আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কালিদাস পন্ডিতের কলিকালের কথা নয় লক্ষ তেঁতুল গাছে কয় লক্ষ পাতা?

এবার হবেই! লোরকের পাশে এবার আপনিও >> ০১৮৩৬৫৫৫৬৪০ একলোক গাছে চড়ে একটি ডাল কাটতেছিল। কিন্তু লোকটি এত বোকা, যে ডালে বসে ছিল সেই ডালটি কাটতে ছিল। তা দেখে একটি লোক বলল আরে বোকা তুমি তো পড়ে যাবে। কিন্তু লোকটি সেই লোকের কথায় কান না দিয়ে নিজের মনে ডাল কাটতে ছিল। একটু পরে সে সত্যি সত্যি ডাল ভেঙ্গে পড়ে গেল।

যে বোকা লোক ডাল কাটতে ছিল সে কিন্তু আমাদের সবার চেনা পন্ডিত কালিদাস। ভাবছেন কিভাবে এত বোকা লোক পন্ডিত হয়?? তাহলে চলুন তাঁর সম্পর্কে একটু জেনে নেই। পন্ডিত কালিদাসঃ কালিদাস ছিলেন সংস্কৃত ভাষার একজন বিশিষ্ট কবি ও নাট্যকার। খৃস্টীয় চতুর্থ বা পঞ্চম শতাব্দীতে হিমালয়ের কাছে গুপ্ত সম্রাজ্যে জন্মগ্রহন করেন। তিনি জীবনের প্রথম দিকে ছিলেন অনেক বোকা ও সহজ সরল।

প্রথম দিকে বিয়ে করেছিলেন একজন বিদূষী নারীকে। সে নারী তাকে সবসময় তাঁর মূর্খতা নিয়ে হাসি-তামাসা ও মজা করতো। রাগে দুঃখে কালিদাস আত্মহত্যা করতে নদীতে ঝাপ দেন। তখন স্বরসতী দেবী তাকে বর দেন। সেই বরের কল্যাণে সে রাজা বিক্রমাদিত্যের সভাকবি হিসেবে মনোনীত হোন।

তিনি পন্ডিত হিসেবে খ্যাতি পান তাঁর উপস্থিত বুদ্ধির কারণে। কালিদাস তাঁর হেঁয়ালি বা ধাঁধার জন্য আমাদের কাছে অধিক পরিচিত। কিন্তু তিনি ধাধাগুলো সংস্কৃত ভাষায় লিখে গিয়েছিলেন। কালিদাস পন্ডিতের লেখা না বুঝলেও তার রচিত (পরিবর্তিত হয়ে আসা হয়ত) ধাঁধাঁ সমূহ বাংলা ভাষার অলংকার হয়ে যুগযুগ ধরে মানুষের মনে আনন্দ বয়ে বেড়াবে বলে আমি মনে করি। আজ থেকে এক হাজার বছর পরেও কোন বাংলাভাষী পিতা তার সন্তানকে যখন ধাঁধাঁ ধরবে, তখন কবি কালিদাস তথা কালিদাস পন্ডিতের নাম মুখে আসবে।

এটাই মনে হয় কবি কালিদাসের সাফল্য। বাংলায় কে অনুবাদ করেছেন তা সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় না। 'শকুন্তলা' গল্পের কথা আশা করি সবার মনে আছে। সেই গল্পটি কালিদাস পন্ডিতের লেখা। বাংলায় এটি অনুবাদ করেছেন ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর।

১৯৬৬ সালে তামিল ভাষায় কালিদাশের জীবনির উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয় চলচিত্র 'মহাকবি কালিদাস'। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই মহা পন্ডিত সিংহলের এক গনিকার হাতে নিহত হন। আমাদের ফেইসবুক পেইজে গিয়েও লোকব্যক্তিদের জীবনী সম্পর্কে জানতে পারেন- লোকসংস্কৃতি রক্ষা করি (লোরক) সোসাইটি  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।