শহীদের খুন লেগে, কিশোর তোমার দুই হাতে দুই, সূর্য উঠেছে জেগে। -------হাসান হাফিজ
সূর্য থেকে দূরত্বের হিসাবে পঞ্চম এবং আকৃতির দিক থেকে সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহটির নাম বৃহস্পতি। মূলত চাঁদ ও শুক্র গ্রহই বৃহস্পতির চেয়ে উজ্জ্বল। তবে কখনো কখনো মঙ্গলগ্রহও বৃহস্পতির চেয়ে উজ্জ্বল হয়ে মানুষের চোখে ধরা দিতে পারে। যদি বৃহস্পতিকে বাদ দিয়ে সৌরজগতের বাকি গ্রহগুলোর ভর একত্রিত করা হয়, তবুও এ গ্রহের ভর বেশি থাকবে।
বৃহস্পতি এবং শনি, ইউরেনাস ও নেপচুনকে একসঙ্গে জোভিয়ান গ্রহ বলা হয়ে থাকে। এ চারটি গ্রহ গ্যাস দানব নামেও পরিচিত। বিশেষ কোনো ধরনের যন্ত্রের সাহায্য ছাড়াই পৃথিবী থেকে খালি চোখেই বৃহস্পতিকে দেখা যায়। প্রাচীন রোমানদের সৌরজগতের এ গ্রহটি সম্পর্কে কিছুটা ধারণা ছিল। রোমান দেবতা জুপিটারের নামানুসারে তারা এ গ্রহটির নাম রাখে জুপিটার।
বৃহস্পতির অন্তত ৬৭টি প্রাকৃতিক উপগ্রহ রয়েছে। এগুলোর ৫১টি আকারে ছোট। এ ছোট উপগ্রহগুলোর ব্যাস ১০ কিলোমিটারেরও কম। বৃহস্পতির বড় চারটি প্রাকৃতিক উপগ্রহ হলো_লো, ইউরোপা, গ্যানিমেড এবং ক্যালিস্টো। গ্যানিমেড সৌরজগতের সবচেয়ে বড় চাঁদ।
আয়তনে এটি বুধের চেয়েও বড়। ইতালীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী গ্যালিলিও গ্যালিলি এগুলো প্রথম আবিষ্কার করায় তাঁর নামানুসারে এগুলোকে একত্রে গ্যালিলিয়ন চাঁদ বলা হয়ে থাকে। প্রাথমিকভাবে বৃহস্পতি কঠিন পদার্থ দ্বারা গঠিত নয়। এর পৃষ্ঠের কাছাকাছি বায়ুমণ্ডলে ৮৮ থেকে ৯২ শতাংশ হাইড্রোজেন, ৮ থেকে ১২ শতাংশ হিলিয়াম এবং ১ শতাংশ অন্যান্য গ্যাস পাওয়া যায়। যেসব কারণে বৃহস্পতি বিখ্যাত তার মধ্যে অন্যতম হলো এর মহা লাল বিন্দু।
ধারণা করা হয়, সপ্তদশ শতাব্দী থেকে একটানা বয়ে যাওয়া একটি অ্যান্টিসাইক্লোনই এ মহা লাল বিন্দুর জন্য দায়ী। খুব দ্রুত ঘূর্ণনের কারণে বৃহস্পতির আকৃতি অনেকটা কমলার মতো। গ্রহটিকে ঘিরে একটি দুর্বল বলয় ও শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্র রয়েছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।