আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একজন সুরঞ্জিতের পদত্যাগে যাদের সুবিধা হতে পারে..

বসন্তে মাতাল আমি এক অপূর্ণতা ... আমাদের মন্ত্রী পরিষদে চোর রয়েছে এ কথা বললে নিশ্চই আমার বিরুদ্ধে মামলা হবে না। অন্তত এ কথা তো প্রমানিত যে মন্ত্রী পরিষদে চোর রয়েছে। আজ আমার একটা কথা খুব মনে পড়ছে সোহেল তাজ কেন মন্ত্রী পরিষদ থেকে সটকে পড়লেন! সোহেল তাজ কে নেহায়েত ভালো মানুষই ভাবি। তাজ উদ্দীনের ছেলে নিশ্চই পিতৃ আদর্শ থেকে বিচ্যুতি হতে চান নি বিধায় তিনি বিদায় নিয়েছেন। কেন নিয়েছেন এটা আমরা বুঝতে চেষ্টা করছি হয়তো এখানে চোর রা থাকে।

আমাদের প্রধানমন্ত্রীও যে পিতৃ আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়েছেন এটা আমি বিশ্বাস করতে পারবো না। যত সমস্যা হতে পারে নিচু স্তর থেকে। আমার ধারনা কয়েকদিন পর হয়তো ওবায়দুল কাদের সাহেবের ঘাড়ে কোন এক ভূত চাপিয়ে দেয়া হতে পারে। কোন এক স্ক্যান্ডাল দিয়ে তাকে পদত্যাগ করাতে বাধ্য করা হতে পারে। এদিকে আরো দু'জন ভাল মানুষের কথা বলতে পারি একজন নুরুল ইসলাম নাহিদ অপর জন মতিয়া চৌধুরী।

এদের বিরুদ্ধে লাগতে হলে তাদের মস্তিস্কের আয়তন বড় হতে হবে কারন এরা রাজনীতি নিয়ে অধ্যয়ন করা রাজনীতিবীদ, ইউনিয়ন করা পাবলিক। যদিও এইসব পাবলিকের আত্মীয় স্বজনদের বিরুদ্ধে কিছু কথা শোনা যায়। মূল প্রসঙ্গ থেকে আমি সরে এসেছি যাইহোক রেল সম্পর্কে কিছু অভিজ্ঞতার কথা আমি বলছি, রেলে সর্বনিম্ন খালাসী পদে চাকুরী নিতে ৩ লাখ টাকা লাগে, এ এল এম বা এসিস্ট্যান্ট লোকো মাস্টার পদে আমার বেশকিছু পরিচিতজন চাকুরী নিয়েছেন ৪ থেকে ৬ লাখ টাকা। চাকুরী তারা কেনইবা নিবে না, মাত্র কয়েক মাসেই এইসব টাকা উঠে আসবে। আমার কথা কাউকে বিশ্বাস করতে বলছি না তবে অবিশ্বাসীদের বলছি পার্বতীপুর অথবা ঈশ্বরদীর রেল কলোনীর সিঙ্গেল কোয়ার্টারের খালাসীদের ঘুপচি রুম গুলোতে প্রবেশ করবেন।

আপনি আশ্চর্য হতে বাধ্য যে খালাসীদের ওই কক্ষে দামী টিভি, ফার্নিচার, কম্পিউটার, ফ্রিজ, মাইক্রোওয়েভ ওভেন বা বিলাসিতার জন্য কি নেই! রেল একটি চোরের খনি এ কথা রেল এলাকা গুলোতে ওপেন সিক্রেট ব্যাপার। রেলের চাকুরী নিতে টাকা লাগবে এটা খুব স্বাভাবিক। এই টাকা রেলে উচ্চ পদস্হ পর্যায়ে চলে যায় এবং একটি অংশ চলে যায় ওই সব এলাকার নির্বাচিত সাংসদ কিংবা মন্ত্রী পর্যায়ে। যে প্রসঙ্গে এই কথাগুলো বললাম, দেশের স্রোত একদিকেই প্রবাহিত হচ্ছে আচ্ছা আমরা যদি একটি ভিন্নভাবে চিন্তা করি এরকম যে সুরঞ্জিত সেন একটি বাঁধার নাম অথবা একটি প্রতিবন্ধকতার নাম। যার উপস্হিতিতে অনেক মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, সাংসদ এবং রেলের উচ্চ পদস্হ কর্মকর্তাদের নিয়োগ বানিজ্যে ভাটা পড়তে শুরু করেছে।

যার কারনে 'এই কালো বিড়াল কে সরাও' এর মত কথাগুলো উচ্চারন করা হচ্ছে। আমার মতে সুরঞ্জিত সেনের পদত্যাগের আগে একটি সুষ্ঠ তদন্ত হওয়া খুবই জরুরী। ৭০ লক্ষ টাকা নয়, রেলের নিয়োগ বানিজ্য কোটি কোটি টাকার। এমনও হতে পারে সুরঞ্জিত সেনের পদত্যাগ করলে সেইসব ব্যক্তিদের নিয়োগ বানিজ্যের পথ সুগম হতে পারে। পদত্যাগ সুষ্ঠ সমাধান নয়।

তার আগে থলের বিড়ালগুলোকে বের করতে হবে। [ আমার পোস্টগুলো ফেইসবুকে পেতে হলে এই পেইজটায় জয়েন করতে হবে https://www.facebook.com/dhaka.1000 ] ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.