বল আমায় সেই সময়ের নেই কেন অস্তিত্ব, বোঝাও আমায় সেই কল্পনার নেই কোন সমাধান.....আমারি স্বপ্ন আজো জেগে রয় আধারো শুন্য চোখে ... টাইটানিকের বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের একজন ছিলেন লরেন্স বিসলি। তিনি উপকণ্ঠে ডালউইচ কলেজে বিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন। টাইটানিক ডুবির সময় ভীতিবিহ্বল যাত্রীদের অবস্থার তার এই প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণী ১৯১২’র ১৮ এপ্রিল রয়টার বার্তা সংস্থার পরিবেশনায় ‘দ্য টাইমস’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। উল্লেখ্য, টাইটানিক নিউইয়র্কের উদ্দেশ্যে ১০ এপ্রিল ইংল্যান্ডের সাদাম্পটন থেকে যাত্রা শুরুর পর ফ্রান্স ও ইংল্যাণ্ডে যাত্রাবিরতি করে কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডের ৬৪০ কি.মি. দক্ষিণে দুর্ঘটনার শিকার হয়)
কু ইন্সটাউন (আয়ারল্যান্ড) থেকে যাত্রা শুরুর পর জলপথটি ছিল প্রশান্ত ও নিরুপদ্রবা আবহাওয়া ছিল চমত্কার সাগর স্থির এবং পুরো ভ্রমণ পথেই বায়ুপ্রবাহ ছিল পশ্চিম ও দক্ষিণ পশ্চিমাভিমুখী। কনকনে ঠান্ডা ছিল, বিশেষ করে শেষ দিনে।
সত্যি বলতে, রবিবার সন্ধ্যার রাতের খাবারের পর এতো তীব্র শীত ছিল যে, জাহাজের ডেকে অবস্থান করা ছিল দুরূহ ব্যাপার। আমি আমার বার্থে প্রায় ১০ মিনিট থাকার সময় রাত সোয়া ১০টার দিকে একটা মৃদু সংঘর্ষ অনুভব করলাম। এর পরপরই দ্বিতীয় ধাক্কা। কিন্তু আঘাতটা এতো প্রবল ছিল না যে, কারো মনে তা উত্কণ্ঠার সৃষ্টি করতে পারে তিনি যতই নার্ভাস প্রকৃতির হোন না কেন। ইঞ্জিনগুলো অবশ্য এর পরপরই বন্ধ হয়ে যায়।
প্রথমে আমার মনে হয়েছিল জাহাজের কোনো পাখা হয়তো নষ্ট হয়ে গেছে। আমি ড্রেসিং গাউনটা জড়িয়ে ডেকে উঠে দেখলাম সেখানে কিছু লোক একইভাবে জাহাজ থেমে যাওয়ার জন্য খোঁজখবর নিতে এসেছে। তবে তাদের কারোর মধ্যে কোনো উদ্বেগ দেখা যায়নি। আমরা ধূমপানের কামরার জানালা দিয়ে দেখলাম, সেখানে তাস খেলা চলছে। আমি সেখানে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসা করলাম তারা কিছু জানেন কিনা।
তারাও একটা জোর ধাক্কা টের পেয়ে জানালা দিয়ে একটা প্রকান্ড তুষারস্তূপকে জাহাজের কাছ ঘেঁষে চলে যেতে দেখেছেন। তাদের মনে হয়েছে আমরা (জাহাজ) সবেমাত্র আইসবার্গটাকে কোনাকুনিভাবে ধাক্কা দিয়ে আর আচড়িয়ে পার হয়েছি। এখন জাহাজের কোনো ক্ষতি হয়েছে কিনা তা দেখা দরকার।
আমাদের কেউই অবশ্য কল্পনা করেনি যে, নিমজ্জিত আইসবার্গের একাংশ জাহাজের তলদেশ বিদীর্ন করে গেছে। যাহোক, তাস খেলা আবার শুরু হল এবং আমি কোনো দুর্ঘটনার আশংকা না করে আমার কেবিনে বই পড়ার জন্য শুয়ে পড়লাম আর কখনো ঐ তাস খেলোয়াড় ও ডেকের দর্শকদের দেখা পাইনি।
