সবুজের বুকে লাল, সেতো উড়বেই চিরকাল ব্লগে এটা আমার তৃতীয় বাংলা নববর্ষ। এবারের মত বৈশাখ পালন নিয়ে এত ক্যাচাল আর চোখে পড়েনি। কোনদিন শুনবো ভাত খেলে বিবি তালাক হয়ে যাবে, নইলে মঙ্গল প্রদীপ না জ্বালালে বাঙ্গালিত্ব থাকবে না।
সংকলিত পাতায় একজন ব্লগারের স্থান পাবার আগে,লেখার মান যাচাই এর কাজটিতে আরো মনযোগ দেয়া দরকার। এখন যদি শুনি মডারেশন প্যানেলে মডারেটরদের স্বল্পতায় সে কাজটি করা সম্ভব হচ্ছে না, তাহলে বলতে হয়, অণুবিক্ষণিক আদর্শের অনুসারিদেরই মডারেশন প্যানেলে বসানোর নীতিটি আর কাজ করছে না।
খৃষ্টপুর্ব ১০০০ সাল থেকে গাঙ্গেয় বদ্বীপের অনার্য অধিবাসিরাই সাধারণত বাঙালি নামে পরিচিত।
http://en.wikipedia.org/wiki/History_of_Bengal
ইতিহাসের নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে এই ২০১২ সালে এসে নানা পন্ডিতের নানা বয়ান শুনে বোঝা দুস্কর, আসলেই বাঙালি বা বাঙ্গালিত্ব কি জিনিস।
এই গাঙ্গেয় বদ্বীপের অধিবাসিদের স্বাধীন সত্তার ইতিহাস ঠিক সময়কার সে নিয়ে গবেষনার যথেষ্ঠ কারণ আছে। যে সেন বংশের তারিফ করা হয়, সেই সেন বংশীয়রা বাংগালি নয়, দক্ষিণ ভারতীয়। স্বাধীনচেতা বলে যে ঈসা খান ইতিহাসে সম্মানিত্ তিনিও বাঙালি নন, আফগানস্থান থেকে আগত।
ইতিহাসে প্রমানিত নয়, প্রাচীন পুথিতে সংকলিত লোকগাথার মাধ্যমে জানতে পারি, কোন এককালে জনৈক বিজয় সিংহ নামের এক বাঙালি নাকি লংকা হয় করেছিল।
১৯৭১ সালের আগে এই হচ্ছে আমাদের বীরত্ব আর স্বশাসনের ইতিহাস।
১৯৪৭ সালের আগে, পশ্চিম বঙ্গের বাঙ্গালিরা বাঙ্গালিত্বকে দ্বিতীয় স্থানে ঠেলে দিয়ে ভারতীয় জাতিয়তাবাদেই আস্থা রেখেছিল ।
আর তৎকালিন পুর্ব বঙ্গ বাধ্য হয়েছিল পাকিস্থানের সাথে সংযুক্ত হতে। কেননা সেই সময়ের বাস্তবতায় এর চেয়ে ভালো কোন বিকল্প ছিল না।
ভাষা এক হলেও, উজানভাটির প্রাকৃতিক নিয়মে দুই বাংলার মানুষদের ভেতর সামাজিক, অর্থনৈতিক, আহার বিহার, ধর্ম, ঐতিহ্য ইত্যাদি বিভেদ ছিল।
সেই বৃটিশ আমলের আগ থেকেই দুই বঙ্গের মানুষদের সিংহভাগ মানুষ ছিল কৃষিজীবি, কামার, কুমোর, জেলে তাতি। বৃটিশদের আনুকল্যে, পশ্চিমবঙ্গের উনারা শিক্ষিত হবার জের ধরে বাবু হয়ে গিয়ে, জমিদারি লাভ করে, পুর্ব বর্ঙ্গের মানুষের উপর যে বৈষম্য করেছিলেন, নাক সিকটেছিলেন, যে নির্মম অত্যাচার করেছিলেন, সেটা বাংলাদেশের ইতিহাসে স্থান পাওয়ার জোর দাবি রাখে।
