ঢাকা : বোমার শব্দে প্রকম্পিত নয়াপল্টন। টিয়ার শেলের ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে গোটা এলাকা। পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
এতে আহত হয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, আমানউল্লাহ আমান, খায়রুল কবীর খোকন, রিজভী আহমেদসহ শতাধিক নেতা কর্মী।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একটি বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ হামলা চালালে এ সংঘর্ষ বাধে।
বেশ কিছুক্ষণ ধরে পুলিশের সঙ্গে চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এক পর্যায়ে পুলিশের ছোড়া টিয়ারশেলে পুরো এলাকায় ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে। এতে অনেকেই আহত হন। চোখে-মুখে দেখতে না পেয়ে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করেন।
নয়াপল্টন, বিজয়নগর, ফকিরাপুল, শান্তিনগর, আরামবাগ ও পল্টন এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
অন্যদিকে বিকাল ৫টা ৫৫ মিনিটে বিক্ষুদ্ধ বিএনপির কর্মীরা রমনা থানার রাজারবাগ পুলিশ লাইন সংলগ্ম রাস্তায় তিনটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন। এতে একটি নোয়া গাড়ি(নং ঢাকা মেট্রো চ-১২-২৮৯৩), পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান(নং ঢাকা মেট্রো ঠ-১১-৬০৮০) ও একটি যাত্রীবাহী বাস ভষ্মীভূত হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের দু’টি গাড়ি গিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আগুন নিয়ণ্ত্রণে আনে। এতে প্রাথমিকভাবে ৮ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার ব্রিগেডের হেড-কোয়ার্টারের টেলিফোন অপারেটর নিলুফার ইয়াসমিন।
এদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ অবস্থায় সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় প্রেস ব্রিফিং করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার ম্ওদুদ আহমদ।
তিনি সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, পুলিশ বিনা উস্কানিতে মিছিলে হামলা চালিয়ে নেতাকর্মীদের আহত করেছে। তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশেই এ হামলা করা হয়েছে। সরকার ইলিয়াস আলীকে গুম করে এখন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতেও বাধা দিচ্ছে। হামলা চালাচ্ছে--
খবর -বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।