আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বৃহত্তম শিম ও মাছের আড়ৎ বড়াইগ্রামের রাজাপুরহাট

ভালবাসি নাটোর প্রতিনিধি/বড়াইগ্রাম সংবাদদাতা নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার অন্যতম হাটের নাম রাজাপুর। এই হাটকে ঘিরেই দেশের বৃহত্তম শিম ও মাছের আড়ৎ গড়ে উঠেছে। রাজাপুর হাইস্কুল উপজেলার শ্রেষ্ঠ। রাজাপুর ডিগ্রি কলেজ উপজেলার অন্যতম। সর্বশেষ যোগ হয়েছে জেলার একমাত্র গার্মেন্ট পল্লী।

গোপলপুর ইউনিয়ন সদরের এই বাজারেই আগ্রণী, জনতা ও কৃষি ব্যাংকের শাখা রয়েছে । এতো নাম-ডাক যে হাটের তার শুরুটা একটু ভিন্ন ধরনের। ১৯৫৪ সালের পাকিস্তান আমলের কথা। সে সময় সপ্তাহে সোম ও বৃহস্পতিবার হাট বসত। কিন্তু নিত্যপণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের কোনো সুযোগ ছিল না।

এ তাড়নায় সমাজসেবক ঢাকার জয়নাল আবেদীন ওরফে তারা মিয়া এখানে নিয়মিত বাজার বসানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেন। হাটে নিয়মিত লোক সমাগমের জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পাবনা জেলার ভাংগুড়া, দিলপাশা ও মহনপুরসহ বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রাদল আনা হয়। কিন্তু এক সময় উদ্যোক্তাদের খরচ বহন করা অসাধ্য হয়ে ওঠে। এরপর তারা মিয়া স্থানীয় বীরেন্দ্রনাথ সেন, ডা. যতীন, ডা. আশরাফ উদ্দিন, গফুর খন্দকার, ইউসুফ আলী, নওয়াব আলী, শমসের ম-ল, ফরমান ম-ল, মণিন্দ্রনাথ, পঞ্চানন কর্মকার, খেবু মালিথা, আমির হোসেন, ইসহাক মিয়াসহ অন্যরা মিলে এলাকায় একটি যাত্রা ক্লাব গড়ে তুলেন।

নামকরণ করা হয় রাজাপুর যাত্রা সংঘ। এদের প্রচেষ্টায় এক সময় রাজাপুর হাটে নিয়মিত সকাল-বিকাল বাজার বসতে শুরু করে। তারা মিয়ার ছোট ভাই ফরহাদ হোসেন ও তার বন্ধু আমির হোসেন স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ওইসব কথা জানান। ১৯৫৬ সালে তারা মিয়ার পরিবারের উদ্যোগে রাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয় গড়ে ওঠে। বর্তমানে এই স্কুল উপজেলার শ্রেষ্ঠ।

১৯৭২ সালের দিকে বিক্রমপুরের আবদুল আওয়াল খান রাজাপুর হাটে পুরান কাপড় বিক্রি করতে আসেন। এক সময় এখানেই কয়েকটি শেলাই মেশিন নিয়ে ছোট্ট গার্মেন্ট গড়ে তোলেন। এর সূত্র ধরেই রাজাপুরে গার্মেন্ট পল্লী গড়ে ওঠেছে। বর্তমানে রাজাপুর বাজারে ছোট-বড় অন্তত ২০০ এবং বাজার সংলগ্ন আস্তিকপাড়া, পুর্ণকলস, ফরিদপুর ও গড়মাটি গ্রামে আরো ২০০ গার্মেন্ট গড়ে ওঠেছে। এসব গার্মেন্টে কাজ করে অন্তত ৩ হাজার পরিবার স্বাবলম্বী হয়েছে।

এই গ্রামের ছেলেমেয়েরা এখন নিয়মিত স্কুলে যায়। রাজাপুর হাটের এক পুরান ব্যবসায়ী জানান, তিনি স্বাধীনতার পর থেকেই রাজাপুর হাটে ব্যবসা করে আসছেন। হাটে এখন নিয়মিত দোকানপাট খোলা থাকে। গোপালপুর ইউনিযন পরিষদের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান জানান, রাজাপুর হাট একটি বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। হাটবার ছাড়াও প্রতিদিন দোকানপাট বসে।

এই হাটকে ঘিরে নানা হস্ত ও কুটিরশিল্প গড়ে ওঠেছে। বর্তমানে উপজেলার প্রধান হাট হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছে। Click This Link ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.