একটু পরে যাত্রীদের উপরে যাওয়ার শব্দ শুনে আমি বের হয়ে দেখলাম, সবাই জানতে চাচ্ছে ইঞ্জিন কেন বন্ধ হয়ে গেছে। তাদের অনেকেই জাহাজের কম্পন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঘুম থেকে জেগে উঠেছে, কারণ গত ৪ দিন ধরে একটানা ভাইব্রেশনে তারা অভ্যস্ত হয়ে গেছে। আবার ডেকে উঠে দেখি জাহাজের পিছন দিক থেকে সামনের দিক সন্দেহাতীতভাবে নিচের দিকে কাত হয়ে পড়েছে কিন্তু আসলে কি ঘটেছে তা তখনো বুঝতে পারিনি।
আমার মনে হলো সামনের দিকের কম্পার্টমেন্টগুলোর অতিরিক্ত যাত্রীর ভারে জাহাজটা হেলে পড়েছে। আবার আমি নেমে আমার কেবিনে গিয়ে কিছু গরম কাপড়চোপড় পরে নিলাম।
কাপড় পরার সময় শুনলাম, কেউ চিত্কার করে নির্দেশ দিচ্ছে ‘ডেকের উপর সব যাত্রী লাইফবেল্ট পরে নিন। ’ আমরা জামার উপর লাইফবেল্ট পরে নিয়ে ধীরগতিতে এগোতে লাগলাম; কিন্তু তখনো আমাদের মনে হয়েছিল এটা শুধু ক্যাপ্টেনের বিচক্ষণ আগাম সতর্কতা এবং শিগগিরই আমরা আমাদের যে যার শয্যায় ফিরে যেতে পারব। সেই মুহূর্তে কারো চেহারায় কোনরকম ত্রাস বা ঘাবড়ানোর বিন্দুমাত্র আভাসও ছিল না। আমার ধারণা সেই রাতের অনাবিল প্রশান্তি ও দুর্ঘটনার কোনো আভাস না থাকাই তার কারণ। জাহাজটা একেবারে নিশ্চল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল এবং একপাশে সামান্য হেলে পড়া ছাড়া আমার মনে হয় দশজনের মধ্যে একজনও তা লক্ষ্য করেছেন- আসন্ন বিপর্যয়ের কোনো দৃশ্যমান নইলে দেখা যায়নি।
জাহাজটা যেন কোনো নির্দেশের অপেক্ষা করছিল, যাতে ছোটখাটো কিছু ত্রুটি সারানো হলেই আবার যাত্রা শুরু করতে পারে; কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা দেখলাম লাইফ বোটগুলোর কাভার খুলে ফেলা হচ্ছে এবং নাবিকরা দাঁড়িয়ে থেকে সেসব বোটের বরাদ্দ নিয়ে সেগুলো নিচে নামানোর জন্য রশির পাঁক খুলছে। তখন আমাদের উপলব্ধি হল, আমরা প্রথমে যা ভেবেছিলাম তার চেয়ে গুরুতর কিছু একটা ঘটেছে।
সেসময় আমার প্রথম চিন্তা ছিল, নিচে গিয়ে আরো কিছু কাপড়চোপড় এ টাকা-পয়সা নিয়ে আসব; কিন্তু লোকদের সে াতের মতো সিঁড়ি দিয়ে উঠতে দেখে আমি ঠিক করলাম, কেবিনে যাওয়ার চেষ্টা করে ভিড়ের মধ্যে কোনো বিশৃঙ্খলা বিপত্তি সৃষ্টি না করাই ভাল।
তখনই নির্দেশ শোনা গেল, ‘সকল পুরুষ যাত্রী বোট থেকে দূরে থাকুন। মহিলা যাত্রীরা নিচের ডেকে জড়ো হন’, যেটা ছিল বি ডেক বা স্মোকিং রুম।
পুরুষরা সবাই সরে গেল এবং সম্পূর্ণ নীরবতার সঙ্গে অপেক্ষা করতে লাগল। কেউ কেউ ডেকের প্রান্তবর্তী রেলিংয়ে হেলান দিয়ে দাঁড়ালো আর অনেকে স্থিরগতিতে এদিক ওদিক পায়চারি করতে লাগল। বোটগুলো শূন্যে ঝুলিয়ে এ ডেক থেকে নিচে নামানো হলো। সেগুলো বি ডেক বরাবর আসলে সকল মহিলাকে জড়ো করা হলো এবং তারা শান্তভাবে বোটে উঠে পড়ল। কিছু মহিলা তাদের স্বামীছাড়া উঠতে অস্বীকার করল।
কোনো কোনো মহিলাকে অবশ্য তাদের স্বামীদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে বোটে ঠেলে দেয়া হলো। তবে অনেক ক্ষেত্রেই তাদের থেকে যেতে বারণ করা হলো। কারণ তাদের জোর করে উঠিয়ে দেয়ার মতো কেউ ছিল না।