পুর্বের প্রতি পশ্চিমের এই নেতিবাচক দৃস্টিভঙ্গির নগ্ন প্রকাশ ঘটেছিল, ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের সময়, ১৯৪৭ এ ভারত ভাগের সময় আর অধুনা বাংলাদেশের প্রতি মমতা ব্যানার্জির আচরণের মাধ্যমে।
বিধাতার একান্ত আশির্বাদ আর পুর্ব বাংলার মানুষদের সম্মিলিত প্রতিরোধ এবং আত্মাহুতির কারণে ইতিহাসে প্রথমবারের মতই স্বাধীনতার স্বাদ পায় বাঙ্গালিরা।
একারণেই রাজনৈতিক আদর্শের দিক দিয়ে সম্পুর্ণ বিপরীত মেরুতে অবস্থান করলেও, বঙ্গবন্ধুকে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বলতে দ্বিধা হয় না।
বৃটিশ আনুকল্যে শিক্ষা দীক্ষা চাকুরি ব্যাবসা বাণিজেয় পশ্চিম বঙ্গের মানুষেরা ফুলে ফেপে উঠলেও, অর্থনৈতিক বোঝা টানায় ব্যাতিব্যাস্ত পুর্ববঙ্গের মানুষদের সেই সচেতনা এবং সমৃদ্ধি তৈরি হতে দীর্ঘ সময় লেগেছে।
কোন কারণে জানি না, পুর্বের প্রতি পশ্চিমের এই নাক সিটকানোয় যারা অগ্রণি ভুমিকায় ছিল, তারা ছিল সেই যুগের মনিষি তুল্য শিক্ষিত এবং সম্প্রদায়।
যিনি জমিদার ছিলেন, প্রজাদের প্রতি তার নাক সিটকানোর কারণ আছে। ধনি লোক গরিবের পরোয়া কবে করেছে?
কিন্তু ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত কেন এই আচরণ, তার একটিই কারণ থাকতে পারে।
সেটা প্রধানত ধর্ম বিদ্বেষ থেকেই উৎসরিত।
বংকিমের নাম উল্লেখ করলাম না। কারণ যতই সনদ লাভ করুক, মনুষত্যের বিচারে সে ছিল পুরা একটা অমানুষ। একালের নরেন্দ্র মোদির সাথেই একমাত্র তুলনিয়।
সমাজের শিক্ষিত এবং ধনি সম্প্রদায়ের আচরণ সবক্ষেত্রে পড়ারই কথা।
পশ্চিমের সংখ্যাগরিষ্টদের মানসিকতার সাথে মিল থাকার কারণেই উনারা নমস্য হয়েছেন।
বৃটিসদের সময়ে কোলকাতাই ছিল শিক্ষা,ব্যাবসা বাণিজ্য, সংস্কৃতি চর্চা ইত্যাদির কেন্দ্রবিন্দু। তাই অনেক পরের দিকে সম্বিত ফিরে পাওয়া কিছু কিছু পুর্ব বঙ্গের সন্তান শিক্ষা কিংবা ব্যাবসার জন্য কোলকাতামুখি হয়েছিল।
কথায় বলে, অসৎ সঙ্গে নরকবাস। তাই এই মুষ্টিমেয় পুর্ববঙ্গিয়রা শিক্ষার সাথে সাথে কিছু কিছু কুশিক্ষায়ও দীক্ষিত হয়েছিল।
১৯৪৭ এ ভারত ভাগের সময়, হিন্দুত্ববাদিদের সাম্প্রদায়িক নৃশংসতার শিকার হয়ে, সেখানকার যে মুসলমানরা বাংলাদেশে পাড়ি জমাতে বাধ্য হয়েছিলেন, তাদের মধ্যেও পশ্চিম বঙ্গিয় কুশিক্ষা প্রবলভাবেই ছিল।
