আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের জন্য ক্ষমা চাইবে না বিজেপি : আদভানি
ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক দল বিজেপি নেতা লাল কৃষ্ণ আদভানি বলেছেন, ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসে ভূমিকা রাখার জন্য তার দলের উচিত অনুশোচনা নয়, গর্ববোধ করা। বিজেপির ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানী নয়াদিল্লিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগবেন না। হীনম্মন্যতায় ভুগবেন না। আমরা যদি অযোধ্যায় বিশ্বাস করি এবং এ জন্য আন্দোলন করি, তাহলে এ ব্যাপারে আমরা কখনোই ক্ষমা চাইব না।
আমাদের উচিত এ জন্য গর্ববোধ করা।
অযোধ্যায় খ্রিষ্টীয় ১৬শ শতকে নির্মিত বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে ১৯৯২ সালে সেখানে রামমন্দির নির্মাণে উগ্র হিন্দুদের হঠকারিতায় প্রধান ভূমিকা পালন করেছিল বিজেপি। সেই বছর ৬ ডিসেম্বর বিজেপি, ভিএইচপি ও আরএসএস দলের নেতৃত্বে শত শত হিন্দু করসেবক ঐতিহাসিক মসজিদটি ধ্বংস করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বিজেপি হিন্দুত্ববাদ ও রামমন্দির ইস্যু পেছনে রাখে এবং উন্নয়ন ও সুশাসনের ওপর জোর দেয়। কিন্তু দলটি আবার হিন্দুত্ববাদের দিকে ঝুঁকছে বলে অনুমান করা যায়।
ভারতে নারীর সুরায় অনেক কিছু বাকি : মনমোহন সিং
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং ভারতে নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ প্রতিরোধে আরো পদপে গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
গতকাল রোববার নয়াদিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতিদের এক সম্মেলনে মনমোহন বলেন, ‘কিন্তু ইতোমধ্যে যেসব পদপে গ্রহণ করা হয়েছে সেগুলো ছাড়াও নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ প্রতিরোধে আরো অনেক কিছু করা এখনো বাকি রয়েছে। ’ মনমোহন সিং বলেন, নারীর বিরুদ্ধে অপরাধের হার বেড়ে চলার প্রোপটে দ্রুত ও উপযুক্ত বিচার নিশ্চিত করার বিষয়টি অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
http://www.dailynayadiganta.com/new/?p=158168
********************
বিজেপি ও আদভানীর ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্যে অবাক হইনি। তবে ভারতে ধর্মনিরপেক্ষ হিসেবে পরিচিত কংগ্রেস প্রায় ১০ বছরে ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও বাবরী মসজিদ পুনঃনির্মাণতো দূর এই ভাঙায় জগিত বাজপেয়ী, আদভানীদের গ্রেফতার করেনি।
সেই ১৯৯২ সালের একই ঘটনার জের ধরে বোম্বে মুসলিম গণহত্যা, ধর্ষণের মূল হোতা বাল ঠাকরেকেও একটা চুলও স্পর্শ করেনি। বরং ভারতের কোন পত্র-পত্রিকা বা মিডিয়া বাল ঠাকরেকে নিয়ে সামান্য সমালোচনাতেও তারা হামলা ও ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করছে। এই কংগ্রেস ও প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং আবার বাংলাদেশকে ধর্মনিরপেক্ষ দেখতে চায়। কত চরম ভন্ড হইলে নিজ দেশ ঠিক না করে অগণতান্ত্রিক ভাবে অপর দেশে ধর্মনিরপেক্ষতা চাপিয়ে দিতে চায়। আর আমাদের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল সহ সমমনা সেক্যুলারিষ্টরা ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার বড়াই করে কোন প্রকার ভোট ছাড়াই জোর করে বাংলাদেশকে ধর্মনিরপেক্ষ বলতে চায়।
ভারতে বিজেপি ক্ষমতায় আসলে কোন সমস্যা নেই কিন্তু বাংলাদেশের ৯০% জনগণের ধর্মের কিছু প্রতিফলন দেখতে নারাজ। অথচ সংবিধানে ৫ম ও ৮ম সংশোধনীতে "সর্ব শক্তিমান আল্লাহর উপর বিশ্বাস", "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম" এবং "ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম" যূক্ত হলেও অন্য ধর্ম বা শান্তিপূর্ণ মতে বিশ্বাসী কারো রীতিনীতি কেড়ে নেওয়া হয়নি। হিন্দুরা তাদের পুজা, বৌদ্ধদের পূর্ণিমা, খ্রীষ্টানদের ইষ্টার ও বড়দিন ঠিকমতই পালন করে আসছে। তারপরেও সেক্যুলারিষ্টদের ভয়। অথচ তথাকথিত বিশ্বের বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের তুলনায় আমাদের বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি হাজার গুণ ভাল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।