নিচের দিকে তাকিয়ে দেখা গলে, জাহাজের পিছন দিক দিয়ে নামানো বোটগুলো ইতিমধ্যে পানিতে ভাসমান, সেই মুহূর্তে আমার কাছাকাছি থাকা বোটগুলোকে নামানোর সময় বেশ ক্যাচ ক্যাচ শব্দ শোনা গেল, কারণ নতুন রশি কপিকল সংলগ্ন চাকা থেকে সরে গিয়ে পানি থেকে তাদের পৃথক করা ৯০ ফুটের দূরত্বে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। একটা বোট নিচে নামলে ইউনিফর্ম পরিহিত একজন অফিসার চেঁচিয়ে বললেন, ‘যখন আপনারা ভেসে থাকবেন তখন সঙ্গী সই-এর কাছাকাছি থেকে দড়ি টানবেন এবং পরবর্তী নির্দেশের জন্য অন্যান্য বোটের কাছাকাছি থাকবেন।
‘জ্বি, জ্বি, স্যার’ বলে সমবেত জবাব আসলো; কিন্তু আমার মনে হয় না কোনো বোট সে নির্দেশ মানতে পেরেছে। কেননা তারা যখন ভেসে ছিল ও দাঁড় টানছিল, সেসময় জাহাজটা দ্রুত তলিয়ে যাচ্ছিল বলে প্রতীয়মান হচ্ছিল। সাধারণ কাণ্ডজ্ঞানে দাঁড়িয়ে দেখল যে, ডুবন্ত জাহাজ থেকে দূরে সরে যাওয়ার কোনো বিকল্প নেই, আর এভাবেই কিছু লোকের প্রাণরক্ষা করা সম্ভব। তারা নি:সন্দেহে ছিল যে, বিরাট জাহাজটার পানি হেঁচার ব্যবহার (Suction) কাছে থাকা যাত্রীবোঝাই বোটের জন্য সমূহ বিপদের কারণ হতে পারে- যে বোটের অধিকাংশ যাত্রীই নারী।
সারাটা সময় কোনো রকম বিশৃঙ্খল দেখা যায়নি।
কোনো আতংকের ভাব ছিল না, কিংবা কে কার আগে উঠবে এরকম হুড়োহুড়ি পরিস্থিতিও ছিল না। মেয়েদের মধ্যে এ ধরনের অবস্থায় যা হয়- ভয় দেখে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্নার কোনো দৃশ্যও দেখা গেল না। সবাই আস্তে আস্তে বুঝতে পেরেছে যে, সকলেই সেই মুহূর্তে সাগরবক্ষে অবস্থান নিয়েছে এবং তাদের কাছে লাইফবোট ছাড়া সহায়ক আর কিছু নেই এবং উদ্ধারকারী জাহাজ না আসা পর্যন্ত এভাবেই তাদের ভেসে থাকতে হবে। এ সময় সকলের ধীরস্থির ভাব বজায় রাখা যে কি অসাধারণ একটা ব্যাপার ছিল, কিরম সমৃন আত্মসংযত ছিলাম আমরা যখন নারী ও শিশুদের বোটে উঠিয়ে নিচে নামানো হচ্ছিল আর তারা রাতের অন্ধকারে দাঁড় টেনে দূরে চলে যাচ্ছিল। ঠিক সেসময় আমাদের মধ্যে একটা কথা ছড়িয়ে পড়ল যে, পুরুষদের জাহাজের ডান দিক থেকে কেটে উঠানো হবে।
আমি জাহাজের বামদিকে ছিলাম। বেশিরভাগ পুরুষ ডেকের এপার থেকে এপার হেঁটে গিয়ে দেখতে চাইল কথাটা সত্যি কিনা।
আমি আমার অবস্থানে অনড় থাকলাম এবং একটু পরেই একটা ডাক শুনলাম, ‘আর কোনো মহিলা আছো?’ জাহাজের ধারে গিয়ে দেখলাম ১৩ নং বোটটা বি ডেকের পাশাপাশি ঝুলছে। বোটটার অর্ধেক মহিলা যাত্রীতে পূর্ণ। আবার সেই ডাক ‘আর কোনো মহিলা’।
আমি কাউকে আসতে দেখলাম না। সে সময় একজন ক্রু ওপরের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘স্যার আপনার ডেকে কোনো মহিলা আছে?’ আমি না বললাম। সে বলল, তবে আপনি ঝাঁপ দিন। চেঁচিয়ে উঠল নিচে নামাও। বোটটা নিচের দিকে নামানোর সময় একটা ১০ মাসের মেয়ে।