এই দুই মিলিত স্রোতের মানুষরাই, তাদের শিক্ষার গুণে আমাদের শিক্ষাঙ্গন এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সেদিন প্রভাব বিস্তার করার সুযোগ পেয়েছিলেন।
তারাই কোলকাতার অদলে ঢাকা কেন্দ্রিক একটা আলাদা ভাষা ও সংস্কৃতির সৃস্টি করলেন, যার সাথে গ্রাম ভিত্তিক বাংলাদেশের সংখাগরিষ্ঠ মানুষের ভাষা ঐতিহ্য কিংবা সংস্কৃতির কোন মিল ছিল না।
শিক্ষিতের সামনে একজন অর্ধ বা অশিক্ষিত মানুষ বরাবরই হীনমন্যতায় ভুগে বলে , সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ওই সংস্কৃতির বিরুদ্ধে রুখে দাড়ায়নি। বরঞ্চ ওসব শিক্ষিত লোকের বোলচাল বলে পাশ কাটিয়ে গিয়েছে।
সেইই বিষবৃক্ষ আজ মহিরুহ বলেই, আমাদের নিজস্ব ঐতিহ্য্য এবং ভাষা আজ বিজাতিয় ভাষা ও সংস্কৃতির আগ্রাসনে হুমকির মুখে।
পুর্ব বঙ্গ তথা বাংলাদেশের মানুষ বরাবরের মতই অসাম্প্রদায়িক। তাই হাজার ডামাডোল তাদের সেই নীতি থেকে টলাতে পারেনি।
যেহেত্তু অর্থনৈতিক দিক দিয়ে কৃষক-জেলে-তাতি-মজুর একে অপরের উপর নির্ভরশীল ছিল, তাই ধর্মীয় কুপমন্ডুকতাকে দূরে ঠেলে দিয়ে এরা যুগের পর যুগ শান্তিতে বসবাস করে আসছে।
এই আত্মিক সংযোগকে একটি সামাজিক সার্বজনিনতাতে পরিণত করার লক্ষ্য থেকেই অন্তত একটি উৎসবের প্রয়োজন।
কিন্তু পৌত্তলিকতার প্রতি ধর্মীয় বাধার কারণে একদিকে যেমন মুসলমানরা পুজায় যোগ দিতে অক্ষম, অন্যদিকে ঈদ পরবে হিন্দুরাও যোগ দেবার ক্ষেত্রে লাচার।
যদিও মোগল সম্রাট আকবরের খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য পয়লা বৈশাখের সৃস্টি, এর পরেও পয়লা বৈশাখই হতে পারতো বাংলাদেশের দুই প্রধান সম্প্রদায়ের যৌথ আনন্দোৎসব।
কিন্তু আগেই বলেছি, আমাদের শিক্ষা এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনে জেকে বসেছিল, পশ্চিম বঙ্গের শিক্ষা কুশিক্ষায় শিক্ষিতরা। বাংলাদেশহে মুল ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি তাই উপেক্ষিত থাকায় সেই সুযোগ মাঠে মারা গিয়েছে।
পশ্চিম বঙ্গের অনুকরণে নিজস্ব স্বকিয়তা আর ঐতিহ্য এর পরিপন্থি চর্চার কারণেই বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের আস্থালাভে সম্পুর্ন ব্যার্থ হয়েছে এই বৈশাখি উৎসব।
নইলে বাংলাদেশের চির ঐতিহ্যে কোথায় আছে রবীন্দ্রনাথের গান দিয়ে বটগাছের তলায় বসে সুর্যযকে বরণ করা?
