে হত্যা চেষ্টার অভিযোগও ওঠে তার বিরুদ্ধে।
--- সর্বশেষ গত ৩ এপ্রিল সিলেটে ইলিয়াস আলীর প্রতিপক্ষ গ্র“পের ছাত্রদল নেতা দিনার ও জুনায়েদকে গুম করার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।
--- গত বছরের ১১ ডিসেম্বরও ’ইলিয়াস দেশে না বিদেশে’ শিরোনামে সংবাদ ছাপা হয়েছিল। প্রথমে বিদেশে যাুয়ার কথা অস্বীকার করে পরে সে নিজেই স্বীকার করে যে, সে ব্যাংকক গিয়েছিল।
--- ইলিয়াস আলী আজ পর্যন্ত কতগুলো মানুষকে হত্যা করেছে, কত সন্ত্রাসী তৈরী করেছে, কত মায়ের বুক খালি করিয়েছে, কত দুর্নীতি, ডাকাতি করেছে, কত সন্ত্রাসী বাহিনী পরিচালনা করে তার হিসাব কেউ রাখেনা।
--- শতকোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকার বনানীতে ”সিলেট হাউজ” নামে বিশাল বাড়ি করেছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।