মুনাফাকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে নীতি নৈতিকাকে বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা না করে কোম্পানীগুলো অসত্য, বিভ্রান্তকর তথ্য দিয়ে অনৈতিক বিজ্ঞাপন দ্বারা তাদের পণ্যের প্রচার করছে। সরকারী-বেসরকারী গণমাধ্যমগুলোও এইসব অনৈতিক বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। কোম্পানীগুলো পণ্য প্রসারের উদ্দ্যেশে বিজ্ঞাপনগুলো তৈরি করলেও, অধিকাংশ বিজ্ঞাপন দেখে পণ্য সর্ম্পকে কোন সঠিক ধারনা পাওয়া সম্ভব নয়।
যেমন ১. ফ্রুটিকার একটি বিজ্ঞাপন দেখলাম পিকেটার থেকে ক্রিকেটার। অর্থাৎ ফ্রুটিকা খেয়ে ক্রিকেটার হওয়া যায়।
২. এটম চুইংগাম তার প্রতিটি বিজ্ঞাপনে কিভাবে মিথ্যা কথা বলতে হয় তার শিখাছে। ৩. একটি ক্যান্ডি লোহা হজম করার বিজ্ঞাপন দেখাছে। ৪. ফেয়ার এন্ড লাভলী বলছে তাদের ক্রীম বিমানবালার চাকুরী দেয়। গোপন করে স্বাস্থ্যহানীকর উপাদান তাদের ক্রীমে রয়েছে। ৫. মোবাইল কোম্পানীর বিজ্ঞাপন আগাগোড়া ৯০ভাগই মিথ্যা বিজ্ঞাপন।
১.এই বিজ্ঞাপনগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব ?
২. কারা নিয়ন্ত্রণ করবে।
৩.আমজনতা হিসেবে এইসব বিজ্ঞাপন করণী।
প্রথমেই বলি একজন আমজনতা হিসেবে আপনার হাতে সহজ কিছু উপায় আছে যাতে আপনি অসত্য,মিথ্যা, বিভ্রান্তকর তথ্য দিয়ে অনৈতিক বিজ্ঞাপন বন্ধে ব্যবস্থা নিতে ঠেলা দিতে পারেন। আস্থা বাড়িয়ে নেওয়ার জন্য দুইটি আইনের ধারা দিলাম। তারপর একে একে লড়াইয়ের কথা বলি।
1.বিশুদ্ধ খাদ্য অধ্যাদেশ ১৯৫৯ মিথ্যা প্রচারণার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে ১৯ ধারার (১) এ বলা আছে, কোন ব্যক্তি এমন বিজ্ঞাপন প্রকাশ করিবেন না, তাহা কোন খাদ্যবস্তুকে মিথ্যাভাবে বর্ণনা করে বা এর প্রকৃতি, বস্তু বা মান সর্ম্পকে ভিন্নরূপ ধরাণা দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে।
2.ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৪ ধারায় বলা আছে, মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্বারা ক্রেতা সাধারনখে প্রতারিত করিবার দন্ড। -কোন ব্যক্তি কোন পণ্য বা সেবা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অসত্য বা মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্বারা ক্রেতা সাধারণকে প্রতারিত করিলে তিনি অনুর্ধ্ব এক বৎসর কারাদন্ড, বা অনাধিক দুই লক্ষ টাকা অর্থদন্ড, বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হইবেন।
১. এই বিজ্ঞাপনগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব : প্রথম কথাই হল সম্ভব। দেশে বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণে কোন সুনিদিষ্ট বিজ্ঞাপন নীতিমালা নেই।
কিন্তু বিভিন্ন আইন ও কতৃপক্ষের মাধ্যমে অসত্য,মিথ্যা, বিভ্রান্তকর তথ্য দিয়ে অনৈতিক বিজ্ঞাপন বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
(চলবে)
আজ ঘুম পাইছে। আজ যাই রাত মেলা ধারাবাহিক ভাবে পোস্ট দিমু
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।