আর এখন তো ওই সবেরর সাথে যোগ হয়েছে, পান্তা ভাত আর নানা ভর্তা দিইয়ে ইলিশ ভাজা খাওয়ার আদ্যিখেতা। তাতে মৎস ব্যাবসায়িদের আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হলেও, সাধারণ মানুষের মুখে তাচ্ছিল্যের হাসি ছাড় অন্যকিছু দেখা যায় না।
সেই সাথে গোদের উপর বিষফোড়ার মত যোগ হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রা। তার উদ্যোত্তা হল, সেই যে পশ্চিমবঙ্গের কুশিক্ষায় শিক্ষিত বিষবৃক্ষে গজানো নতুন পল্লব !
কিসের মঙ্গল? কার মঙ্গল? কার কাছে মঙ্গল প্রার্থনা। এতো আধুনিকতার নামে প্রাচীন পৌত্তলিকতার নব্য সংস্করণ !
যারা বেশ আনন্দ উল্লাসে এই শোভাযাত্রায় যাচ্ছেন, তারা না জেন শুনে হুজুগে মাতা মানুষ।
আবার অনেকে বিকৃত যৌনতাড়না চরিচার্থের একটি সুযোগ মনে করে অংশ নিচ্ছেন।
শুনেছি, অনেকে আবার বেশি বাঙালি হতে গিয়ে ধুতি চড়াচ্ছেন। মেয়েরা সিথিইতে সিদুরও পড়ছেন।
বাংলাদেশের মানুষ ধর্ম নির্বিশেষে লুংগি পড়েই অভ্যস্থ। আজ থেকে না।
যুগ যুগ থেকেই।
আর সিদুর হচ্ছে স্বামির অক্ষয় আয়ু লাভের আশায় দেবতার প্রতি হিন্দু বিবাহিত মহিলাদের অর্ঘ্য।
হুজুগ আর কুশিক্ষিতদের ক্রমাগত মিথ্যা প্রচারণার ফাদে পা দিয়ে একি দুর্মতি আমাদের?
আর কুশিক্ষিতদের একটি বড় অংশের মধ্যেই আবার বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠদের ধর্মের প্রতি সাংঘাতিক প্রদাহ আছে। ঠিক যে প্রদাহের কারণে যুগে যুগে পশ্চিম বঙ্গে মুসলমানদের মেরে কউচুকাটা করা হয়।
স্বাধীনতা যুদ্ধে জামাতি ইসলামি্, নেজামি ইসলামি্ মুসলিম লীগ ইত্যাদিই মুসলমান ভেকধারি ঘোর পুজিবাদিদের বিরোধীতাকে পুজিই করে, এই পশ্চিম বঙ্গিয় সাম্প্রদায়িক দৃস্টিভঙ্গি সম্পন্ন কুশিক্ষিতরা নিজেদের আসল চেহারা আড়াল করতেই, তাদের বিরোধীতাকারিদের সরসরিই স্বাধীনতা বিরোধী সাম্প্রদায়িক অপবাদ দিয়ে থাকে।
এই কুশিক্ষিতরা এতটাই সাম্প্রদায়িকতায় দুস্ট ছিল যে, স্বাধীনতার পর সুযোগ পেয়েই ইসলাম বা মুসলিম শব্দগুলি রীতিমত উৎখাতের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে পড়েছিল।
তারা কত কুৎসিত সাম্প্রদায়িক মানসিকতার অধিকারি, সেটা কবি কাজী নজরুল ইসলাম থেকে ইসলাম শব্দটি সম্পুর্ণ বাদ দেয়ার মধ্য থেকেই প্রমানিত। অথচ অন্যান্য ধর্মিয় শব্দগুলি বাদ দেয়া তো দূরে থাক, পারলে সেটাই মুল ধারায় স্থাপনের যথেষ্ঠ চেস্টা চলেছিল।
যেহেতু পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যাগুরুদের ধর্মীয় আচার আচরণই তাদের ঐতিহ্য, যেহেতু ঐ বঙ্গের প্রেমে অন্ধরা, বাস্তবকে রীতিমত অস্বীকার করেই পশ্চিম বঙ্গিয় সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যকেই বাঙ্গালিত্ব বলে চালাতে চাইছে।