শিশুকেও ‘সম্ভবত: ২০০৯ সালে ৯৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণকারী জাহাজের সর্বশেষ বেঁচে যাওয়া যাত্রী Millvina Dean, যাকে আমি ২০০৩ সালে ব্রিস্টনে দেখেছিলাম ফ্রি.আ.) বোটে উঠিয়ে দেয়া হল। আমাদের বোটটা যখন পানি থেকে ১০ ফুট উপরে ছিল সেসময় আমরা একটা ভয়াবহ বিপদে পড়তে যাচ্ছিলাম। ডেক ছাড়ার পর থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ কারপাথিয়ায় ওটা পর্যন্ত তা ছিল এক দু:সহ অভিজ্ঞতা। সেই ভীষণ বিপদ কাটিয়ে আমরা যখন পানিতে ভাসলাম তখন আমাদের বোটের দাঁড়িদের প্রধান করণীয় ছিল বিরাটাকার জাহাজ থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করা। তাদের পরিচালনা দক্ষতার আমরা অন্য বোটগুলোর কাছে যেতে পারলেই ভোরের দিকে অনুসন্ধানী জাহাজ আসলে আমাদের সবাইকে উদ্ধার করতে পারবে।
তখন রাত ১টা। নক্ষত্র খচিত রাতটা ছিল মনোরম, কিন্তু চাঁদ না থাকায় আলো তেমন ছিল না। সাগর ছিল পুকুরের মতো শান্ত। সাগরের পানির ফুলে ওঠার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বোটটাও ওঠানামা করছিল। হাড় কাঁপানো ঠান্ডার কথা বাদ দিলে সেটা ছিল একটা আদর্শ রাত।
দূরে টাইটানিকের সুবিশাল শরীরটা দেখা যাচ্ছিল। তারা ভরা আকাশের নিচে তার দৈর্ঘ্য এ বিরাট আয়তন ফুটে উঠেছিল। জাহাজের প্রতিটি দরজা-জানালা ও সেলুন আলোকচ্ছটায় জ্বলজ্বল করছিল। এটা কল্পনা করা অসম্ভব ছিল যে এরকম একটা সামুদ্রিক দানবের একদিকে অশুভরকম হেলে পড়া ছাড়া আর কোনো বিপত্তি ঘটেছে।
রাত দু’টোর দিকে আমরা দেখলাম জাহাজটার অগ্রভাগ এবং সর্বোচ্চ অংশ দ্রুত পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে।
ধীরে ধীরে টাইটানিকের পিছন দিক খাড়াভাবে ওপরের দিকে উঠে একপাশে হেলে পড়তে লাগল। টাইটানিকের ‘জীবনদীপ’ সম্পূর্ণ নিভে যাওয়ার মুহূর্তে কেবিন ও সেলুনগুলোর আলোকমালা যা আমাদের জাহাজ ত্যাগের পর থেকে এক মুহূর্তের জন্যও নিষ্প্রভ হয়নি- তা এখন নির্বাসিত হল। একটু খানির জন্য শেষবার একটা ঝলক দিয়ে চিরতরে তা হারিয়ে গেল। একই সময় একটা তীব্র আর্তনাদের ঘর্ঘর শব্দের সঙ্গে জাহাজের যন্ত্রপাতির গর্জন স্তব্ধ হয়ে গেল। নিঃসন্দেহে গভীর সমুদ্রে শুনতে পাওয়া তা ছিল গা- ছমছম করা ভুতুড়ে এক আওয়াজ।
কিন্তু তখনও সব শেষ হয়ে যাইনি। আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে দেখলাম জাহাজটা সেই খাঁড়া অবস্থায় প্রায় ৫ মিনিট পর্যন্ত ভেসে ছিল। তারপর একটা শান্ত তীর্যক ডুব দিয়ে অথৈ সাগরগর্ভে অদৃশ্য হয়ে গেল। আমরা শেষবারের মতো সাদাম্পটন থেকে আমাদের নিয়ে আসা জাহাজটার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলাম।
তারপর শুনতে পেলাম সেই ভয়ার্ত চেঁচামেচি যা কোন মানুষ আজ অবধি শোনেনি বরফ শীতল পানিতে প্রাণ বাঁচানোর জন্য লড়াইরত আমাদেরই শত শত সাথী মানবের সাহায্যের জন্য আকুল চিত্কার যে চিত্কারে সাড়া দেয়া আমরা জানতাম কেউ দিতে পারবে না।
আমাদের আন্তরিক আকাঙ্ক্ষা ছিল সাঁতরাতে থাকা কিছু মানুষকে তুলে নেয়ার জন্য জাহাজের কাছে আমাদের বোটটাকে ফিরিয়ে নেব কিন্তু তার পরিণতি হতো আমাদের বোটের নিমজ্জন, সেই সঙ্গে আমাদের সকলের সলিল সমাধি।
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।