ঘুম থেকে উঠেই সেই বছর পোড়ানো গ্যাস্ট্রিক পেইন। দাঁত ব্রাশ করতে করতে আয়নার দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসি। ব্যাপারটা মেয়েলি তাই ব্রাশ করতে তড়িঘড়ি। আজও মা সকালের নাস্তার জন্য ডাকলেন না। রিমোট হাতে নিয়েই সেই প্রিয় সিরায়ালের চ্যানেল।
দ্যা বিগ ব্যাং থিওরি। প্রিয় সিরিয়াল। আতেলদের নিয়ে তৈরি তবে মিষ্টি।
আবহাওয়া একটু করে বদলাতে থাকে। প্রখর রোদ থেকে ঘনকালো মেঘ।
প্রিয় সুগন্ধি হৃদয়ে জড়িয়ে যায় সাথে বনজ্যোৎস্নাও। কালো ব্লেজারটা গায়ে জড়িয়ে আবার সে হাসি। নিজেকে সম্মোহিত করে যদি বনজ্যোৎস্না গায়ে জড়ানো যেত। নিজেকে কুৎসিত ভাবা শুরু করারা আগেই প্যান্ট আর জুতা পড়তে শুরু করে। মানিব্যাগ মায়ের কাছে।
ফিরিয়ে দিলেই বের হবে। বনজ্যোৎস্নার টেক্সট আকাশের ভাব ভালো না বের হয়োনা,তুমার ঠান্ডা লাগবে। বনজ্যোৎস্না বেপরোয়াভাবে ভালোবাসে। তবে সে ভাবে বনজ্যোৎস্না উঠতি বয়সে তাই ঘোরে আছে। বনজ্যোৎস্নাকে ভালোবাসা আর ঘৃনা করার অনুপাত সমান এমনটা বনজ্যোৎস্না ভাবে আর সব সময় বিলাপ করে।
প্রত্যেকদিন যেখানে ব্রেকাপ হয় সেখানে ভালোবাসার খোজমিলে অকালে তবে সেটা হৃদয় নিংড়ানো মনে হয় উভয়ের কাছে। হৃদয় গ্যাসজার আর বনজ্যোৎস্না সেখানদিয়ে বারবার যায়। আয়নিত হৃদয় মাঝে মাঝেই থেমে গেছে মনে হয়। ধর্মের কাছে কিঞ্চিৎ আর সমাজের কাছে যথেষ্ট ধরা খাওয়া প্রেমিকাকে সে আদৌ ঘৃনা করে না কারণ চেষ্টায় ব্রত থেকে লাভ হয়নি। এরকম বেপরোয়া ভালোবাসার সামনে দাঁড়াতে পারেনি সে কখনই।
তারপরও হাজার চেষ্টা পালিয়ে বাঁচার। ব্রেইনের জন্য টিএনটি কিনবে সে,এক নিমিষে সব শেষ করে দিতে। মরে গিয়ে দীর্ঘজীবি হওয়ার মাঝেও সমস্যা আছে। বনজ্যোৎস্না সেখানটা আরও আগে আয়নিত করে রেখেছে। বনজ্যোৎস্নাকে রেখেও তার মন পোলারায়িত হয় জনা কয়েকের দিকে তবে বনজ্যোৎস্নার ঠোঁটের ভালোবাসার সামনে সে আজীবন চুপচাপ।
সমাজে ধরা খাওয়ার বদৌলতে এখন বনজ্যোৎস্নার ঠোঁটের ভালোবাসার সামনে সে চুপচাপ তাই মৃদু টানে হাত সরিয়ে বিপরীতে চলে। বিকেলে তামাটে রোদেলা আকাশ আবার রং বদলায়।
ফাইভস্টার হোটেল ট্যারেস,সুমিংপুল। পরিচিতজনের অশ্লীলেও সে হাসি ঠোঁটে রেখে দেয় ব্যক্তিত্বকে ছাপিয়ে,আজ সে নিজেকে নপুংসক জানে। দৃষ্টি ব্লেজারের দিকে আর পুলের পানির দিকে।
গভীর সে চাহনি অন্ধকার করে দেয় চিত্ত। সাধারণত সে পানি নীল হয়। ঝাপ দিয়ে আজ সে সেখানে মোহনা দেখবে অথবা গোটা কয়েক রূপচাঁদা আর আজ কিনা পানি বনজ্যোৎস্নার দ্বিতীয় হয়ে আকাশের সাথে রং মিলাচ্ছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।