এজন্যই দেখি ওই কুশিক্ষিতদের পালের গোদারা মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করে, গায়ে উত্তরীয় চড়ায়, কলসের মুখ ঢেকে গাদা ফুল দিয়ে সাজায়।
(আলতাফ মাহমুদের মৃত্ত্য বার্ষিকিতেও দেখলাম, মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে। যতদুর জানি, তিনি ইসলাম ত্যাগি ছিলেন না। কিংবা পৌত্তলিকতাও গ্রহন করেননি। )
কুশিক্ষার বিষ বৃক্ষ্যের নতুন পল্লব চারিকলায় একেক থেকে একেক রত্ম সৃস্টি হয়েছে। বাম আদর্শে অন্ধ হয়ে কেউ একজন দম্ভোক্তি করেছিল যযে মক্কাকে অনুসরণ করতে পারলে মস্কোকে অনুসরণ করতে পারবো না কেন? বর্তমান উপাচারয ভট্টাচার্য মশাই একদিকে প্রথম আলোর অন্যতম খাদেম।
অন্যদিকে ইন্ডিয়া থেকে র্যাগিং আমদানি করে চারুকলাকে আরো পুতিময় অরে তুলেছেন। এ নিয়ে প্রতিবাদ করাতে বেশ কয়েজন ছাত্রকে তিনি শারিরিকভাবে লাঞ্চিতও করেছিলেন।
সমাজের কিছু কিছু মানুষ সব যুগেই থাকে, যারা বোহিমিয়ান টাইপ। বাংলা ভাষায় ভবঘুরে। অথচ মেধাবি।
সেই মেধাবিদের মেধার পরিপুর্ণ বিকাশ ঘটানোর জন্য চারুকলা ইন্সটিউট তৈরি হয়েছিল।
অথচ সেই কুশিক্ষিতদের বিষ নিঃশ্বাসে সেই চারুকলা হয়ে পড়েছে বিষযুক্ত পশ্চিম বঙ্গিয় বিজাতিয় সংস্কৃতি প্রচারের আখড়া। ওদের মাথা থেকেই এই তো বেশ কয় বছর ধরে মঙ্গল শোভাযাত্রা নামের বাংলাদেশের মুল চেতনা ও ঐতিহ্য বিরোধি এই অদ্ভুতুড়ে চিন্তাধারা বের হয়েছে।
জিজ্ঞেস করলে বলে, এগুলি নাকি সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। ঘোর পৌত্তলিক আচরণের মধ্যে অসাম্প্রদায়িকতাটা কোথায় সেটা জানতে ইচ্ছা করে।
এদের কেউ কেউ আবার আগ বাড়িয়ে বলে এগুলি নাকি আমাদের আবহান বাংলা সংস্কৃতি। হায়। পড়াশুনায় ডাব্বা মারা আর হিপিদের মত "মুক্ত" জীবনাচারণে অভ্যস্থরাই যদি অন্যদের ইতিহাস নিয়ে শিক্ষা দেয়, তাহলে করুণা ছাড়া আর কোন কিছু ওদের প্রাপ্য নয়।
সাহিত্যকলা বিশারদরা যেমন ধর্মিয় বিদ্বেষের সুবিধার জন্য নিজেরা বিজ্ঞানের পন্ডিত বনে যায়, তেমনি বিশেষ কুশিক্ষায় শিক্ষিত চারুকলার পন্ডিতরাও সংস্কৃতির আড়ালে ইতিহাসবিদ হতে চায়।
তাই ওদের কাছ থেকে অন্য কোন বিষয় তো অনেক দুরের কথা, বাঙ্গালিত্বও শিখার দরকার নেই।
সেটা করার জন্য আসল ঠিকানায় যেতে হবে। সেটা সবুজ শস্য শ্যামল বাংলাদেশের ঘরে ঘরে নিরাপদের নিভৃতে আছে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।